নয়াদিল্লি, 25 জুন : করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাব নিয়ে দিল্লি আর কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয় ৷ এনিয়ে দিল্লি সরকার আদালতের দ্বারস্থ হয় ৷ দিল্লির অক্সিজেনের প্রয়োজনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্ট একটি অডিট কমিটি তৈরি করে ৷ এই অক্সিজেন অডিট কমিটি সুপ্রিম কোর্টে তাদের রিপোর্ট জমা দিল ৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, দিল্লি তার প্রয়োজনের তুলনায় চারগুণ বেশি অক্সিজেনের দাবি করেছে, ফলস্বরূপ অন্য রাজ্যগুলোতে অক্সিজেনে টান পড়ে ৷
এপ্রিল-মে মাস নাগাদ দিল্লির বেশ কিছু হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল না ৷ ফলে সংকটজনক কোভিড-19 রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা যান ৷ এ নিয়ে কেজরিওয়াল সরকার আর কেন্দ্রের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয় ৷ দিল্লি হাইকোর্টের মধ্যস্থতায়, কেন্দ্র সেই সময় দিল্লিতে অক্সিজেনের বরাদ্দ সংশোধন করে ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী সেই সময় দিল্লির 300 মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন ছিল, কিন্তু দিল্লি সরকার 1200 মেট্রিক টন অক্সিজেনের দাবি করে ৷ এর ফলে 12টি রাজ্যের বরাদ্দকৃত জীবনদায়ী অক্সিজেন দিল্লিতে পাঠাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার ৷
আরও পড়ুন : Corona in India : কিছুটা কমল দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ল মৃত্যু
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দিল্লি সরকার একটা ফর্মুলা তৈরি করে 260টি হাসপাতালে পাঠায় ৷ এই হাসপাতালগুলির মধ্যে 183টি হাসপাতালের তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে, এদের মধ্যে বড় হাসপাতালও রয়েছে ৷ এই হাসপাতাগুলি 1140 মেট্রিক টন অক্সিজেনের কথা জানিয়েছিল, যেখানে 209 মেট্রিক টন দরকার ছিল ৷ এই তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবে আসল প্রয়োজন 289 মেট্রিক টন, কিন্তু দিল্লি সরকারের ফর্মুলা অনুযায়ী তা 391 মেট্রিক টনে দাঁড়ায় ৷ এই দুটো ফর্মুলাকে পিছনে ফেলে দিল্লির চাহিদা অনেক বেশি ছিল ৷
কমিটির রিপোর্টে আইসিইউ বেড ছাড়া অক্সিজেনের হিসেবের কথাও বলা হয়েছে ৷ কোনও হাসপাতালে কম বেড থাকলেও প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি হিসেব দেখানো হয়েছে ৷