গোয়া, 28 নভেম্বর : তিন গোলের ধাক্কায় রীতিমত লন্ডভন্ড লাল-হলুদ । গোলের সংখ্যার চেয়েও হতশ্রী পারফরম্যান্সই অশনি সংকেত মানোলো দিয়াজের জন্য । ডার্বিতে সমর্থকদের হাসি ফোটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি । বদলে এবারও মিলেছে চরম লজ্জার হার । এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তার যে দল পিছিয়ে ছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন দিয়াজ (east bengal coach gives rection after derby) । পাশাপাশি একাধিক বড় ভুলের ধাক্কাতেই যে স্কোরবোর্ডের এই দশা, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় তিরিশ নভেম্বর ফের ম্যাচ, প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি ।
গত মরশুমের শেষ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে ছয় গোল হজম করতে হয়েছিল লাল-হলুদকে । এখন মহারণের আগে পুরো দলকে মানসিক এবং কৌশলগত ভাবে চাঙ্গা করার দায়িত্ব জোসে মানোলো দিয়াজের ওপর । তিনি বলেন, "লিগের যা নিয়ম, যা সূচি তা তো মানতেই হবে । তিনদিনের মধ্যেই পরের ম্যাচ । সেই ম্যাচে ভাল খেলতেই হবে । ঘুরে দাঁড়াতে হবে ।"
অথচ ডার্বিতে যে এত বড় বিপর্যয় হতে পারে তার কোনও ইঙ্গিত প্রথম এগারো মিনিটে দেখা যায়নি । 12 থেকে 24 মিনিটে পরপর তিনটি বড় ভুলে সব শেষ । সেই ক্ষত সামলানো যায়নি পরবর্তী সময়ে । গোল সংখ্যা না বাড়লেও তুল্যমুল্য লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল । পরিকল্পনাহীন, দিগভ্রষ্ট ফুটবলে কার্যত মশাল পরিণত হয়েছে প্রদীপের ম্রিয়মান আলোতে।
"প্রতিপক্ষ হিসেবে এটিকে মোহনবাগান কঠিন । তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা কঠিন । তার ওপর একাধিক ভুলে সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে । আমরা নিজেদের খেলাটা খেলতেই পারিনি," বলছেন লাল-হলুদ কোচ । পোস্টমর্টেমের পর তার প্রাথমিক অনুমান, এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলারদের সঙ্গে তার ছেলেরা এঁটে উঠতে পারেনি এবং সেই ফারাক এতটাই যে তা সামলানো যায়নি । এটা সমর্থকদেরও মেনে নিতে হবে বলেই মত দিয়াজের(Manolo Diaz) ৷