রাঁচি, 10 ডিসেম্বর: কলকাতার ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের কাছ থেকে কি সত্যিই তোলা আদায় করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী রাজীব কুমার (Rajib Kumar) ? এই অভিযোগ সত্যি হলে অমিতকে ঠিক কী ভয় দেখিয়েছিলেন রাজীব ? তাঁর হাতে অমিতের বিরুদ্ধে কী কী অস্ত্র ছিল ? এমনই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation) ৷ আর তাই কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন সংশ্লিষ্ট সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে একটু পিছনে ফেরা যাক ৷ সম্প্রতি কলকাতার একটি মল থেকে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার (Jharkhand Lawyer Arrest Case) করে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা এবং হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ ৷ পুলিশের দাবি, অমিত আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে 10 কোটি টাকা তোলা চেয়েছিলেন রাজীব ৷ সেই টাকা না পেলে তাঁকে জনস্বার্থ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন রাজীব ! এই অবস্থায় রাজীবকে তখনকার মতো 50 লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন কলকাতার ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল ৷ সেই টাকার হাতবদলের সময়েই রাজীবকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় বলে দাবি কলকাতা পুলিশের ৷
আরও পড়ুন: 10 কোটি টাকা তোলা চেয়ে কলকাতায় গ্রেফতার রাঁচির আইনজীবী
অন্যদিকে, এর আগে রাজীব কুমার সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, এই টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রে অমিত আগরওয়ালের সঙ্গে তাঁর কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন সোনু আগরওয়াল নামে আরও এক ব্যক্তি ৷ প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের আইনজীবী রাজীব জনস্বার্থ মামলা করার জন্য 'বিখ্য়াত' ৷ এমনকী, খনি কেলেঙ্কারি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধেও জনস্বার্থ মামলা করেছেন তিনি ৷ সবমিলিয়ে অন্তত 700টি জনস্বার্থ মামলার নেপথ্যে রয়েছেন এই ব্যক্তি ৷ যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, জনস্বার্থ মামলাকে অস্ত্র করে আদতে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা তোলা তুলতেন রাজীব !
এইসব অভিযোগ কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই ৷ আর তাই কলকাতার ঘটনারও তদন্ত করছে তারা ৷ সেই কারণেই কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ এবং গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিবিআই'য়ের গোয়েন্দারা ৷