সুরাত, 28 নভেম্বর: এবার শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walker) হত্যা মামলায় আফতাব 'ঘনিষ্ঠ' এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তিনি সুরাতের বাসিন্দা । মাদক ব্যবসায়ীর নাম ফয়সাল মমিন ।
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি আফতাবকে মাদক সরবরাহ করতেন । শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় ফয়সালের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা জানতে তাঁর কল রেকর্ড খতিয়ে দেখবে পুলিশ । 4 দিন আগে ফয়সাল মমিনকে গ্রেফতার করে সুরাত ক্রাইম ব্রাঞ্চ । ফয়সালকে পান্ডেসরা এবং আমরোলিতে 4 কোটি টাকার বেআইনি মাদক সরবরাহের অভিযোগে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয় । তিনি বর্তমানে সুরাতের লাজপুর জেলে রয়েছেন ।
প্রসঙ্গত, পুলিশের জেরায় ইতিমধ্যেই নিজের মাদকাসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab Amin Poonawalla) । এমনকী, শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার (Shraddha Murder Case) পর আফতাব যখন তাঁর দেহ কেটে টুকরো করছিলেন, তার আগেই তিনি গাঁজা সেবন করছিলেন বলে অনুমান পুলিশের । নেশার ঘোরেই নিহত প্রেমিকার দেহ খণ্ডবিখণ্ড করেছিলেন আফতাব ৷
পুলিশের জেরায় আফতাব জানিয়েছেন, গত 18 মে ঝগড়ার সময়েই শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। এরপর সারা রাত একই ঘরে শ্রদ্ধার মরদেহের সঙ্গে কাটান ! আর ভাবতে থাকেন, কীভাবে গ্রেফতারি এড়িয়ে প্রেমিকার দেহ লোপাট করবেন ! উপায় খুঁজতে দ্বারস্থ হন ইন্টারনেটের । বিখ্যাত একটি ইংরেজি ক্রাইম থ্রিলার সিরিজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই নাকি শ্রদ্ধার দেহ 35 টুকরো করেন আফতাব! তারপর 18 দিন ধরে সেই দেহখণ্ডগুলি এক এক করে দিল্লির নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দেন তিনি !
আরও পড়ুন: ফরিদাবাদের জঙ্গলে উদ্ধার সুটকেসবন্দি দেহখণ্ড কি শ্রদ্ধার ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ
দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার ঘনিষ্ঠ অন্তত ছ'জন দাবি করেছেন, আফতাব নিয়মিত নেশা করতেন। এমনকী, শ্রদ্ধাও | মাদাক সেবন করতেন বলতে দাবি করেছেন কেউ কেউ। কিন্তু, এই দাবির স্বপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ হাতে পায়নি পুলিশ ।