দিল্লি, 29 জানুয়ারি: সিঙ্ঘু সীমানায় অশান্তি৷ আন্দোলনরত কৃষকদের শিবিরে হামলা দুষ্কৃতীদের৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে হঠাৎই শিবিরে ঢুকে পড়ে প্রায় 200 জনের একটি দল৷ কৃষকদের তাঁবু লক্ষ্য় ঢিল ছুড়তে শুরু করে তারা৷ শুরু হয় ভাঙচুর৷ সাধারণতন্ত্র দিবসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশ৷ হামলারকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে তারা৷ ফাটানো হয় কাঁদানে গ্য়াসের সেল৷ অন্য়দিকে, তরোয়ালের আঘাতে জখম হন পুলিশের এক আধিকারিকও৷ ঘটনায় উদ্বেগ লুকিয়ে রাখেননি আন্দোলনকারীরা৷ সব পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান তাঁরা৷
তবে এদিনের ঘটনায় ইতিমধ্য়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ চলছে নানা জল্পনাও৷ কিভাবে এতজনের একটা দল কৃষকদের শিবিরের ভিতর ঢুকে পড়ল তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে৷ কারণ, আগে থেকেই আন্দোলনস্থল ঘিরে রেখেছিল পুলিশ৷ তাহলে তাদের নজরদারি এড়িয়ে কিভাবে সেখানে পৌঁছল হামলাকারীরা৷
অভিযোগ, কৃষকদের শিবিরে ঢুকে ভাঙচুরও করে হামলাকারীরা৷ আন্দোলনকারীদের ব্য়বহারের জন্য আনা ওয়াশিং মেশিন-সহ অন্য়ান্য় সামগ্রী ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে তারা৷ দ্রুত সিঙ্ঘু সীমানা খালি করার হুমকি দেয়৷ এর কিছুক্ষণের মধ্য়েই দু’পক্ষের মধ্য়ে পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়৷ পুলিশ অবশ্য় হামলাকারীদের দ্রুত সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে৷
অন্যদিকে, দিল্লির টিকরি ও গাজিপুর সীমানাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ তবে 26 জানুয়ারির ঘটনার পর কৃষক আন্দোলনের ওই দু’টি ঘাঁটিতেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: টার্নিং পয়েন্ট রাকেশ টিকাইতের কান্না, ভিড় ফিরল গাজিপুর সীমান্তে
এদিন সিঙ্ঘু সীমানায় সংঘর্ষের পরই টিকরিতেও প্রায় একই ঘটনা ঘটে৷ দিল্লি-হরিয়ানার এই সীমানাতেও কিছু মানুষ কৃষক আন্দোলনের প্রতিবাদে আওয়াজ তুলতে শুরু করে৷ কৃষকরা যাতে দ্রুত শিবির ছেড়ে চলে যান, তারও দাবি তোলে তারা৷ তাদের বক্তব্য ছিল, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন লালকেল্লায় যেভাবে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে, তা কখনই তারা মেনে নেবে না৷