জয়পুর, 26 সেপ্টেম্বর : কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত (Ashok Gehlot) ৷ তাই তাঁর পরিবর্তে রাজস্থানের সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে ৷ এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে শচীন পাইলটকে (Sachin Pilot) না বসানোর দাবিতে সরব হয়েছে গেহলত শিবির ৷ সোমবার এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন ৷
এদিনই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নির্ধারণে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের (Congress Legislature Party) বৈঠকে উপস্থিত থাকতেই জয়পুরে হাজির হয়েছেন অজয় মাকেন (Ajay Maken) ও মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) ৷ মাকেনের দাবি, রবিবার রাতে গেহলত শিবিরের তিন নেতা শান্তি ধারিওয়াল, সিপি জোশি ও প্রতাপ খাচরিওয়াস উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর কাছে ৷ তাঁরা তিনটি প্রস্তাব এনেছিলেন ৷
কী সেই প্রস্তাবগুলি ? এই নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মাকেন জানিয়েছেন, প্রথমত, তাঁরা চান পরিষদীয় দল কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কংগ্রেসের হাইকমান্ডের উপরই থাক ৷ আর সেই সিদ্ধান্ত জানানো হোক অক্টোবরের 19 তারিখের পর ৷ মাকেন জানিয়েছেন, এমনটা করলে যে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হবে সেটাও ওই নেতাদের স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ৷
মাকেনের দাবি, তাঁদের জানানো হয় যে প্রত্যেক নেতার মতামত আলাদা ভাবে নেওয়া হবে ৷ তখন ওই নেতারা দ্বিতীয় প্রস্তাব দেন ৷ সেই প্রস্তাব অনুযায়ী, একসঙ্গে যাতে নেতাদের মতামত নেওয়া হয় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছাই নিয়ে ৷ কিন্তু সেটা সম্ভব নয়, তা জানিয়ে দেওয়া হয় ৷ তার পরও তাঁরা এই নিয়ে জোরাজুরি করেন ৷ আর এই নিয়ে ঘোষণা করারও দাবি জানানো হয় ৷
মাকেনের বক্তব্য, ওই নেতাদের তৃতীয় দাবি ছিল যে বিদ্রোহের সময় যে 102 জন বিধায়ক আনুগত্য দেখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে হবে ৷ শচীন পাইলট বা তাঁর অনুগামীদের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো যাবে না ৷ মাকেন জানিয়েছেন, ওই নেতাদের তিনি জানান যে তাঁরা প্রত্য়েকের সঙ্গে কথা বলে সোনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi) রিপোর্ট দেবেন ৷ তার পর গেহলতের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়া ৷ তখন ওই নেতারা তাঁদের দাবিগুলি প্রস্তাবে সংযুক্ত করার দাবি জানান ৷
প্রসঙ্গত, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের বাড়িতে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয় ৷ কিন্তু গেহলত শিবিরের 90 জন বিধায়ক পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় সেই বৈঠক বাতিল হয়ে যায় ৷ ওই বিধায়কদের দাবি, তাঁদের থেকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে হবে ৷ তবে মাকেন বিধায়কদের এই ধরনের ব্যবহারকে শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন ৷
আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রী পদে শচীন পাইলটকে মানতে নারাজ, ইস্তফার হুমকি গেহলত শিবিরের 92 বিধায়কের