আহমেদাবাদ, 6 সেপ্টেম্বর: বিষ খেয়ে গণআত্মহত্যার চেষ্টা একই পরিবারের চার সদস্যের। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাবা ও ছেলের । মা ও আরেক ছেলেও গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদের ঢোলকায় ৷ স্থানীয় পুলিশ তদন্তের সময় একটি চিরকুট পেয়েছে। সেই চিরকুটের ভিত্তিতে দম্পতির মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে । মেয়ের বিয়ে নিয়ে সমস্যার জেরে এই ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, গণ আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করা পরিবারটি মূলত মেহসানা ভিজাপুরের বাসিন্দা ৷ তবে তারা বর্তমানে ঢোলকার কাছে মাফলিপুর গ্রামের রামদেবনগর সোসাইটিতে বসবাস শুরু করে ৷ বাবা-মা'কে না-জানিয়েই ওই পরিবারের মেয়ে কিছুদিন আগে গ্রামেরই এক যুবককে বিয়ে করে। বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়ে যায় পুরো পরিবার । অন্যদিকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আচরণে অসন্তুষ্ট ছিল ওই পরিবার । তাই মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তান বাড়িতে একত্রিত হয়ে বিষ পান করেন । যার জেরে মৃ্ত্যু হয় কিরণভাই গুলাবভাই রাঠোর এবং হর্ষ কিরণভাই রাঠোরের । নিতাবেন কিরণভাই রাঠোর এবং হর্ষিল কিরণভাই রাঠোরকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
আরও পড়ুন: স্ত্রী-মেয়েকে গলা কেটে খুন করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী !
ঢোলকা ডিওয়াইএসপি প্রকাশ প্রজাপতি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের চার সদস্য মিলে এই পদক্ষেপ নেন । এতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দু'জন চিকিৎসাধীন রয়েছে । ঘটনায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তিনি জানিয়েছেন, মৃত কিরণভাই রাঠোর (52) ঢোলকা জিইবিতে লাইন ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন । কিছুদিন আগে পরিবারকে না-জানিয়েই কিরণভাই রাঠোরের মেয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে পরিবারকে সেই খবর দেওয়া হয়। তাই পুরো পরিবার ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছিল । এছাড়াও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে না-চাওয়ায় তারা ক্ষুদ্ধ ছিলেন ।