দিল্লি, 28 ফেব্রুয়ারি: ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও পোক্ত হল দেশের নজরদারি ব্য়বস্থা ৷ যুদ্ধজাহাজ এবং বাণিজ্য তরী, এই দুইয়ের উপর নজর রাখার জন্য ‘সিন্ধু নেত্র’ নামে একটি উপগ্রহ তৈরি করেছেন ডিআরডিও (ডিফেন্স রিসার্চ অ্য়ান্ড ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশন)-র একদল তরুণ বিজ্ঞানী ৷ রবিবার মহাকাশে উপগ্রহটির সফল প্রতিস্থাপন করা হয় ৷
এদিন সকাল সাড়ে দশটায় ‘সিন্ধু নেত্র’কে মহাকাশে পাঠায় ইসরোর পিএসএলভি-সি51 ক্ষেপণাস্ত্র ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সফল উৎক্ষেপণ করা হয় উপগ্রহটির ৷
সিন্ধু নেত্রর বিশেষত্ব হল, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ এবং বাণিজ্য তরীর মধ্যে সঠিক বিভাজন করতে সক্ষম ৷ সরকারি সূত্রে খবর, টার্গেট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য় স্থলভাগে থাকা ইউনিটের সঙ্গেও ভাগ করে নেবে এই উপগ্রহটি ৷ এছাড়া, প্রয়োজন হলে নির্বাচিত কিছু এলাকায় আলাদাভাবেও নজরদারি করতে সক্ষম সিন্ধু নেত্র ৷ যেমন, দক্ষিণ চিন সাগর ও জলদস্যু অধ্যুষিত উপসাগরীয় এবং আফ্রিকার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিও সিন্ধু নেত্রের দৃষ্টসীমার মধ্যে থাকবে ৷
আরও পড়ুন: বছরভর ব্য়স্ত থাকবে ইসরো, জানালেন চেয়ারম্য়ান
সূত্রের খবর, আগামী দিনে ভারত-পাক ও ভারত-চিন সীমান্ত-সহ লাদাখে নজরদারি চালানোর জন্য একগুচ্ছ উপগ্রহ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ডিআরডিও-র ৷ সিন্ধু নেত্র সেই সিরিজের প্রথম সংস্করণ ৷
গালওয়ান কাণ্ডের পর চিনের উপর নজরদারি আরও পোক্ত করতে চাইছে ভারত ৷ ভারতীয় ভূখণ্ড লাগোয়া এলাকায় লাল ফৌজ কী করছে, পাশাপাশি চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাতেই বা গতিবিধি কী, তার উপর সবসময় নজর রাখতে চাইছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী ৷ এরজন্য চার থেকে ছ’টি উপগ্রহ ব্য়বহার করতে চাইছে তারা ৷ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকারও ৷