ইম্ফল, 15 অগস্ট: মণিপুরে হিংসায় বিদেশি চক্রান্তের উপরই দায় চাপালেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ৷ তাঁর দাবি, মণিপুরের হিংসার মূল কারণ কিছু ভুল বোঝাবুঝি, কিছু স্বার্থান্বেষী শক্তি দেশকে অস্থির করার জন্য বিদেশি চক্রান্ত ৷ এর ফলেই ওই রাজ্যের মূল্যবান জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে ।
মণিপুরের ইম্ফলের প্রথম মণিপুর রাইফেলস প্যারেড গ্রাউন্ডে 77তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন হয় ৷ সেখানেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেখানেই এই কথা বলেন তিনি ৷ একই সঙ্গে তিনি হিংসা বন্ধ করে শান্তির পথে চলার জন্য মণিপুরের সব বাসিন্দার কাছে আবেদন জানান ৷ এখনও যে অনেককে ত্রাণ শিবিরে থাকতে হচ্ছে, সেই বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন ৷
এন বীরেন সিং আরও জানান, সরকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের শীঘ্রই পুনর্বাসন দেওয়া হবে ৷ পুরনো জায়গায় ফেরাতে না পারলেও অস্থায়ীভাবে বাড়ি তৈরি করে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে ৷ তিনি বলেন, "ভুল মানুষই করে ৷ তাই আমাদের অবশ্যই ক্ষমা করতে এবং ভুলে যেতে শিখতে হবে ৷"
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘একটি পরিবার একটি জীবিকা’ প্রকল্প প্রদান এবং জনগণের পুনর্বাসনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । তাছাড়া তাঁর সরকার সংবিধান বহির্ভূত কোনও কাজ করেনি বলেও দাবি করেছেন বীরেন সিং ৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মাদকের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের লড়াই সার্বিক ৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাদকের হাত থেকে মুক্তি দিতেই এই উদ্যোগ ৷ এই অভিযান নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয় ৷
তিনি বলেন, "মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ 2018 সালের শেষ অংশে শুরু হয়েছিল ৷ কারণ, মোট জনসংখ্যার মধ্যে এক লক্ষেরও বেশি মাদক ব্যবহারকারী ছিল ৷ তার জেরে মাদক রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলছিল ৷ 2017 সাল থেকে বিজেপি সরকার রাজ্যের কল্যাণে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে জনগণের মন বোঝার জন্য ৷ তাছাড়া গত ছয় বছর ধরে কোনও ধরনের সংঘর্ষ, বনধ, অবরোধ হয়নি ।’’
আরও পড়ুন: 'মহিলাদের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে', স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর গলায় মণিপুর-উদ্বেগ