ETV Bharat / bharat

বস্তারে জওয়ানদের উপর হামলার মাস্টারমাইন্ড হিডমা, কে এই ছায়ামূর্তি ? - Maoist attack on 3rd april, 2021

গত 2, 3 এপ্রিল বিজাপুর-সুকমা সীমান্তে অভিযান চালায় বিশাল জওয়ান বাহিনী৷ খবর ছিল ওখানকার জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছে মাওবাদী নেতা হিডমা৷ না, ধরা পড়েনি সে৷ উল্টে তার জালেই নাকাল হয়েছে জওয়ানেরা৷ ব্যর্থ অভিযান৷ কে এই হিডমা?

Dreadest Leader
Hidma
author img

By

Published : Apr 7, 2021, 12:45 PM IST

Updated : Apr 7, 2021, 2:25 PM IST

বস্তার, 7 এপ্রিল : ছত্তিশগড়ের বস্তারে বিজাপুর-সুকমা এলাকায় এখনও শক্তিশালী মাওবাদী৷ তাদের ধরতেই ছক কষেছিলেন দেশের গোয়েন্দা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা ৷ গোয়ন্দা দফতরের কাছে খবর ছিল গেরিলা বাহিনীর প্রধান রয়েছে ওখানেই৷ তাদের পরিকল্পনায় শুক্রবার, 2 এপ্রিল রাতে জঙ্গল ঘেরাও করে জওয়ানরা৷ তাও ধরা পড়ল না কোনও মাওবাদী৷ কেন?

3 এপ্রিল, শনিবার

শুক্রবার রাত দশটা৷ ছত্তিশড়ের বস্তারে বিজাপুর-সুকমার গভীর জঙ্গলে মাওবাদী এলাকায় অভিযানে এসটিএফ, ডিআরজি, ছত্তিশগড়ের জেলা পুলিশ, সিআরপিএফ, বিশেষ কোবরা বাহিনী, সব মিলিয়ে 1800-র বেশি জওয়ান৷ লক্ষ্য মাওবাদীরা, আর তাদের শীর্ষনেতা হিডমা৷ আলিপুদা, জোনাগুডা, তারেমে এনকাউন্টার চালিয়ে বাহিনী ফিরে আসবে শনিবার ছ'টার মধ্যে, এমনই ছিল ছক৷

কী হল?

উল্টে গেল সব কিছু৷ মাওবাদীদের ধরা তো দূর, গুলি-পাল্টা গুলিতে প্রাণ হারালেন 22 জন জওয়ান৷ এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল জওয়ানদের নিথর দেহ৷ জখম 31৷ নিখোঁজ এক জওয়ান৷

কার ছকে অধরা মাওবাদীরা?

বিগত কয়েক বছর ধরে বিজাপুর-সুকমা সীমানায় খোঁজ চলছিল এই তরুণ নকশাল নেতার৷ নাম হিডমা৷ পুলিশের কাছে খুব বেশি ছবি নেই তার৷ তাই অনুমান, বয়স 35 থেকে 45-র মধ্যে৷ জাগারগুন্ডার পাভার্তি গ্রামে জন্ম৷ পুলিশের খাতায় কোথাও তার নাম মান্ডাভি, কোথাও মাডভি৷ তবে হিডমা নামে সবাই চেনে তাকে৷ ছিপছিপে হিডমা ছায়ার মতো মিশে থাকতে জানে গভীর জঙ্গলের আরও গভীরে৷ অথচ সে-ই পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির 1 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের অন্যতম প্রধান ৷ রামান্নার পর দুর্ধর্ষ অন্যতম এই মাওবাদী প্রধানের মাথার জন্য ছত্তিশগড় সরকার দাম হেঁকেছে 40 লক্ষ টাকা৷

হিডমার উত্থান

1990-এর শেষ দিকে মাওবাদী দলে নাম লেখায় হিডমা৷ তার দক্ষতায় সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটি স্পেশ্যাল জোনাল কমিটির (ডিকেএসজেসি) প্রধান করে তাকে৷ সর্বকনিষ্ঠ হয়েও দ্রুত শীর্ষপদে৷ এখন অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্র-জুড়ে দণ্ডকারণ্যে রাজত্ব গেরিলা বাহিনীর এই প্রধানের৷ মাওবাদীদের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি এই অঞ্চল৷

2010 সালে ছত্তিশগড়ে তাডমেটলায় 76 জন জওয়ানের মৃত্যুতে উঠে আসে হিডমার নাম৷ এর পর 2013, মহেন্দ্র কর্মা, নন্দকুমার প্যাটেল আর ভিসি শুক্লার মতো কংগ্রেস নেতাদের হত্যায় ফের তার নাম ৷ এ ছাড়া দরভা, বস্তারে ঝিরম উপত্যকায় আক্রমণ চালায় মাওবাদীরা তার নেতৃত্বে৷ 2017-য় বুরকাপালে মাওবাদী-জওয়ান সংঘর্ষে নিহত হয় 24 জন সিআরপিএফ জওয়ান৷ পরিকল্পনায় সেই রহস্যময় হিডমা ৷ আর তার স্ত্রী রাজে ৷

3 এপ্রিলও সরকারের বিপুল নিরাপত্তা বাহিনীকে চেক-মেট করতে ছক কষেছিল হিডমাই ৷ জঙ্গলের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ায় যে অনায়াসে, তাকে ধরা কি সহজ ছিল? পুলিশের কাছে খবর ছিল হিডমা রয়েছে তারেমের জঙ্গলে ৷ কিন্তু নেতাকে ধরতে গিয়ে তারই জালে জড়িয়ে নাকাল হল খোদ কোবরা-সহ বিশাল বাহিনী ৷

বস্তার, 7 এপ্রিল : ছত্তিশগড়ের বস্তারে বিজাপুর-সুকমা এলাকায় এখনও শক্তিশালী মাওবাদী৷ তাদের ধরতেই ছক কষেছিলেন দেশের গোয়েন্দা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা ৷ গোয়ন্দা দফতরের কাছে খবর ছিল গেরিলা বাহিনীর প্রধান রয়েছে ওখানেই৷ তাদের পরিকল্পনায় শুক্রবার, 2 এপ্রিল রাতে জঙ্গল ঘেরাও করে জওয়ানরা৷ তাও ধরা পড়ল না কোনও মাওবাদী৷ কেন?

3 এপ্রিল, শনিবার

শুক্রবার রাত দশটা৷ ছত্তিশড়ের বস্তারে বিজাপুর-সুকমার গভীর জঙ্গলে মাওবাদী এলাকায় অভিযানে এসটিএফ, ডিআরজি, ছত্তিশগড়ের জেলা পুলিশ, সিআরপিএফ, বিশেষ কোবরা বাহিনী, সব মিলিয়ে 1800-র বেশি জওয়ান৷ লক্ষ্য মাওবাদীরা, আর তাদের শীর্ষনেতা হিডমা৷ আলিপুদা, জোনাগুডা, তারেমে এনকাউন্টার চালিয়ে বাহিনী ফিরে আসবে শনিবার ছ'টার মধ্যে, এমনই ছিল ছক৷

কী হল?

উল্টে গেল সব কিছু৷ মাওবাদীদের ধরা তো দূর, গুলি-পাল্টা গুলিতে প্রাণ হারালেন 22 জন জওয়ান৷ এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল জওয়ানদের নিথর দেহ৷ জখম 31৷ নিখোঁজ এক জওয়ান৷

কার ছকে অধরা মাওবাদীরা?

বিগত কয়েক বছর ধরে বিজাপুর-সুকমা সীমানায় খোঁজ চলছিল এই তরুণ নকশাল নেতার৷ নাম হিডমা৷ পুলিশের কাছে খুব বেশি ছবি নেই তার৷ তাই অনুমান, বয়স 35 থেকে 45-র মধ্যে৷ জাগারগুন্ডার পাভার্তি গ্রামে জন্ম৷ পুলিশের খাতায় কোথাও তার নাম মান্ডাভি, কোথাও মাডভি৷ তবে হিডমা নামে সবাই চেনে তাকে৷ ছিপছিপে হিডমা ছায়ার মতো মিশে থাকতে জানে গভীর জঙ্গলের আরও গভীরে৷ অথচ সে-ই পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির 1 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের অন্যতম প্রধান ৷ রামান্নার পর দুর্ধর্ষ অন্যতম এই মাওবাদী প্রধানের মাথার জন্য ছত্তিশগড় সরকার দাম হেঁকেছে 40 লক্ষ টাকা৷

হিডমার উত্থান

1990-এর শেষ দিকে মাওবাদী দলে নাম লেখায় হিডমা৷ তার দক্ষতায় সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটি স্পেশ্যাল জোনাল কমিটির (ডিকেএসজেসি) প্রধান করে তাকে৷ সর্বকনিষ্ঠ হয়েও দ্রুত শীর্ষপদে৷ এখন অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্র-জুড়ে দণ্ডকারণ্যে রাজত্ব গেরিলা বাহিনীর এই প্রধানের৷ মাওবাদীদের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি এই অঞ্চল৷

2010 সালে ছত্তিশগড়ে তাডমেটলায় 76 জন জওয়ানের মৃত্যুতে উঠে আসে হিডমার নাম৷ এর পর 2013, মহেন্দ্র কর্মা, নন্দকুমার প্যাটেল আর ভিসি শুক্লার মতো কংগ্রেস নেতাদের হত্যায় ফের তার নাম ৷ এ ছাড়া দরভা, বস্তারে ঝিরম উপত্যকায় আক্রমণ চালায় মাওবাদীরা তার নেতৃত্বে৷ 2017-য় বুরকাপালে মাওবাদী-জওয়ান সংঘর্ষে নিহত হয় 24 জন সিআরপিএফ জওয়ান৷ পরিকল্পনায় সেই রহস্যময় হিডমা ৷ আর তার স্ত্রী রাজে ৷

3 এপ্রিলও সরকারের বিপুল নিরাপত্তা বাহিনীকে চেক-মেট করতে ছক কষেছিল হিডমাই ৷ জঙ্গলের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়ায় যে অনায়াসে, তাকে ধরা কি সহজ ছিল? পুলিশের কাছে খবর ছিল হিডমা রয়েছে তারেমের জঙ্গলে ৷ কিন্তু নেতাকে ধরতে গিয়ে তারই জালে জড়িয়ে নাকাল হল খোদ কোবরা-সহ বিশাল বাহিনী ৷

Last Updated : Apr 7, 2021, 2:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.