ETV Bharat / bharat

UP Student Suicide: দিনের পর দিন শ্লীলতাহানি, অবসাদে 'আত্মঘাতী' ছাত্রী

উত্তরপ্রদেশে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ (UP Student Suicide) ৷ লাগাতার শ্লীলতাহানির অপমান সহ্য করতে না-পেরেই তিনি এই পদক্ষেপ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷

class 12 Student commits Suicide in Uttar Pradesh due to continuing molestation
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Mar 20, 2023, 8:30 PM IST

মোরাদাবাদ, 20 মার্চ: লাগাতার শ্লীলতাহানির অপমান সহ্য করতে নাপেরে 'আত্মঘাতী' হলেন দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ! প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ ছাত্রীর সুইসাইড নোটে চার অভিযুক্তের নাম পাওয়া গিয়েছে ৷ উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় (UP Student Suicide) তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্থা করা হচ্ছিল ৷ তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি ৷ বিষ খাওয়ার পর সোমবারই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ওই ছাত্রী তাঁর মৃত্যুর জন্য চারজনকে দায়ী করেছেন ৷ মৃত্যুর আগে দুই পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট লেখেন তিনি ৷ তাতে স্পষ্টভাবেই চারজনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান ৷

নিজের সুইসাইড নোটে স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিককেও কাঠগড়ায় তুলেছেন ছাত্রী ৷ তিনি লিখেছেন, স্থানীয় থানায় বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেননি সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ওই আধিকারিক ৷ ছাত্রীর মৃত্যুর পর ওই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয় ৷

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে চারজনকে এই ছাত্রী কাঠগড়ায় তুলে গিয়েছেন, তাঁরা হলেন বিকাশ, প্রমোদ, বাবলু এবং হরিজ্ঞান ৷ অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে রোজ হেনস্থা করতেন এই চারজন ৷ যার জেরে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেন তিনি ৷ মেয়েটি তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন, তাঁদের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র ৷ তাই যখন তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হচ্ছিল, কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেননি ৷ এমনকী, পুলিশও তার দায়িত্ব পালন করেনি ৷

ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার বাবা জানিয়েছেন, এলাকারই এক যুবক এই ঘটনার জন্য দায়ী ৷ ওই যুবক তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বহুদিন ধরে তাঁর মেয়েকে নিগ্রহ করছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁর দাবি, শুধু স্কুলে যাতায়াতের সময়েই নয়, তাঁর মেয়ে যখন বাড়ির বাইরে তৈরি শৌচালয়ে যেতেন, তখনও হেনস্থা করা হত ৷ এমনকী, ওই যুবক তরুণীর স্নানের ছবিও তুলেছিলেন ৷ তিনি ভয় দেখাতেন, প্রতিবাদ করলেই সেইসব ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ৷

আরও পড়ুন: বিটেক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, পুরনো প্রেমিককে দুষছে পরিবার

এসএসপি হেমরাজ মীনা জানিয়েছেন, 19 মার্চ তাঁদের কাছে খবর আসে এক ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৷ সোমবার তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এই পরিস্থিতির জন্য চারজনকে দায়ী করে গিয়েছেন ওই তরুণী ৷ তাঁদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বাকি তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷

মোরাদাবাদ, 20 মার্চ: লাগাতার শ্লীলতাহানির অপমান সহ্য করতে নাপেরে 'আত্মঘাতী' হলেন দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ! প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৷ ছাত্রীর সুইসাইড নোটে চার অভিযুক্তের নাম পাওয়া গিয়েছে ৷ উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় (UP Student Suicide) তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্থা করা হচ্ছিল ৷ তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তিনি ৷ বিষ খাওয়ার পর সোমবারই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ ওই ছাত্রী তাঁর মৃত্যুর জন্য চারজনকে দায়ী করেছেন ৷ মৃত্যুর আগে দুই পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট লেখেন তিনি ৷ তাতে স্পষ্টভাবেই চারজনের নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান ৷

নিজের সুইসাইড নোটে স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিককেও কাঠগড়ায় তুলেছেন ছাত্রী ৷ তিনি লিখেছেন, স্থানীয় থানায় বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেননি সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ওই আধিকারিক ৷ ছাত্রীর মৃত্যুর পর ওই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয় ৷

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে চারজনকে এই ছাত্রী কাঠগড়ায় তুলে গিয়েছেন, তাঁরা হলেন বিকাশ, প্রমোদ, বাবলু এবং হরিজ্ঞান ৷ অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে রোজ হেনস্থা করতেন এই চারজন ৷ যার জেরে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দেন তিনি ৷ মেয়েটি তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন, তাঁদের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র ৷ তাই যখন তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হচ্ছিল, কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেননি ৷ এমনকী, পুলিশও তার দায়িত্ব পালন করেনি ৷

ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার বাবা জানিয়েছেন, এলাকারই এক যুবক এই ঘটনার জন্য দায়ী ৷ ওই যুবক তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বহুদিন ধরে তাঁর মেয়েকে নিগ্রহ করছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ৷ তাঁর দাবি, শুধু স্কুলে যাতায়াতের সময়েই নয়, তাঁর মেয়ে যখন বাড়ির বাইরে তৈরি শৌচালয়ে যেতেন, তখনও হেনস্থা করা হত ৷ এমনকী, ওই যুবক তরুণীর স্নানের ছবিও তুলেছিলেন ৷ তিনি ভয় দেখাতেন, প্রতিবাদ করলেই সেইসব ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ৷

আরও পড়ুন: বিটেক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, পুরনো প্রেমিককে দুষছে পরিবার

এসএসপি হেমরাজ মীনা জানিয়েছেন, 19 মার্চ তাঁদের কাছে খবর আসে এক ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ৷ সোমবার তাঁর মৃত্যু হয় ৷ এই পরিস্থিতির জন্য চারজনকে দায়ী করে গিয়েছেন ওই তরুণী ৷ তাঁদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বাকি তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.