রায়পুর, 5 নভেম্বর: ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী লড়াইয়ের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে দুর্গ জেলার পাটান কেন্দ্র ৷ এখানে লড়াই হচ্ছে কংগ্রেস প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং তাঁর ভাইপো বিজয় বাঘেলের মধ্যে, যিনি আবার একজন বিজেপি সাংসদ ।
ভোটমুখী এই রাজ্যে সব লড়াইয়ের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন লড়াই হিসেবে ধরা হচ্ছে রক্তের সম্পর্কের এই দুই দুঁদে প্রার্থীর ভোটযুদ্ধকে ৷ এ দিকে, ছত্তিশগড়ের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত অজিত যোগীর ছেলে অমিত যোগী এই একই আসনের লড়াইয়ে দাঁড়িয়ে এখানকার লড়াইয়ে ত্রিপাক্ষিক করে তুলেছেন ৷ ফলে এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকার অপেক্ষায় রয়েছেন ছত্তিশগড়বাসী ৷ এই আসনের ফলাফল রাজ্যের সামগ্রিক রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে রূপ দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন ৷
ছত্তিশগড় মধ্যপ্রদেশ থেকে আলাদা হওয়ার আগে, ভূপেশ বাঘেল 1993 সাল থেকে পাটান আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন । তবে 2008 সালে তাঁর ভাইপো বিজয় বাঘেলের কাছে পরাজিত হন তিনি । সেই থেকে পাটান একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে । আগের নির্বাচনে বাঘেল জয়লাভ করেন এবং পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী হন । কুড়মি এবং সাহু সম্প্রদায়ের ভোটাররা এখানে সবচেয়ে বেশি । বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় প্রার্থীই কুড়মি সম্প্রদায়ের হওয়ায় তা প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে ।
আরও পড়ুন: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও আত্মতুষ্ট না হওয়ার পরামর্শ ছত্তিশগড়ের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রীর
পাটান বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি দুই অনগ্রসর-শ্রেণির নেতার মধ্যে হতে চলেছে । কুড়মি এবং সাহু সম্প্রদায়ের ভোটার অধ্যুষিত পাটান বিধানসভা কেন্দ্র, সামগ্রিক ভোটের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ব্যাখ্যা করেন যে, আসন্ন নির্বাচনে বর্ণশুমারি একটি মূল বিষয় হবে ৷ আর এ ব্যাপারে বাঘেলও সচেতন আর এটা মাথায় রেখেই তাঁরা ঘুঁটি সাজাচ্ছেন । এ দিকে, বিজেপি এখনও এই বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি । যেহেতু পাটান আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রাথমিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির ভোট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, তাই তিনটি দলই তাঁদের সেরা প্রার্থীকে সেখানে দিয়েছে ৷