মান্ডিয়া (কর্ণাটক), 8 জানুয়ারি: মা'কে খুন করে দেহ কবর দিয়ে এক বছর ধরে দিব্যি বেড়াচ্ছিলেন চোখে ধুলো দিয়ে ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷ বছর ঘুরতেই পড়শিদের তৎপরতায় খুলে গেল হত্যাকারীদের মুখোশ ৷ কর্ণাটকের মাইসোরে এক প্রৌঢ়াকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ে ও জামাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ মৃতার নাম সারদাম্মা (50) ৷ অভিযুক্ত অনুশা ও তার স্বামী দেবরাজুকে মাইসোরের হারোহল্লি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, সারদাম্মা নামের ওই পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা স্বামীর মৃত্যুর পর শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ তিনি মান্ডিয়ার হেব্বাকাভাডি গ্রামে একাই থাকতেন ৷ তবে মাঝে মাঝে মাইসোরের কাছে হারোহাল্লি গ্রামে দেখা করতে যেতেন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ৷ 2022 সালের নভেম্বর মাসেও গিয়েছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ৷ তখনই মা ও মেয়ের মধ্যে কোনও কারণে অশান্তি হয় ৷ কথা-কাটাকাটির মধ্য়েই সারদাম্মার মেয়ে তার মা'কে ধাক্কা মারে ৷ সেই ধাক্কার চোটে ঘটনাস্থলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সারদাম্মার ৷ প্রামাণ লোপাট করতে মৃতের মেয়ে অনুশা ও জামাই দেবরাজু রাতারাতি মান্ডিয়া গ্রামের হেব্বাকাভাডিতে ফিরে যান ৷ সেখানেই ওই মহিলাকে কবর দেন ৷
এদিকে পাড়া-পড়শি ও আত্মীয় স্বজন দীর্ঘদিন ওই মহিলাকে দেখতে না-পেয়ে মেয়ে-জামাইয়ের কাছে খোঁজ নিতে যায় ৷ মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলে সন্দেহ হওয়ায় সমস্ত ঘটনাটি পুলিশে জানায় প্রতিবেশীরা ৷ পুলিশ এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পর অভিযুক্তদের আটক করে ৷ পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা খুনের কথা স্বীকার করে নেয় ৷ সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মান্ডিয়া গ্রামীণ থানার পুলিশ ৷ মান্ডিয়া এলাকার তহসিলদার শিবকুমার বিরাদারের নেতৃত্বে কবর থেকে দেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয় তদন্তের স্বার্থে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত মহিলার দেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ ৷ সংশ্লিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ৷ দেহটি ওই জায়গায় আছে কি না, তা নিয়েও ধন্দে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: