হায়দ্রাবাদ, 24 মার্চ : বুধবার ভোরের দিকে হায়দ্রাবাদের সেকেন্দ্রাবাদ ভইগুড়া অঞ্চলে এক গুদামে আগুন লাগে । তখন অন্তত 12 জন কর্মী ওই গুদামের দোতলায় ঘুমোচ্ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের পর গুদাম থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন এক শ্রমিক । তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । আর 11 জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ৷ কর্মীদের বেরিয়ে আসার একমাত্র রাস্তা ছিল একতলার বাতিল জিনিসের দোকান, যেটার শাটার বন্ধ ছিল ৷
মৃত 11 জন পরিযায়ী শ্রমিক বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে (Bodies of 11 Migrant Workers) ৷ বৃহস্পতিবার সেকেন্দ্রাবাদ থেকে পটনায় নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদের দেহ বলে পুলিশ জানায় । ময়নাতদন্তের পর 11 জনের মৃতদেহ সেকেন্দ্রাবাদের গান্ধি হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে পাঠানো হয় ৷ তাঁদের মধ্যে ছ'জনের মৃতদেহ এদিন সকালে পটনার একটি ফ্লাইটে পাঠানো হয়। বাকি পাঁচজনকে বিকেলে পটনার অন্য একটি ফ্লাইটে পাঠানো হয় (Bodies of 11 migrant workers died in Hyderabad blaze flown to Bihar) ৷
আরও পড়ুন : Hijab ban in classroom: হিজাব মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
সেকেন্দ্রাবাদের পুলিশ ও রাজস্ব আধিকারিকরাও বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন । বুধবার ভোরের অগ্নিকাণ্ডে 22 থেকে 35 বছর বয়সী 11 জন শ্রমিক যাঁরা ভইগুড়ার গুদামের উপরে নির্মিত একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন, তাঁদের মৃত্যু হয় । ভইগুড়ার গুদামটি অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ করছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ শুধুমাত্র একজন শ্রমিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন ।
তিনি ঘরের জানালা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন বাঁচান (Hyderabad Fire) ৷ তারপর তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । গুদাম মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 304-A (অবহেলায় মৃত্যু ঘটানো) এবং 337 (জীবনকে বিপন্ন করার মত কাজ) ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷ তদন্তের পর আগুনের সঠিক কারণ জানা যাবে বলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ।