ETV Bharat / bharat

মা'কে খুন করে দেহ লোপাট, এক বছর পর 'গুণধর' মেয়ের কীর্তি এল সামনে

Daughter killed Mother: মা কে খুনে অভিযুক্ত মেয়ে ও জামাই ৷ মাইসোর এলাকার মান্ডিয়া গ্রামের ঘটনা ৷ গ্রেফতার 'গুণধর' মেয়ে ও জামাই ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 8, 2024, 8:56 PM IST

মান্ডিয়া (কর্ণাটক), 8 জানুয়ারি: মা'কে খুন করে দেহ কবর দিয়ে এক বছর ধরে দিব্যি বেড়াচ্ছিলেন চোখে ধুলো দিয়ে ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷ বছর ঘুরতেই পড়শিদের তৎপরতায় খুলে গেল হত্যাকারীদের মুখোশ ৷ কর্ণাটকের মাইসোরে এক প্রৌঢ়াকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ে ও জামাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ মৃতার নাম সারদাম্মা (50) ৷ অভিযুক্ত অনুশা ও তার স্বামী দেবরাজুকে মাইসোরের হারোহল্লি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

জানা গিয়েছে, সারদাম্মা নামের ওই পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা স্বামীর মৃত্যুর পর শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ তিনি মান্ডিয়ার হেব্বাকাভাডি গ্রামে একাই থাকতেন ৷ তবে মাঝে মাঝে মাইসোরের কাছে হারোহাল্লি গ্রামে দেখা করতে যেতেন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ৷ 2022 সালের নভেম্বর মাসেও গিয়েছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ৷ তখনই মা ও মেয়ের মধ্যে কোনও কারণে অশান্তি হয় ৷ কথা-কাটাকাটির মধ্য়েই সারদাম্মার মেয়ে তার মা'কে ধাক্কা মারে ৷ সেই ধাক্কার চোটে ঘটনাস্থলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সারদাম্মার ৷ প্রামাণ লোপাট করতে মৃতের মেয়ে অনুশা ও জামাই দেবরাজু রাতারাতি মান্ডিয়া গ্রামের হেব্বাকাভাডিতে ফিরে যান ৷ সেখানেই ওই মহিলাকে কবর দেন ৷

এদিকে পাড়া-পড়শি ও আত্মীয় স্বজন দীর্ঘদিন ওই মহিলাকে দেখতে না-পেয়ে মেয়ে-জামাইয়ের কাছে খোঁজ নিতে যায় ৷ মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলে সন্দেহ হওয়ায় সমস্ত ঘটনাটি পুলিশে জানায় প্রতিবেশীরা ৷ পুলিশ এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর অভিযুক্তদের আটক করে ৷ পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা খুনের কথা স্বীকার করে নেয় ৷ সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মান্ডিয়া গ্রামীণ থানার পুলিশ ৷ মান্ডিয়া এলাকার তহসিলদার শিবকুমার বিরাদারের নেতৃত্বে কবর থেকে দেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয় তদন্তের স্বার্থে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মহিলার দেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ ৷ সংশ্লিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ৷ দেহটি ওই জায়গায় আছে কি না, তা নিয়েও ধন্দে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. দাহ করার করার পরও জীবিত ব্যক্তি বাড়ি ফিরলেন! ধন্দে পুলিশ
  2. ধর্ষণের অভিযোগ, রাজস্থানের প্রাক্তন বিধায়ক মেওয়ারাম জৈনকে সাসপেন্ড কংগ্রেসের
  3. খুন করে বৃদ্ধের মৃতদেব ড্রেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, উদ্ধার স্ত্রী-ছেলের

মান্ডিয়া (কর্ণাটক), 8 জানুয়ারি: মা'কে খুন করে দেহ কবর দিয়ে এক বছর ধরে দিব্যি বেড়াচ্ছিলেন চোখে ধুলো দিয়ে ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷ বছর ঘুরতেই পড়শিদের তৎপরতায় খুলে গেল হত্যাকারীদের মুখোশ ৷ কর্ণাটকের মাইসোরে এক প্রৌঢ়াকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ে ও জামাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ মৃতার নাম সারদাম্মা (50) ৷ অভিযুক্ত অনুশা ও তার স্বামী দেবরাজুকে মাইসোরের হারোহল্লি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

জানা গিয়েছে, সারদাম্মা নামের ওই পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা স্বামীর মৃত্যুর পর শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ তিনি মান্ডিয়ার হেব্বাকাভাডি গ্রামে একাই থাকতেন ৷ তবে মাঝে মাঝে মাইসোরের কাছে হারোহাল্লি গ্রামে দেখা করতে যেতেন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ৷ 2022 সালের নভেম্বর মাসেও গিয়েছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ৷ তখনই মা ও মেয়ের মধ্যে কোনও কারণে অশান্তি হয় ৷ কথা-কাটাকাটির মধ্য়েই সারদাম্মার মেয়ে তার মা'কে ধাক্কা মারে ৷ সেই ধাক্কার চোটে ঘটনাস্থলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সারদাম্মার ৷ প্রামাণ লোপাট করতে মৃতের মেয়ে অনুশা ও জামাই দেবরাজু রাতারাতি মান্ডিয়া গ্রামের হেব্বাকাভাডিতে ফিরে যান ৷ সেখানেই ওই মহিলাকে কবর দেন ৷

এদিকে পাড়া-পড়শি ও আত্মীয় স্বজন দীর্ঘদিন ওই মহিলাকে দেখতে না-পেয়ে মেয়ে-জামাইয়ের কাছে খোঁজ নিতে যায় ৷ মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলে সন্দেহ হওয়ায় সমস্ত ঘটনাটি পুলিশে জানায় প্রতিবেশীরা ৷ পুলিশ এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর অভিযুক্তদের আটক করে ৷ পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা খুনের কথা স্বীকার করে নেয় ৷ সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মান্ডিয়া গ্রামীণ থানার পুলিশ ৷ মান্ডিয়া এলাকার তহসিলদার শিবকুমার বিরাদারের নেতৃত্বে কবর থেকে দেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয় তদন্তের স্বার্থে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মহিলার দেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ ৷ সংশ্লিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ৷ দেহটি ওই জায়গায় আছে কি না, তা নিয়েও ধন্দে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন:

  1. দাহ করার করার পরও জীবিত ব্যক্তি বাড়ি ফিরলেন! ধন্দে পুলিশ
  2. ধর্ষণের অভিযোগ, রাজস্থানের প্রাক্তন বিধায়ক মেওয়ারাম জৈনকে সাসপেন্ড কংগ্রেসের
  3. খুন করে বৃদ্ধের মৃতদেব ড্রেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, উদ্ধার স্ত্রী-ছেলের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.