ETV Bharat / bharat

Import Duty on US Apples: মার্কিন আপেলের আমদানি শুল্ক কমানো নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় কংগ্রেস

Import Duty Cut on US Apples: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা আপেলের উপর আমদানি শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস ৷ প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ যদিও কেন্দ্রের দাবি, অতিরিক্ত যে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছিল, সেটাই কমানো হয়েছে ৷ 50 শতাংশ আমদানি শুল্ক এখনও দিতে হবে ৷

Import Duty on US Apples
Import Duty on US Apples
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 13, 2023, 12:07 PM IST

নয়াদিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা আপেলের উপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা কেন্দ্রের মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে ৷ তাদের দাবি, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেশের চাষিদের উপর প্রভাব ফেলবে । যদিও কেন্দ্রের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা আপেলের আমদানি শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ দেশের চাষিদের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না ।

হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের একটি সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন ৷ তাঁর দাবি, ওই পার্বত্য রাজ্যের আপেল চাষিরা আগেই উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে সমস্যায় পড়ছিলেন ৷ এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা আপেলের উপর কেন্দ্র শুল্ক কমানোয় তাঁরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৷

প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন তুলেছেন, "এর ফলে (আমেরিকার আপেল) আমদানি সহজ হবে । সহজে বিক্রি হবে । সিমলায় আপেল সংগ্রহের দাম বড় বড় শিল্পপতিরা কমিয়ে এনেছেন । এখানে আপেল চাষিরা যখন দুর্ভোগে, তখন আমাদের সরকার কার পাশে দাঁড়াবে ? তাঁদের নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপেল চাষিদের ?’’ ওই কংগ্রেস নেত্রী আরও বক্তব্য, স্থানীয় কৃষকদের সাহায্য করা উচিত এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম পাওয়া উচিত ।

গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ছ’টি মতবিরোধ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছিল । ভারত ছোলা, মসুর ডাল, বাদাম, আখরোট, আপেল, বোরিক অ্যাসিড ও ডায়াগনস্টিক রিএজেন্ট-সহ কিছু মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কমাতেও সম্মত হয় ৷ গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির বিবৃতিতে এই কথা জানানোও হয়েছিল ৷

2019 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপেলের উপর অতিরিক্ত 20 শতাংশ শুল্ক আরোপ করে কেন্দ্র । তার আগে নির্দিষ্ট ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করে আমেরিকা ৷ তারই পালটা হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার আপেলের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছিল ৷ যা এখন কমানো হল৷ তবে বিভিন্ন পণ্যের উপর যে মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) শুল্ক বসানো হয়, সেখানে অবশ্য কোনও হ্রাস হয়নি ৷ অন্যান্য দেশের মতো এক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে 50 শতাংশ শুল্ক দিতে হবে ৷

আরও পড়ুন: মার্কিন কৃষিপণ্যে শুল্ক কমানোয় ভারতের প্রশংসা বাইডেন প্রশাসনের

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রকের দাবি, এই সিদ্ধান্তের জেরে স্থানীয়স্তরে কোনও প্রভাব পড়বে না ৷ বাণিজ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পীযূষ কুমার মঙ্গলবার এই নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ সেখানেই তিনি এই কথা জানান ৷ তাঁর কথায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় কৃষকদের উপর যদি কোনও প্রভাব পড়ে, সেটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পর্যাপ্ত নীতি সরকারের আছে ৷ তিনি আরও জানান, শুধু অতিরিক্ত শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ ন্যূনতম 50 শতাংশ যে শুল্ক মার্কিন আপেল আমদানিতে দিতে হয়, তা অব্যাহত থাকবে ৷

সংবাদসংস্থা - এএনআই

নয়াদিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা আপেলের উপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এই নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা কেন্দ্রের মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে ৷ তাদের দাবি, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেশের চাষিদের উপর প্রভাব ফেলবে । যদিও কেন্দ্রের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা আপেলের আমদানি শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ দেশের চাষিদের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না ।

হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের একটি সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন ৷ তাঁর দাবি, ওই পার্বত্য রাজ্যের আপেল চাষিরা আগেই উৎপাদিত ফল বিক্রি করতে সমস্যায় পড়ছিলেন ৷ এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা আপেলের উপর কেন্দ্র শুল্ক কমানোয় তাঁরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৷

প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন তুলেছেন, "এর ফলে (আমেরিকার আপেল) আমদানি সহজ হবে । সহজে বিক্রি হবে । সিমলায় আপেল সংগ্রহের দাম বড় বড় শিল্পপতিরা কমিয়ে এনেছেন । এখানে আপেল চাষিরা যখন দুর্ভোগে, তখন আমাদের সরকার কার পাশে দাঁড়াবে ? তাঁদের নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপেল চাষিদের ?’’ ওই কংগ্রেস নেত্রী আরও বক্তব্য, স্থানীয় কৃষকদের সাহায্য করা উচিত এবং তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত দাম পাওয়া উচিত ।

গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ছ’টি মতবিরোধ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছিল । ভারত ছোলা, মসুর ডাল, বাদাম, আখরোট, আপেল, বোরিক অ্যাসিড ও ডায়াগনস্টিক রিএজেন্ট-সহ কিছু মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক কমাতেও সম্মত হয় ৷ গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির বিবৃতিতে এই কথা জানানোও হয়েছিল ৷

2019 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপেলের উপর অতিরিক্ত 20 শতাংশ শুল্ক আরোপ করে কেন্দ্র । তার আগে নির্দিষ্ট ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করে আমেরিকা ৷ তারই পালটা হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার আপেলের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছিল ৷ যা এখন কমানো হল৷ তবে বিভিন্ন পণ্যের উপর যে মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) শুল্ক বসানো হয়, সেখানে অবশ্য কোনও হ্রাস হয়নি ৷ অন্যান্য দেশের মতো এক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে 50 শতাংশ শুল্ক দিতে হবে ৷

আরও পড়ুন: মার্কিন কৃষিপণ্যে শুল্ক কমানোয় ভারতের প্রশংসা বাইডেন প্রশাসনের

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রকের দাবি, এই সিদ্ধান্তের জেরে স্থানীয়স্তরে কোনও প্রভাব পড়বে না ৷ বাণিজ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পীযূষ কুমার মঙ্গলবার এই নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ সেখানেই তিনি এই কথা জানান ৷ তাঁর কথায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় কৃষকদের উপর যদি কোনও প্রভাব পড়ে, সেটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পর্যাপ্ত নীতি সরকারের আছে ৷ তিনি আরও জানান, শুধু অতিরিক্ত শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে ৷ ন্যূনতম 50 শতাংশ যে শুল্ক মার্কিন আপেল আমদানিতে দিতে হয়, তা অব্যাহত থাকবে ৷

সংবাদসংস্থা - এএনআই

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.