নয়াদিল্লি, 28 সেপ্টেম্বর: পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) বা পিএফআই-কে বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আগামী 5 বছরের জন্য এই সংগঠনটি কার্যত নিষিদ্ধ হল ৷ মঙ্গলবার দ্বিতীয়বার সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পিএফআই নেতা, কর্মী, সদস্যদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংশ্লিষ্ট রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী ৷ এই সংগঠনের বহু সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয় । আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র ।
মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি নোটিশে জানানো হয়, "পিএফআই এবং এর সহযোগী অথবা পোষিত অথবা ফ্রন্টগুলি প্রকাশ্যে সামাজিক-অর্থনৈতিক, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক সংগঠন চালাচ্ছে ৷ তবে এর পিছনে সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকে মৌলবাদী করার (radicalize a particular section) উদ্দেশ্যে রয়েছে ৷ এটি গণতন্ত্রের ধারণাকে সংকুচিত করছে ৷ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ এবং দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোর (disrespect towards the constitutional authority and constitutional set up) প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন এর লক্ষ্য ৷"
-
Central Government declares PFI (Popular Front of India) and its associates or affiliates or fronts as an unlawful association with immediate effect, for a period of five years. pic.twitter.com/ZVuDcBw8EL
— ANI (@ANI) September 28, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Central Government declares PFI (Popular Front of India) and its associates or affiliates or fronts as an unlawful association with immediate effect, for a period of five years. pic.twitter.com/ZVuDcBw8EL
— ANI (@ANI) September 28, 2022Central Government declares PFI (Popular Front of India) and its associates or affiliates or fronts as an unlawful association with immediate effect, for a period of five years. pic.twitter.com/ZVuDcBw8EL
— ANI (@ANI) September 28, 2022
পিএফআই প্রসঙ্গে নোটিফিকেশনে আরও জানানো হয়েছে, পিএফআই এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলি বেআইনি কার্যকলাপে মদত জোগাচ্ছে ৷ যারা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমতা এবং নিরাপত্তাকে মানে না ৷ জনমানসে অশান্তি তৈরি করতে পারে এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এরা জঙ্গিদের সাহায্য করে ৷ পিএফআই-এর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমির (Students Islamic Movement of India, SIMI) নেতা ৷ পিএফআইয়ের সঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির (Jamat-ul-Mujahideen Bangladesh, JMB) যোগাযোগ রয়েছে ৷ এই দু'টি সংগঠনই নিষিদ্ধ ৷
আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযানে গ্রেফতার অন্তত 106
'ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া'র মতো বিশ্বের জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে পিএফআইয়ের সম্পর্ক রয়েছে ৷ এর বেশ কিছু প্রমাণও মিলেছে ৷ দেশে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মনে নিরাপত্তাহীনতা ঢুকিয়ে দিয়ে মৌলবাদকে বৃদ্ধি করতে চাইছে এই সংগঠন ৷ কয়েকজন পিএফআই ক্যাডার তো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনেও যোগ দিয়েছে, জানানো হয়েছে সরকারি নোটিফিকেশনে ৷
এর আগে 22 সেপ্টেম্বর এনআইএ, ইডি এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একশোরও বেশি মানুষকে পিএফআই যোগে গ্রেফতার করে ৷ মঙ্গলবার, 28 সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ, দিল্লি, কেরালা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, হায়দরাবাদ, অসম, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ, বিহান ও মণিপুরে তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ সব মিলিয়ে 15টি রাজ্যের 93টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বহু পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
পিএফআই নেতা এবং ক্যাডাররা নাশকতাবাদী কাজকর্মে অর্থসাহায্য করছে ৷ জঙ্গি কার্যকলাপে সাহায্য করছে, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করছে এবং মানুষকে এই সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে ৷ 2006 সালে কেরালায় পিএফআই সংগঠনের সূচনা ৷
আরও পড়ুন: আজ দ্বিতীয়বার দেশজুড়ে অভিযান, পিএফআই সদস্য সন্দেহে অসমে আটক 4