নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি : 26 জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে হিংসা ও লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার অবমাননার খবর সম্প্রচার করায় যেভাবে সাংবাদিকদের একাংশের উপর আইনি খাঁড়া নেমে এসেছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাল এডিটর্স গিল্ড৷ শুক্রবার এই প্রসঙ্গে গিল্ডের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়৷ তাতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-গুলি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয়েছে৷ তা না হলে সাংবাদিকদের পক্ষে নির্ভয়ে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন গিল্ডের সদস্য়রা৷ তাঁদের মতে, এই ঘটনায় সংবাদমাধ্য়মকে আতঙ্কিত ও হেনস্থা করার, তার টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, 26 জানুয়ারির অশান্তির পর কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর-সহ একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে৷ অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন রাজদীপ সারদেশাই, মৃণাল পাণ্ডে, জাফর আঘা, অনন্ত নাথ এবং বিনোদ জোশের মতো স্বনামধন্য়রাও৷ ট্রাক্টর মিছিলে হিংসা প্রসঙ্গে টুইট করাতেই তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে একের পর এক অভিযোগ৷
ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে৷ মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও৷ রাজদীপ সারদেশাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে তাঁর টুইট, ‘‘গণতন্ত্রে আমাদের আওয়াজ তুলতেই হবে৷ আর সংবাদমাধ্য়ম গণতন্ত্রের অন্য়তম স্তম্ভ৷’’
গিল্ডের বক্তব্য, ট্রাক্টর মিছিলের দিন প্রত্য়ক্ষদর্শী ও কর্তব্য়রত পুলিশকর্মীদের বয়ান মোতাবেক একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে৷ যেভাবে ঘটনাক্রম এগিয়েছে, সাংবাদিকরাও সেই অনুযায়ী তা সর্বসমক্ষে এনেছেন৷ এটা তাঁদের অধিকার ও কর্তব্য৷
আরও পড়ুন: হিংসার পর থেকে হদিশ নেই লালকেল্লার কিছু পুরাকীর্তির, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, টুইটার আন্তর্জাতিকস্তরে যে কোনও ঘটনাকে কলুষিত করতে পারে এবং হিংসা মদত দেওয়ার ক্ষেত্রেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ যা মানতে নারাজ এডিটর্স গিল্ড৷ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনভঙ্গ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লঙ্ঘন ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাও অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয় বলেই মত গিল্ডের সদস্যদের৷