ETV Bharat / bharat

CM Himanta Biswa Sarma: 'একটি নিয়োগেও দুর্নীতি পেলে সরকার থেকে সরে যাব', চ্যালেঞ্জ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

শুক্রবার অসমের 24টি সরকারি দফতরে 11 হাজারেরও বেশি সংখ্যক প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ৷ এই অনুষ্ঠানে তিনি পূর্বতন সরকারে নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে আক্রমণ করেন (CM Himanta Biswa Sarma attack previous Government) ৷

Assam CM Himanta Biswa Sarma
ETV Bharat
author img

By

Published : Sep 24, 2022, 10:58 AM IST

গুয়াহাটি, 23 সেপ্টেম্বর: নিয়োগ পরীক্ষায় একটাও দুর্নীতি খুঁজে পেলে তিনি এবং তাঁর মন্ত্রিসভা সরকার থেকে পদত্য়াগ করবেন ৷ শুক্রবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma) একটি অনুষ্ঠানে 24টি সরকারি দফতরের প্রায় 11 হাজার 236 জন নতুন চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন ৷ সেই অনুষ্ঠানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি (Assam CM Himanta Biswa Sarma claims recruitment process in a transparent manner) ৷

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি ৷ তাঁরা প্রতিটি নবনিযুক্ত তরুণদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসুন ৷ নিয়োগ সংক্রান্ত একটিও দুর্নীতির (single case of scam in appointments) হদিশ পেলে আমরা সরকার থেকে পদত্যাগ করব ৷"

হিমন্ত জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার জন্য অনেকেই সরকারকে দোষারোপ করেছে ৷ পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে কেউ কেউ তো আদালতেও গিয়েছেন ৷ এমন অভিযোগও উঠেছে যে, বাইরের রাজ্যের বহু প্রার্থী অসমে এসে চাকরি পেয়েছে ৷ শুক্রবার শর্মা তাদের চ্য়ালেঞ্জ করে বলেন, "তাঁরা তাঁদের দাবি প্রমাণ করুন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি ৷ আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটা মেধার ভিত্তিতে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: ভারতের পাঁচ রাজধানীর পক্ষে সওয়াল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তর

এরপর পরীক্ষার সময় 20 ঘণ্টা ধরে রাজ্যে ইন্টারনেট থাকবে না (suspending internet during examination) এবং এর জন্য কোনও দ্বিধা করবে না হিমন্ত সরকার, হুঁশিয়ারি বিজেপি মন্ত্রীর ৷ তিনি বলেন, "গরিব এবং দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দিতে পরীক্ষা পদ্ধতি স্বচ্ছ করা প্রয়োজন ৷ তার জন্য 20 ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে ৷"

মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে (Grade III and IV posts) 26 হাজার সংখ্যক নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ খুব শিগগিরি আরও 10 হাজার পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে ৷ 2 লক্ষ তরুণ যাতে আত্মনির্ভর হতে পারে, তার জন্য পদক্ষেপ করা হবে ৷ তিনি নবনিযুক্ত তরুণদের খুব মন দিয়ে কাজ করতে এবং দুর্নীতির সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করার আর্জি জানান ৷

তবে এই অনুষ্ঠানে পূর্ববর্তী সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি হিমন্ত ৷ 1998 সালে তিনি তখনও বিধায়ক হননি ৷ সেই সময় বিশেষ করে শিক্ষা বিভাগে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি দেওয়া হত ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের মন্ত্রিত্বের কথা তুলে দাবি করেন, "2011 সালে আমায় যখন শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল, তখন থেকে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সূচনা করেছি ৷"

আরও পড়ুন: টুইট যুদ্ধে অবতীর্ণ দিল্লি ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী

গুয়াহাটি, 23 সেপ্টেম্বর: নিয়োগ পরীক্ষায় একটাও দুর্নীতি খুঁজে পেলে তিনি এবং তাঁর মন্ত্রিসভা সরকার থেকে পদত্য়াগ করবেন ৷ শুক্রবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma) একটি অনুষ্ঠানে 24টি সরকারি দফতরের প্রায় 11 হাজার 236 জন নতুন চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন ৷ সেই অনুষ্ঠানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি (Assam CM Himanta Biswa Sarma claims recruitment process in a transparent manner) ৷

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করছি ৷ তাঁরা প্রতিটি নবনিযুক্ত তরুণদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসুন ৷ নিয়োগ সংক্রান্ত একটিও দুর্নীতির (single case of scam in appointments) হদিশ পেলে আমরা সরকার থেকে পদত্যাগ করব ৷"

হিমন্ত জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার জন্য অনেকেই সরকারকে দোষারোপ করেছে ৷ পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে কেউ কেউ তো আদালতেও গিয়েছেন ৷ এমন অভিযোগও উঠেছে যে, বাইরের রাজ্যের বহু প্রার্থী অসমে এসে চাকরি পেয়েছে ৷ শুক্রবার শর্মা তাদের চ্য়ালেঞ্জ করে বলেন, "তাঁরা তাঁদের দাবি প্রমাণ করুন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি ৷ আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটা মেধার ভিত্তিতে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: ভারতের পাঁচ রাজধানীর পক্ষে সওয়াল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তর

এরপর পরীক্ষার সময় 20 ঘণ্টা ধরে রাজ্যে ইন্টারনেট থাকবে না (suspending internet during examination) এবং এর জন্য কোনও দ্বিধা করবে না হিমন্ত সরকার, হুঁশিয়ারি বিজেপি মন্ত্রীর ৷ তিনি বলেন, "গরিব এবং দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা প্রার্থীদের চাকরি দিতে পরীক্ষা পদ্ধতি স্বচ্ছ করা প্রয়োজন ৷ তার জন্য 20 ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে ৷"

মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে (Grade III and IV posts) 26 হাজার সংখ্যক নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ খুব শিগগিরি আরও 10 হাজার পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে ৷ 2 লক্ষ তরুণ যাতে আত্মনির্ভর হতে পারে, তার জন্য পদক্ষেপ করা হবে ৷ তিনি নবনিযুক্ত তরুণদের খুব মন দিয়ে কাজ করতে এবং দুর্নীতির সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করার আর্জি জানান ৷

তবে এই অনুষ্ঠানে পূর্ববর্তী সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি হিমন্ত ৷ 1998 সালে তিনি তখনও বিধায়ক হননি ৷ সেই সময় বিশেষ করে শিক্ষা বিভাগে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি দেওয়া হত ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি নিজের মন্ত্রিত্বের কথা তুলে দাবি করেন, "2011 সালে আমায় যখন শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল, তখন থেকে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সূচনা করেছি ৷"

আরও পড়ুন: টুইট যুদ্ধে অবতীর্ণ দিল্লি ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.