গুয়াহাটি, 8 জানুয়ারি: 9 পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করার নির্দেশ দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট (Gauhati High Court) ৷ এই নয় পুলিশকর্মীর (Nine Police Personnel) বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, তাঁরা পুলিশ হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের উপর অকথ্য অত্যাচার করেছেন ৷ তার জেরেই এই পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির উপর নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁর নাম মনোজ উপাধ্য়ায় ৷ 2018 সালে তাঁর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে ৷
মনোজের বিরুদ্ধে গুয়াহাটির ভারলুমুখ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেই সময় ওই থানার ন'জন পুলিশকর্মী তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন ৷ চরম শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন ওই ব্যক্তি ৷ টানা তিনদিন তাঁর উপর এই অত্য়াচার চলে ৷ তবে, মনোজও চুপ করে থাকেননি ৷ তিনদিন পর তাঁকে যখন আদালতে পেশ করা হয়, তিনি আদলতকে তাঁর শরীরের আঘাত দেখান ৷ তা সত্ত্বেও পুলিশ আরও পাঁচদিনের জন্য মনোজকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ৷ কিন্তু, মনোজের আঘাত দেখার পর সংশ্লিষ্ট বিচারক পুলিশের এই আর্জি খারিজ করে দেন ৷
আরও পড়ুন: মায়ের অন্ধবিশ্বাসের বলি একরত্তি, কোদাল দিয়ে কোপানো হল ছ'মাসের শিশুকে!
পরবর্তীতে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মনোজ ৷ আদালতকে তিনি জানান, কীভাবে পুলিশ তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছিল ৷ গত চারবছর ধরে আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছে ৷ শেষমেশ শনিবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ৷ তিনি অভিযুক্ত নয় পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন ৷
উল্লেখ্য, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগেই ওই নয় পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মনোজ উপাধ্য়ায় ৷ কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ৷ এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাইকোর্টে মামলা করেন মনোজ ৷ চারবছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আপাতত জয় হয়েছে তাঁর ৷ আদালতের রায়ে খুশি তিনি ৷
প্রসঙ্গত, যে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে, এঁরা হলেন, এএসপি পনজিৎ দুয়ারা, এসআই প্রীতম সাইকিয়া, কঙ্কন মহন্ত, আফজল হুসেন, এএসআই চন্দ্র কুমার মুদোই, কনস্টেবল রাজেন্দ্র যাদব, যদুমণি নাথ, রাহুল নাথ এবং হোম গার্ড বাবুল আলি ৷ ঘটনার সময় এঁরা সকলেই ভারলুমুখ থানায় নিযুক্ত ছিলেন ৷