তিরুঅনন্তপুরম, 22 ডিসেম্বর: 28 বছর পর সিস্টার অভয়া খুনে রায়দান হল। আজ রায় দিল কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের বিশেষ সিবিআই আদালত। এই ঘটনায় একজন ধর্মযাজক ও নানকে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছে। 1992 সালে 21 বছর বয়সি অভয়াকে খুন করে তাঁর মৃতদেহ কেরালার কোট্টায়ামে একটি কনভেন্টের কুয়োতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
দোষীদের মধ্যে একজন ফাদার টমাস কোট্টোর। তিনি বিসিএম কলেজে অভয়াকে সাইকোলজি পড়াতেন। তিনি সেই সময় বিশপের সচিবও ছিলেন। পরে তিনি কোট্টায়ামের ক্যাথলিক ডিওসেসের আচার্য হয়ে যান। আর একজন দোষী সিস্টার সেফি। তিনি অভয়ার সঙ্গে একই হস্টেলে থাকতেন। আর ওই হস্টেলের তিনি কার্যনির্বাহী ইন-চার্জ ছিলেন। এই দু'জন খুন ও প্রমাণ লোপাটের জন্য দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন। ফাদার টমাস একই সঙ্গে জোর করে বাড়িতে ঢোকার অভিযোগেও অভিযুক্ত। আগামীকাল তাদের সাজা ঘোষণা করা হবে।
সিস্টার অভয়াকে সুবিচার পাইয়ে দিতে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল। যে প্যানেলের একমাত্র জীবিত সদস্য জোমোন পুটেনপুরাকল এই রায়ের কথা শুনে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, অর্থ ও ক্ষমতা থাকলেই যে বিচার ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করা যায় না, এই মামলা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
কিন্তু কেন খুন হতে হয়েছিল সিস্টার অভয়াকে। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অভয়া কোট্টর অন্য এক ফাদার জোস পুত্রিক্যাইল এবং সেফিকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন। ঘটনাটি ঘটে 1992 সালের 27 মার্চ ভোর 4টে 15 মিনিট নাগাদ। এর 45 মিনিটের মধ্যেই সিস্টার অভয়াকে ভারী কিছু একটা দিয়ে আঘাত করেন সেফি । তার পর তাঁর মৃতদেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বয়ানে একাধিক অসংগতি, এখনই ক্লিনচিট নয় অর্জুন রামপালকে
দুবছর আগে পুত্রিক্যাইলকে সিবিআই আদালত বেকসুর খালাস করে। তবে কোট্টর ও সেফির আবেদন খারিজ হয়ে যায়। যদিও শুরুতেই এই ঘটনাকে পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ আত্মহত্যা বলে তদন্তের পর জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় মামলা সিবিআইয়ের হাতে যায়। সেই তদন্তের জেরেই 28 বছর পর সুবিচার হলেন সিস্টার অভয়া।