চিক্কামাগালুরু (কর্ণাটক), 21 ডিসেম্বর: স্কুলে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু 12 বছর বয়সি নাবালিকার ৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার কর্ণাটকের চিক্কামাগালুরুতে ৷ নিহত বালিকার নাম সৃষ্টি ৷ সে জোগান্নাকেরের বাসিন্দা অর্জুন ও সুমার মেয়ে । এই একরত্তির মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সৃষ্টি সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ৷ প্রত্যেকদিনের মতো বুধবার সকালে সে স্কুলে যাচ্ছিল ৷ সেসময় হঠাতই দরদহল্লি গ্রামে স্কুলের সামনের রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সৃষ্টি । ঘটনার পরপরই তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্কুলের কাছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না ওই সময় ৷ চিকিৎসক না থাকায় কারণে ছাত্রীকে বেশ খানিকটা দূরের মুদিগেরে সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয় । সৃষ্টিকে নিয়ে যখন সরকারি হাসপাতালে পৌঁছনো হয় তখন চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন । হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানান ৷
এই ঘটনার পরে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিক্রম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । তিনি বলেন, "গত 20 দিন ধরে প্রশিক্ষণের অজুহাতে জোগান্নাকেরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকরা আসছেন না । তালুক মেডিক্যাল অফিসার এখানে অন্য কোনও ডাক্তার পাঠাননি । এখানে ডাক্তার থাকলে মেয়েটির জীবন বেঁচে যেতে পারত ।"
এর আগেও কর্ণাটকের চিক্কাথলুকেরে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল ৷ ভীমাশংকর নামে এক 15 বছর বয়সি ছাত্রের 3 অগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল । মৃত পড়ুয়া একটি জেলা-স্তরের ক্রীড়া ইভেন্টে অংশ নিয়েছিল এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল বলে জানা গিয়েছিল । ভীমাশংকর আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয় । পুরস্কার গ্রহণের ঠিক আগে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আবারও সেই স্মৃতি ফিরল কর্ণাটকে।
আরও পড়ুন: