নয়াদিল্লি, 12 অগস্ট : দিল্লি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিহত নাবালিকার দেহাবশেষের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করল তার পরিবার ৷ বুধবার মৃতার মা-বাবাই মেয়ের শেষকৃত্যের কাজ করেন ৷ দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটির দেহের অধিকাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছিল ৷ তবে তার পায়ের পাতা দু’টি অক্ষত ছিল ৷ বুধবার অবশিষ্ট দেহাবশেষ-সহ মেয়েটির পায়ের পাতাই অন্ত্যেষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয় ৷ প্রসঙ্গত, 2 অগস্টের ওই ঘটনার পর তদন্তের স্বার্থেই পুলিশ 9 বছরের বালিকার দেহাবশেষ সংরক্ষণ করে ৷ বুধবার সেই দেহাবশেষ দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের তরফ থেকে মেয়েটির বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এরপর গ্রামের শ্মশানেই নাবালিকার শেষকৃত্য করা হয় ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন 15 থেকে 20 জন ৷
আরও পড়ুন : Abhishek on Delhi Rape : দিল্লিতে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, টুইটে অমিতকে তুলোধনা অভিষেকের
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) প্রতাপ সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দিল্লির পুরনো নঙ্গলের বাসিন্দা নাবালিকার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে ৷ তার মা-বাবাই সেই কাজ করেছেন ৷’’ প্রতাপ জানিয়েছেন, স্থানীয় শ্মশানে মেয়েটির অন্ত্যেষ্টি চলাকালীন সেখানে 25 থেকে 30 জনের একটা জটলা এসে জড়ো হয় ৷ তাঁরা শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ৷ কিন্তু মৃতার পরিবারের সদস্যরা তাতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ তাঁদের ফিরে যেতে বলে ৷ প্রসঙ্গত, গত 2 অগস্ট নাবালিকার মৃত্যুর পরই তাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ সামনে আসে ৷ এরপর প্রতিবাদে সামিল হন বেশ কিছু মানুষ ৷ সেনার ক্যান্টনমেন্টের কাছেই তাঁবু খাঁটিয়ে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ ৷ পুলিশের দাবি, মেয়েটির শেষকৃত্যে যাঁরা অংশ নিতে এসেছিলেন, তাঁরা সকলেই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী জনতা ৷
আরও পড়ুন : Delhi Rape : নিরাপত্তার স্বার্থে সেনার জমি থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷ মৃতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302, 376 এবং 506 নম্বর ধারায় মামলা শুরু করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, পকসো আইন এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি আইনের বিভিন্ন ধারাও এই মামলায় যোগ করা হয়েছে ৷ গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনও ৷ ইতিমধ্যেই তাদের তরফে স্থানীয় জেলাশাসককে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে ৷ জেলাশাসকের দফতরের পক্ষ থেকেও গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ৷