নয়াদিল্লি, 5 নভেম্বর: মঙ্গলবার 6 ডিসেম্বরের বৈঠকে 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিকদের অনুপস্থিতির বিষয়টিকে কার্যত অস্বীকার করল কংগ্রেস ৷ একই সঙ্গে দলের তরফে জানানো হয়েছে, জোট 'অক্ষত'ই আছে ৷ এআইসিসি'র অন্যতম নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে 6 ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকেছেন। খাড়গে জোটের সমস্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করছেন। এটি সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে, যেখানে প্রায় 27 বা 28টি দল অংশগ্রহণ করবে। জোটের নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে না ৷ এরপরে শীঘ্রই বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে বলে সকলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ৷”
জয়রাম রমেশ বলেন, “2024 লোকসভা নির্বাচনের জন্য সময় খুব কম। কংগ্রেস সমস্ত আন্তরিকতায়, সমস্ত শক্তি দিয়ে, সমস্ত সংকল্পে প্রস্তুত হবে। আমরা সেই মতোই পদক্ষেপ নিচ্ছি ৷” খবর অনুযায়ী, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন-সহ সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব 6 ডিসেম্বরের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ যদিও দলের তরফে তাঁরা প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন বলে মনে করছে কংগ্রেস ৷
রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরাম পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে ৷ এমন সময় প্রায় দুই মাসেরও বেশি ব্যবধানের পর জোটের এই বৈঠক হতে চলেছে। যদিও কংগ্রেস ম্যানেজাররা ভেবেছিল যে, তারা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফলই করবে ৷ একই সঙ্গে জোট সঙ্গীদের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আরও ভাল অবস্থানে থাকবে বলেও মনে করেছিল কংগ্রেস ৷ এসপি এবং জেডিইউ-এর মতো দলগুলিকে কংগ্রেস আসন না দেওয়ায় তারা বিরক্ত হয়েছিল।
দলের নেতাদের মতে, রাজ্য নেতাদের অনুপস্থিতি সূচক যে তারা লোকসভা নির্বাচনের আগে হার্ডবল খেলার চেষ্টা করছে তবে শেষ পর্যন্ত কতটা মসৃণ হবে রাস্তা তাতে চিন্তায় দল। এআইসিসির এক নেতা বলেন, “আঞ্চলিক দলগুলি জানে 2024 সালে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার জন্য ইন্ডিয়া জোট দরকার। কংগ্রেস বিরোধী জোটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল এবং রয়েছে। আমরা জোট শুরু করেছিলাম এবং জোটের মধ্যে সমন্বয় করেছিলাম। 4 ডিসেম্বর তাঁর সংসদের চেম্বারে খাড়গের সভাপতিত্বে ফ্লোর লিডারদের বৈঠকে এই দলগুলির অনেকেই প্রতিনিধিত্ব করেছিল। এটি তেমনই একটি নিয়মিত বৈঠক হতে চলেছে। ইন্ডিয়া জেটোর দলগুলো সংসদে অর্থনৈতিক বৈষম্য, মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের বিষয়ে বিতর্কের দাবি করছে। আমরা তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে টার্গেট করার বিরোধিতাও করব। সরকার তাঁকে বহিষ্কার করার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ নিয়ে আসবে আমরা তার বিরোধিতা করব ৷”
আরও পড়ুন