রাঁচি, 11 জানুয়ারি: আবারও মাওবাদী হামলার (Maoist Attack) শিকার হতে হল সিআরপিএফ জওয়ানদের (CRPF Jawans) ৷ বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মাওবাদী অধ্যুষিত চাইবাসা শহরে (Chaibasa Town) ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিনের হামলায় অন্তত পাঁচজন জওয়ান আহত হয়েছেন ৷ এদিন চাইবাসায় মাওদমন অভিযান চলছিল ৷ সেই সময় হঠাৎই আইইডি বিস্ফোরণ (IED Blast) ঘটে ৷ তার জেরেই আহত হন পাঁচ জওয়ান ৷ স্থানীয় টন্টো থানা (Tonto Police Station) এলাকার সারজান বুরুতে (Sarjan Buru) আক্রান্ত হন তাঁরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে আহত জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য রাঁচি নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হয় ৷ বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁদের এয়ারলিফট করে রাজধানী শহরে আনা হয় ৷
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ধানবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেই বিস্ফোরণে চারজন গুরুতরভাবে জখম হন ৷ স্থানীয় একটি সবজি বাজারে এই বোমা ছোড়া হয় ৷ প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি বাইকে সওয়ার হয়ে ওই বাজারে এসেছিলেন ৷ তাঁর বাইকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক রাখা ছিল ৷ তিনিই বাজারে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন ৷ এদিকে, সরকার পক্ষের দাবি, রাজ্য তথা দেশে মাওবাদীদের দাপাদাপি কমছে ৷ অথচ, মাওবাদী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটছে ৷ এ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: 24 এর লোকসভা ভোটের আগেই দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে, ছত্তিশগড়ে বললেন অমিত শাহ
সংসদের সদ্য শেষ হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে মাওবাদীদের হামলা 77 শতাংশ কমেছে ৷ 2010 সালে যেখানে সারা দেশে মোট 2 হাজার 213টি এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছিল, 11 বছর পর, অর্থাৎ 2021 সালে তা কমে হয়েছে 509 ৷ একইসঙ্গে, সরকারের দাবি, এই 11 বছরে মাওবাদী হামলায় মৃত্যুর ঘটনা কমেছে 85 শতাংশ ৷ 2010 সালে সংখ্যাটি ছিল 1 হাজার 5 ৷ গত বছর সেটি কমে হয়, 147 ৷
কেন্দ্রের দাবি, সরকার ও নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতার জেরেই মাওবাদীদের আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে ৷ কিন্তু, তারপরও বারবার মাওবাদী হামলার ঘটনা সামনে আসছে ৷ যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, 2010 সালে দেশের 96টি জেলার অন্তর্গত 465টি থানা এলাকায় মাওবাদীরা সক্রিয় ছিল ৷ 2021 সালে সেই সক্রিয়তা 46টি জেলার 191টি থানা এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে ৷