গোয়া, 4 মে: ভারতে এলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ৷ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর কনক্লেভে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার গোয়া পৌঁছেছেন তিনি ৷ প্রায় 12 বছরের ব্যবধানে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের কোনও প্রথমসারির মন্ত্রী ভারত সফরে এলেন।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ইসলামাবাদের আন্তঃসীমান্ত সংঘাত, সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত-সহ একাধিক বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্রমাগত টানাপড়েন চলেছে ৷ তার মধ্যেই এসসিও কাউন্সিল অফ ফরেন মিনিস্টারস (সিএফএম) বৈঠকে যোগ দিতে ভুট্টো-জারদারির ভারত সফর আসলেন। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে গোয়ার বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বিদেশ মন্ত্রকের (পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিভাগ) যুগ্ম সচিব জেপি সিং। 2011 সালে, পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি ভারত সফরে আসেন ৷ সেই সমব তৎকালীন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণার সঙ্গে তাঁর বৈঠকও করেন।
এদিন ভুট্টো সাংবাদিকদের বলেন, "বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে গোয়ায় পৌঁছে আমি খুবই খুশি। আমি আশা করছি এসসিও বৈঠক সফল হবে।" যদিও ভুট্টোর দু'দিনের গোয়া সফর নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা এবং গুঞ্জন ছিলই ৷ এদিন অবশ্য ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষই একে অপরের হাত ধরে রাখতে দেখা গিয়েছে। এসসিও কনক্লেভের দায়িত্বে থাকা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ভুট্টো জারদারির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই ৷ কারণ পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের জন্য কোনও অনুরোধ করা হয়নি।
অন্যদিকে নিজের কর্মসূচি সম্পর্কে এক ভিডিয়ো বার্তায় ভুট্টো জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং উজবেকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রীদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজেও অংশ নেবেন বলে জানান তিনি ৷ গোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, "এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসসিও-র সনদের প্রতি পাকিস্তানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির ছবিই তুলে ধরে।" তিনি বলেন, "বিশেষভাবে আমি বন্ধু দেশগুলির পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দেশের সঙ্গেও গঠনমূলক আলোচনার অপেক্ষায় আছি ৷"
এর আগে, 2014 সালের মে মাসে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন ৷ 2015 সালের ডিসেম্বরে, প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন ৷ তার কয়েকদিনের মাথাতে মোদিও সে দেশে ঝটিকা সফরে যান ৷ যদিও, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত কাশ্মীর নিয়ে 2019 সালের পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করলে নতুন করে আলোচনা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: মে মাসেই শীতকাল, কুয়াশাচ্ছন্ন দিল্লিতে সকালে 16 ডিগ্রি তাপমাত্রা