গুরুগ্রাম,23 ফেব্রুয়ারি: করোনা বিদায় নিয়েছে কি না তা বলা শক্ত । কিন্তু কারও কারও মধ্যে করোনার ভয় যে পুরোমাত্রায় রয়ে গিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই । তেমনই এক মহিলার সন্ধান পাওয়া গেল গুরুগ্রামে। জানা গেল, করোনার ভয়ে তিন বছর এক মহিলা ফ্ল্যাটের বাইরে যাননি (Shocking incident in Gurugram )। ছেলেকেও রেখে দিয়েছিলেন সেখানেই । স্বামী কর্মসূত্রে রাস্তায় যান বলে তাঁরও ফ্ল্যাটে ঢোকার অনুমতি ছিল না। স্ত্রীর নির্দেশে অন্যত্র ফ্ল্যাট নিয়ে থাকতে হত স্বামীকে ।
শেষমেশ বুধবার পুলিশ ও শিশু কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সমস্যা মিটল । মা এবং ছেলেকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন কোনও জায়গায় থাকলে শরীরে বেশ কিছু সসম্যা তৈরি হয়ে থাকে । এক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়েছে কি না সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে । শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।
স্থানীয় শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্য উষা সোলাঙ্কি সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে গুরুগ্রামের চক্করপুরের এক বাসিন্দা যোগাযোগ করে জানান, করোনার ভয়ে তাঁর স্ত্রী ফ্ল্যাট থেকে বাইরে বেরতে চাইছেন না । ছেলেকেও বাইরে বেরতে দিচ্ছেন না । আর তাঁকেও অন্যত্র থেকেই দিন গুজরান করতে হচ্ছে । স্বামী গত তিন বছর ধরে বাইরে থাকতেন। প্রতি মাসে স্ত্রীর কাছে সংসার খরচও পৌঁছে দিতেন। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও পৌঁছে দিতেন । এভাবেই কেটেছে গত তিন বছর।
প্রাথমিক খোঁজ-খবরের পর মা এবং ছেলেকে বাইরে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সূত্রের খবর, ছেলের বয়স 11 বছর। ওই মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলেছিল করোনা । এই ধরনের ঘটনা সেই দিকেই নির্দেশ করে।
আরও পড়ুন:পদে পুনর্বহালের দাবিতে গোলাপি শহরে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ নার্সের !