নয়াদিল্লি, 7 অক্টোবর: সুপ্রিম কোর্টের 5 বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ (Five judge Constitutional Bench) সংবিধানের 103তম সংশোধনী আইন 2019-কে মান্যতা দিল (Upholds Validity of Constitution 103rd Amendment Act 2019) ৷ যেখানে সমাজের সাধারণ শ্রেণির অন্তর্গত কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশকে উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরি এবং সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে 10 শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ায় কথা বলা হয়েছে ৷ তবে, এই রায় প্রদানের সময় 3 বিচারপতি 2019 সালে সংশোধনকে বহাল রাখলেও, 2 বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করেছেন ৷
এই রায় দানের ক্ষেত্রে 3 জন বিচারপতি সংরক্ষণের পক্ষে সম্মতি জানিয়েছেন ৷ তবে, প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এ নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন ৷ অন্যদিকে, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা সাধারণ শ্রেণির আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের উচ্চশিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে 10 শতাংশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংশোধিত আইনে সম্মতি জানিয়েছেন ৷
প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, ‘‘সাধারণ শ্রেণির আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের উচ্চশিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে 10 শতাংশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংশোধিত আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে মোট চারটি রায় দান করা হয়েছে ৷’’
এ দিনের রায়দানের সময় বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী বলেন, ‘‘আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংশোধনী আইন ‘সাম্যের অধিকার’কে লঙ্ঘন করে না ৷ এমনকি সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলিকেও লঙ্ঘন করছে না ৷’’ বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীও বিচারপতি মহেশ্বরীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ শ্রেণিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের সংরক্ষণ বৈধ এবং সাংবিধানিক ৷’’
আরও পড়ুন: শুনানির লাইভ-স্ট্রিমিং হবে সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে
প্রসঙ্গত, সাধারণ শ্রেণিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংবিধানের 103তম সংশোধনী আইন 2019 এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় ৷ এ নিয়ে এ বছরের 13 সেপ্টেম্বর প্রথম শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির তৈরি 5 সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ৷ 7 দিন ধরে এই মামলার শুনানি চলে ৷ সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর সাংবিধানিক বেঞ্চ তার রায়দান স্থগিত রাখে ৷ অবশেষে 3 বিচারপতির সহমতে সাধারণ শ্রেণিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের 10 শতাংশ সংরক্ষণকে সাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷