ভুবনেশ্বর, 21 মে: এক মাসে বিদ্যুৎ বিল প্রায় 8 কোটি টাকা ৷ নিশ্চয় ভাবছেন এ কী করে সম্ভব অথবা কোনও বড় করাখানার বিল কিংবা নিদেনপক্ষে শিল্পপতির বাড়ির বিদ্যুৎ বিল ৷ না, এগুলোর কোনটাই নয় ৷ এবার তবে খুলে বলা যাক বিষয়টা ৷ গত এপ্রিল মাসে 7 কোটি 90 লক্ষ 35 হাজার 456 টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছে আপনার-আমার মতোই সাধারণ এক গ্রাহকের বাড়িতে ৷ শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি ৷ এমনকী দেশের বাইরেও নয় ৷ ঘটনাটি পড়শি রাজ্য অর্থাৎ ওড়িশার ভুবনেশ্বরের ৷
ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা দুর্গাপ্রসাদ পট্টনায়েক ৷ আর পাঁচজন সাধারণ মধ্যবিত্ত নাগরিকের মতো পরিবারের সঙ্গে নীলাদ্রি বিহার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন তিনি ৷ মার্চ মাসেই তিনি বাড়িতে স্মার্ট ডিজিটাল মিটার বসিয়েছেন ৷ তারপরেই যত কাণ্ড! মাসে 600-700 টাকার বিদ্যুতের বিল এক ধাক্কায় প্রায় 8 কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে ৷ যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ দুর্গাপ্রসাদের ৷
বিদ্যুৎ বিল দেখে মধ্যবিত্ত দুর্গাপ্রসাদ পট্টনায়েক জানান, তিনি সাধারণত বাড়ির বিদ্যুৎ বিল-বাবদ প্রতিমাসে 700 থেকে 1500 টাকা দিতেন ৷ কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসিয়েছেন ৷ তারপর থেকেই ঘটছে যত অদ্ভূতুড়ে কাণ্ড ৷ কার্যত এক ধাক্কায় কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের বিল ৷ তিনি আরও জানান গত মাসেও অনলাইনের মাধ্যমে তিনি বিদ্যুতের বিল দিয়েছেন 6 হাজার টাকা ৷ যা দেখে তিনি খানিক অবাকই হয়েছিলেন ৷ মে মাসের বিল দেখে তো তিনি আরও হতবাক ৷ সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের মতে এটা কোনও প্রযুক্তিগত ভুল ৷ ইতিমধ্যেই বিষয়টি টুইট করে বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েছেন দুর্গাপ্রসাদ বাবু ৷ পাশিপাশি একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যুৎ দফতরে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ দফতর থেকে কোনও সদুত্তর বা সমাধান তিনি পাননি ৷
আরও পড়ুন: আলমারি থেকে 2 কোটির বেশি নগদ ও সোনা উদ্ধার
সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে স্মার্ট মিটার বাড়িতে বসানোর আগে তা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেই ব্যাপারেও নাগরিক সচেতনতা দরকার বলে উল্লেখ করেছেন দুর্গাপ্রসাদ বাবু ৷ এই সম্পর্কিত একটি ভিডিয়ো থাকা উচিত বলে মত তাঁর ৷ যাতে সাধারণ নাগরিক স্মার্ট মিটারের ব্যবহার জানতে পারেন ৷ সেইসঙ্গে প্রতারণার হাত থেকেও বাঁচতে পারে ৷ পাশাপাশি বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার পরিষেবাও স্বচ্ছ থাকা উচিত বলে দাবি দুর্গাপ্রসাদ বাবুর ৷ ৷