ইয়াদাগিরি (কর্নাটক), 28 জুন : এক পরিবারের ছ’জন সদস্য আত্মঘাতী হলেন একসঙ্গে ৷ এই ছ’জনের মধ্যে আবার চারজন শিশু রয়েছে ৷ মৃত্যুর কারণ আরও মর্মান্তিক ৷ ঋণে জর্জরিত হয়ে ওই পরিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে ৷ সেখানকার শাহাপুর তালুকের ডোরানাহাল্লিতে চাষের জন্য ব্যবহৃত একটি জলাশয়ে ঝাঁপ মারে ওই ছ’জন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শাহাপুর থানার পুলিশ ৷ দমকলের কর্মীরা গিয়ে উদ্ধার কাজে নামে ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ৷ বাকি দু’জনের সন্ধানে তল্লাশি চলছে ৷
আরও পড়ুন : করোনায় প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলির জন্য 1.1 লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম হল - ভীমার্য সুরাপুরা (45), তাঁর স্ত্রী শান্তাম্মা (36) এবং তাঁদের চার সন্তান সুমিত্রা, শ্রীদেবী, লক্ষ্মী ও শিবরাজ ৷ চার সন্তানের মধ্যে সুমিত্রার বয়স 12 ৷ বাকিদের বয়স এখনও জানা যায়নি ৷ অনুমান করা হচ্ছে যে বাকিরা সুমিত্রার থেকেও বয়সে ছোট ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে গত বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি যখন করোনার করাল থাবা ভারতের উপর পড়ে, তখন থেকেই বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ অনেকে আগে থেকেই ঋণগ্রস্ত ছিলেন, তাঁদের উপর ঋণের ফাঁদ আরও বেড়েছে ৷ অনেকে আবার করোনাকালে বেঁচে থাকতে ঋণের ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হয়েছেন ৷ ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তদের জীবনযাত্রা ভয়ঙ্কর অবস্থায় চলে গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Corona in India: দেশে নিম্নমুখী করোনার গ্রাফ, গত 24 ঘণ্টায় আক্রান্ত 46 হাজার, মৃত 979
সেখান থেকে মানুষ কিছুটা হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছিলেন ৷ কিন্তু চলতি বছরের মার্চে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সেই ধাক্কাকে আরও অনেকটা বাড়িয়ে দিল ৷ এবারও বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ এবারও ঋণের বোঝা ক্রমশ বহু মানুষের উপর চাপতে শুরু করেছে ৷
ভীমার্যর ক্ষেত্রেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল কি না, তা জানা যায়নি ৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷ কী ধরনের ঋণের ফাঁসে তিনি আটকে ছিলেন, সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে ৷ তাছাড়া এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : মহামারিতে জ্বালানির দাম বাড়িয়ে 8 লাখ কোটি আয় কেন্দ্রের, অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার