ETV Bharat / bharat

Electricity Bill Without Connection: বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই পাহাড়প্রমাণ বিল, সমস্যায় শামলির 12 গ্রাম

author img

By

Published : Nov 22, 2022, 10:19 PM IST

বিনামূল্যে বসানো হয়েছিল মিটার, বলা হয় বিদ্যুতের জন্য কোনও বিল আসবে না ৷ উলটে বিদ্যুতের লাইন তো আসেইনি, কিন্তু বিল এসেছে প্রায় 50-60 হাজার করে ৷ তার ওপর এই বিল দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ৷ এরকই সমস্যায় জেরবার উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার প্রায় 12টি গ্রাম (Electricity Bill Without Connection in 12 Villages of Shamli) ৷

Electricity Bill Without Connection
সংযোগ ছাড়াই পাহাড়প্রমাণ বিদ্যুৎ বিল, সমস্যায় শামলির 12 গ্রাম

শামলি (উত্তরপ্রদেশ), 22 নভেম্বর: বিদ্যুতের সংযোগ চালু হয়নি কিন্তু আসছে হাজার হাজার টাকার বিল ৷ উলটে সেই বিল মেটালোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে লাগাতার ৷ এমনই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের শামলি (Shamli) জেলার 12টি গ্রামের মানুষকে (Electricity Bill Without Connection in 12 Villages of Shamli) ৷

জানা গিয়েছে, শামলি জেলায় বাওয়ারিয়া সমাজের 12টি গ্রাম রয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে খোকসা, আলাউদ্দিনপুর, দুধলী, ডেরা ভগীরথ, নয়া বান, মস্তগড়, জাটান, খানপুর, আহমেদগড়, খেদি ইত্যাদি । পিছিয়ে পড়া বাওয়ারিয়া সমাজকে মূলধারায় আনার জন্য সরকার লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে । কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি ও কর্মচারীদের কর্মকাণ্ডে এসব গ্রামের মানুষ এখন বিরক্ত ।

বাওয়ারিয়া সমাজের লোকজন জানান, গত প্রায় 10 বছর ধরে গ্রামে এসে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা সংযোগ ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার বসিয়ে দিয়ে যায় । কিন্তু কোনওদিনও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি । কর্মচারীরা বিদ্যুতের মিটার ঝুলিয়ে রেখেই চলে গিয়েছে, বিদ্যুৎ না এলেও এখন হাজার হাজার বিদ্যুতের বিল আসছে । উলটে বিদ্যুৎ বিল জমা না দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর বাড়িতে পৌঁছে কর্মচারীরা চাপ দিচ্ছে ৷ ফলে আতঙ্কিত তাঁরা ।

আরও পড়ুন: বকেয়া 408 কোটি ! বিল মেটাতে পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের

খোকাসা গ্রামের সরোজ দেবী নামে এক মহিলা জানান, আমার শ্বশুরের চার ছেলে রয়েছে । আমরা সবাই যৌথ বাড়িতে থাকি । প্রায় তিন বছর আগে আমরা চারটি মিটার বসিয়েছিলাম । সেই সময় আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এটি বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে এবং এর কোনও বিদ্যুৎ বিল আসবে না । এসব মিটারে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও এখন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বাড়িতে এসে প্রতি মিটারের জন্য 50 হাজার টাকা জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে । তিনি আরও জানান, আমাদের আর্থিক অবস্থাও ভাল না ৷ আমরা কীভাবে এই টাকা দেব?

খোকসা গ্রামের প্রাক্তন প্রধান ভগত রাম জানান, গ্রামে একটি বন্ধ ঘর ছিল । সেখানে বিদ্যুতের মিটার লাগিয়ে চলে গেল । এখন 50 থেকে 60 হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে । অনেকেই আছেন যারা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছে না ।

খোকসা গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎই পৌঁছায়নি । কিন্তু, কয়েক বছর আগে এখানে বিদ্যুতের মিটার বসানো হয়েছে । শুধুমাত্র এলাকার বাওয়ারিয়া নয়, এছাড়া অন্যান্য গ্রামের মানুষও বৈদ্যুতিক মিটারের ভারী বিল পাওয়ার সমস্যায় পড়েছেন ।

আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক বিল 34 বিলিয়ন! হাসপাতালের বেডে উপভোক্তা

আলাউদ্দিনপুর গ্রামের সুন্দরবতী দেবী নামে এক মহিলা জানান, প্রায় 10 বছর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বিনামূল্যে মিটার বসানোর আশ্বাস দিয়ে মিটার বসিয়েছিল । কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি । এখন 40 হাজার টাকা বিল এসেছে । কীভাবে টাকা দেব এখন ?

গ্রামবাসীদের বিদ্যুতের মিটার ও বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা (SDO) রবি কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই ৷ তবে শামলির সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাম কুমার জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করতে একটি দল পাঠাব এবং গ্রামবাসীদের এই সমস্যার সমাধান করা হবে ৷

শামলি (উত্তরপ্রদেশ), 22 নভেম্বর: বিদ্যুতের সংযোগ চালু হয়নি কিন্তু আসছে হাজার হাজার টাকার বিল ৷ উলটে সেই বিল মেটালোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে লাগাতার ৷ এমনই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের শামলি (Shamli) জেলার 12টি গ্রামের মানুষকে (Electricity Bill Without Connection in 12 Villages of Shamli) ৷

জানা গিয়েছে, শামলি জেলায় বাওয়ারিয়া সমাজের 12টি গ্রাম রয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে খোকসা, আলাউদ্দিনপুর, দুধলী, ডেরা ভগীরথ, নয়া বান, মস্তগড়, জাটান, খানপুর, আহমেদগড়, খেদি ইত্যাদি । পিছিয়ে পড়া বাওয়ারিয়া সমাজকে মূলধারায় আনার জন্য সরকার লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে । কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি ও কর্মচারীদের কর্মকাণ্ডে এসব গ্রামের মানুষ এখন বিরক্ত ।

বাওয়ারিয়া সমাজের লোকজন জানান, গত প্রায় 10 বছর ধরে গ্রামে এসে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা সংযোগ ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার বসিয়ে দিয়ে যায় । কিন্তু কোনওদিনও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি । কর্মচারীরা বিদ্যুতের মিটার ঝুলিয়ে রেখেই চলে গিয়েছে, বিদ্যুৎ না এলেও এখন হাজার হাজার বিদ্যুতের বিল আসছে । উলটে বিদ্যুৎ বিল জমা না দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর বাড়িতে পৌঁছে কর্মচারীরা চাপ দিচ্ছে ৷ ফলে আতঙ্কিত তাঁরা ।

আরও পড়ুন: বকেয়া 408 কোটি ! বিল মেটাতে পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের

খোকাসা গ্রামের সরোজ দেবী নামে এক মহিলা জানান, আমার শ্বশুরের চার ছেলে রয়েছে । আমরা সবাই যৌথ বাড়িতে থাকি । প্রায় তিন বছর আগে আমরা চারটি মিটার বসিয়েছিলাম । সেই সময় আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এটি বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে এবং এর কোনও বিদ্যুৎ বিল আসবে না । এসব মিটারে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও এখন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা বাড়িতে এসে প্রতি মিটারের জন্য 50 হাজার টাকা জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে । তিনি আরও জানান, আমাদের আর্থিক অবস্থাও ভাল না ৷ আমরা কীভাবে এই টাকা দেব?

খোকসা গ্রামের প্রাক্তন প্রধান ভগত রাম জানান, গ্রামে একটি বন্ধ ঘর ছিল । সেখানে বিদ্যুতের মিটার লাগিয়ে চলে গেল । এখন 50 থেকে 60 হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে । অনেকেই আছেন যারা বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছে না ।

খোকসা গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় এখনও বিদ্যুৎই পৌঁছায়নি । কিন্তু, কয়েক বছর আগে এখানে বিদ্যুতের মিটার বসানো হয়েছে । শুধুমাত্র এলাকার বাওয়ারিয়া নয়, এছাড়া অন্যান্য গ্রামের মানুষও বৈদ্যুতিক মিটারের ভারী বিল পাওয়ার সমস্যায় পড়েছেন ।

আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক বিল 34 বিলিয়ন! হাসপাতালের বেডে উপভোক্তা

আলাউদ্দিনপুর গ্রামের সুন্দরবতী দেবী নামে এক মহিলা জানান, প্রায় 10 বছর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বিনামূল্যে মিটার বসানোর আশ্বাস দিয়ে মিটার বসিয়েছিল । কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি । এখন 40 হাজার টাকা বিল এসেছে । কীভাবে টাকা দেব এখন ?

গ্রামবাসীদের বিদ্যুতের মিটার ও বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা (SDO) রবি কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই ৷ তবে শামলির সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাম কুমার জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করতে একটি দল পাঠাব এবং গ্রামবাসীদের এই সমস্যার সমাধান করা হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.