নয়াদিল্লি, 12 অগস্ট: বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ শনিবার এমনটাই দাবি করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী ৷ শনিবার কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছে, তাঁকে লোকসভা থেকে বের করে দিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদের স্বরকে রুদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে নরেন্দ্র মোদি নেতত্বাধীন সরকার ৷ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মোদির জবাবি ভাষণের দিন অধীর চৌধুরীকে অসংসদীয় আচরণের জন্য লোকসভার থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷
শনিবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের এই আচরণ সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বতন্ত্রতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে ৷’’ এমনকী অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষ না-করেই মোদি সরকার একের পর এক বিল লোকসভায় পেশ করিয়েছে ৷ যা সংসদীয় রীতির পরিপন্থী ৷ কেন্দ্রের এই আচরণ সরাসরি সংসদীয় নীতিকে উল্লঙ্ঘন করার সামিল বলে দাবি করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা ৷ এমনকী বিরোধী দলগুলিকে এই সমস্ত বিলগুলি নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের সাংসদ ৷
বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ বাদল অধিবেশনের শুরুতেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল ৷ সেই প্রস্তাব অধ্যক্ষ গ্রহণ করলেও, সেটি পরে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ ৷ যা অনৈতিক বলে এ দিন দাবি করেন অধীর ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘1978 সালে তৎকালীন বিরোধী শিবির সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল ৷ সেই প্রস্তাব নির্দিষ্ট ওই দিনেই আলোচনা হয়েছিল ৷ ফলে সংসদের কাজকর্ম বিনা বাধায় চলেছিল ৷ কিন্তু, নরেন্দ্র মোদি চাঁদ থেকে চিতা নিয়ে কথা বলছেন ৷ তাই বিরোধীদের মনে হয়েছে, তাঁর মণিপুর নিয়েও কথা বলা উচিত ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী তা করেননি ৷’’
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা ক্যবিনেট মন্ত্রীদের মতোই গুরুত্বপূর্ণ, মত প্রধানমন্ত্রী মোদির
গত বৃহস্পতিবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে লোকসভায় আলোচনার মাঝেই অধীরকে সাসপেন্ড করা হয় ৷ অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সংসদে অনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস দলনেতা ৷ এই অভিযোগে অধীর চৌধুরীর সাসপেনশনের দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা কাছে একটি আবেদন করেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ৷ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই অধ্যক্ষ ওম বিড়লা কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করেন ৷