নয়াদিল্লি, 22 অগস্ট: স্ত্রী, কিন্তু সে নাবালিকা ! তাই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল নাবালিকা স্ত্রীকে ধর্ষণ করার ৷ কিন্তু সেই মামলা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মঙ্গলবার মুক্তি দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট ৷ এক্ষেত্রে ট্রায়াল কোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট ৷ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, 15 বছরের ওই নাবালিকার সঙ্গে ওই ব্যক্তির বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল ফলে বিষয়টিকে কখনই ধর্ষণ বলা যাবে না ৷ এই বিষয়ে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কথা উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, এই আইন মোতাবেক 15 বছর বা তার বেশি বয়সি মেয়ে তার ইচ্ছেয় বিয়ে করতে পারে ৷
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশকুমার কৈট ও বিচারপতি নীনা বনসলের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয় ৷ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 2014 সালের ডিসেম্বরে নাবালিকা থাকাকালীন ওই মহিলা ওই মহিলা ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন স্বেচ্ছায়, তারপর তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় ৷ তাই এক্ষেত্রে ট্রায়াল কোর্টের রায়ই সঠিক, ওই ব্যক্তি দোষী নন ৷ হাইকোর্ট এদিন জানায়, পকসো আইনের নির্দিষ্ট ধারায় ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না ৷ তাই ওই অভিযোগ খারিজ করা হচ্ছে ৷
2016 সালের 15 নভেম্বর নিম্ন আদালত এই মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে রেহাই দেয় ৷ এর বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা করা হয়৷ এই মামলার মূল অভিযোগকারী ছিলেন তৎকালীন ওই নাবালিকার মা ৷ মূল অভিযোগ ছিল, সম্পর্কে আত্মীয় ওই ব্যক্তি তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে ৷ পরে মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা যায় সে গর্ভবতীও ৷ পরে মামলা চলাকালীন ওই নাবালিকা আদালতে জানিয়েছিল, পরিবারকে অন্ধকারে রেখেই সে ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করে এবং পরে পরিবারকে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের কথাও জানায় ৷
আরও পড়ুন: স্ত্রীর উপর রাগে 8 বছরের মেয়েকে গলা কেটে খুন বাবার !
তবে আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে রায় দেয়, ওই নাবালিকাও একজন মুসলিম ও সম্পর্কে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ৷ সেই সূত্রেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে ৷ ফলে বিষয়টিকে ধর্ষণ বলা যায় না ৷ কারণ, মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডে বলা হয়েছে, 15 বছর বা তার বেশি বয়সি মেয়ে তার ইচ্ছায় বিয়ে করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ককে অপরাধ বলা যাবে না ৷ উল্লেখ্য, 18 বছরের কম বয়সি মুসলিম মেয়েদের বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা করার দাবিতে দায়ের হওয়া একটি মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনাধীন ৷ তবে এর আগে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জানিয়েছে, মুসলিম পার্সোনাল ল্য বোর্ডের আইন মেনে 15 বছর বা তার বেশি বয়সি মুসলিম মেয়ে তাদের ইচ্ছেয় বিয়ে করতে পারে ৷ (তথ্যসূত্র- পিটিআই)