নয়াদিল্লি, 18 অক্টোবর: 2008 সালে টিভি সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথন হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল সাকেত আদালত ৷ বুধবার দায়রা বিচারক রবীন্দ্র কুমার পান্ডে চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করলেও রায়দান পর্ব স্থগিত রেখেছেন ৷
এদিন আদালত সৌম্যা হত্যার জন্য রবি কাপুর, অমিত শুক্লা, বলজিৎ মালিক এবং অজয় কুমারকে দোষী সাব্যস্ত করে ৷ একইসঙ্গে মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাদের ৷ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পঞ্চম অভিযুক্ত অজয় শেঠিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির 411 ধারা (চুরি করা সম্পত্তি গ্রহণ), সংগঠিত অপরাধের ষড়যন্ত্র এবং সহায়তা করার জন্য মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এদিন সাজা ঘোষণার সময় সব আসামীকেই আদালতে শারীরিকভাবে উপস্থিত করা হয় ৷ উল্লেখ্য, সাংবাদিক সৌম্যা বিশ্বনাথনকে 30 সেপ্টেম্বর, 2008 সালে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাত প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি ছিল, হত্যার পিছনে মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্য ছিল ৷ এরপরই হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে পাঁচ অভিযুক্ত রবি কাপুর, অমিত শুক্লা, বালজিৎ মালিক, অজয় কুমার এবং অজয় শেট্টিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
এরা সকলেই 2009 সালের মার্চ থেকে জেল হেফাজতে ছিল। পুলিশ এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পাশাপাশি কঠোর মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট-এও মামলা রুজু করে ৷ বলজিৎ এবং অন্য দুইজন, রবি কাপুর এবং অমিত শুক্লা, এর আগে 2009 সালে আইটি এক্সিকিউটিভ জিগিশা ঘোষকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
সৌম্যা বিশ্বনাথনের মা মাধবী বিশ্বনাথন এদিন দিল্লির সাকেত আদালতে মেয়েকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত চার জনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন ৷ তিনি জানান, তাদের পরিবারকে যা ভোগ করতে হয়েছে সেটাই যেন এই দোষীদের ভোগ করতে হয়। মাধবী বিশ্বনাথন এদিন বলেন, "আমরা আমাদের মেয়েকে হারিয়েছি। আমরা দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করছি ৷ আমরা যা ভোগ করেছি তা তাদেরও ভোগ করতে হবে।" আদালত আগামী 26 অক্টোবর সাজা ঘোষণার দিন ধার্য করেছে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রবীন্দ্র কুমার পান্ডে জানান, সন্দেহাতীতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুন্তল ঘোষের অভিযোগ শুনতে হবে, বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
প্রসঙ্গত, গত 2017 সালে আদালত জিগিশা ঘোষ হত্যা মামলায় রবি কাপুর এবং অমিত শুক্লাকে মৃত্যুদণ্ড এবং বলজিৎ মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। যদিও হাইকোর্ট রবি কাপুর এবং অমিত শুক্লার মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করে ৷