ধানবাদ (ঝাড়খণ্ড), 20 নভেম্বর: কয়লা চুরি করতে এসে প্রাণ গেল চারজনের ৷ গুরুতর জখম হয়েছে আরও দু'জন ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদ (Dhanbad) জেলায় ৷ সূত্রের খবর, সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে (Gunfight) মৃত্যু হয় ওই চার কয়লা চোরের (Coal Thieves Killed) ৷ গুলিবিদ্ধ হয় তাদের আরও দুই সঙ্গী ৷
সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত 12টা 30 মিনিট নাগাদ ধানবাদের বাঘমারা থানা এলাকার (Baghmara police station) একটি কয়লা খনি চত্বরে পৌঁছয় দুষ্কৃতীরা ৷ তাদের সঙ্গে ছিল প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ৷ কয়লা চুরি করতেই তাদের এই 'নৈশ অভিযান' বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ কিন্তু, কয়লা চুরির সময়েই সিআইএসএফ জওয়ানদের বাধার মুখে পড়তে হয় চোরের দলকে ৷ বাধা পেয়ে বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে গুলি ছু়ড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা ৷ পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও ৷ তাতেই প্রাণ যায় চারজনের ৷ আরও দু'জনের শরীরে গুলি লাগলেও তারা প্রাণে বেঁচে যায় ৷ ভোর 4টে নাগাদ ওই দু'জনকে স্থানীয় শহিদ নির্মল মাহাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য ৷ যদিও অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে দু'জনকেই রাঁচির হাসপাতালে 'রেফার' করে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন: অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই
ধানবাদের (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার রিশমা রামেসান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, "ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ানরা প্রথমে কয়লা চোরদের চুরি থেকে বিরত করার চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল ৷ বাহিনীর হুঁশিয়ারিকে পাত্তাই দেয়নি তারা ৷ বরং উলটে জওয়ানদের লক্ষ করে গুলি ছুড়তে শুরু করে চোরের দল ৷ ফলে আত্মরক্ষার স্বার্থে জওয়ানরাও গুলির জবাব দিতে বাধ্য হন ৷"
রিশমা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর থেকেই খনি এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে ৷ সিআইএসএফ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে ৷ পাশাপাশি, পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যারা কয়লা চুরি করতে এসেছিল, তারা বড় কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত ৷ আপাতত সেই চক্রেরই হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ আহত দুই চোর কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলেই তাদের জেরা করে এই বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ ৷