নয়াদিল্লি, 21 নভেম্বর : ফের একবার বিপাকে পড়লেন বলিউডের বিতর্কিত ‘কুইন’ কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut) ৷ তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন দিল্লি শিখ গুরুদ্বার পরিচালন কমিটির (Delhi Sikh Gurdwara Management Committee) সভাপতি মনজিন্দর সিং সির্সা (Manjinder Singh Sirsa) ৷ অভিযোগটি দায়ের হয় শনিবার ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্বেষমূলক এবং অবমাননাকর পোস্ট করার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছেন মনজিন্দর ৷ একইসঙ্গে কঙ্গনাকে দেওয়া পদ্মশ্রী সম্মানও (Padma Shri) কেড়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Kangana Ranaut : বিতর্ক বাড়িয়ে এবার মহাত্মা গান্ধিকে নিশানা কঙ্গনার
এই প্রসঙ্গে মনজিন্দর বলেন, ‘‘কৃষি আইন প্রত্যাহার (Farm Laws Repeal) করা নিয়ে কঙ্গনা যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, যেভাবে তিনি আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গিদের তুলনা করেছেন, তা অনভিপ্রেত ৷’’ ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা যে ধরনের বিদ্বেষমূলক পোস্ট করেছেন, তার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন মনজিন্দর ৷ এই বিষয়ে কেন্দ্র যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে, সেই দাবি তুলেছেন তিনি ৷ মনজিন্দর মনে করেন, কঙ্গনার সরকারি নিরাপত্তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত ৷ কেড়ে নেওয়া উচিত তাঁর পদ্মশ্রী ৷ কঙ্গনা প্রসঙ্গে মনজিন্দর বলেন, ‘‘ওঁকে হয় মানসিক হাসপাতালে দেওয়া উচিত অথবা কারাগারে বন্দি করে রাখা উচিত ৷’’
দিল্লি পুলিশের কাছে মনজিন্দর কঙ্গনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তা টুইটারেও পোস্ট করেছেন তিনি ৷ মনজিন্দর জানিয়েছেন, ‘‘ইনস্টাগ্রামে অবমাননাকর, অবজ্ঞাপূর্ণ ও অপমানজনক পোস্ট করার জন্যই’’ কঙ্গনার বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ৷ প্রসঙ্গত, নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির (Indira Gandhi) নাম না করেই খালিস্তানি জঙ্গিদের কথা টেনে আনেন ৷ লেখেন, যাঁরা দেশকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের তিনি পিষে দিয়েছিলেন ৷ কঙ্গনার ভাষায়, ‘‘আজ হয়তো খালিস্তানি জঙ্গিরা সরকারের হাত মুচড়ে দিয়েছে, কিন্তু একজন মহিলাকে ভুলবেন না ৷ একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী, যিনি এঁদের জুতোর নীচে পিষে দিয়েছিলেন ৷’’
আরও পড়ুন : Kangana Ranaut : স্বাধীনতা নিয়ে বক্তব্য ভুল প্রমাণ করতে পারলে পদ্মশ্রী ফেরানোর চ্যালেঞ্জ কঙ্গনার
একইসঙ্গে কঙ্গনা ইন্দিরা গান্ধি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তিনি এই দেশকে যতই কষ্ট দিয়ে থাকুন না কেন, নিজের প্রাণের বিনিময়ে তিনি ওঁদের (খালিস্তানি জঙ্গিদের) মশার মতো পিষে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, দেশকে খণ্ডিত হতে দেননি ৷ এমনকী, মৃত্যুর কয়েক দশক পরও তাঁর নাম শুনে ওঁরা কেঁপে ওঠেন ৷ এঁদের ওইরকমই গুরু চাই ৷’’