ETV Bharat / bharat

National Flag Architect: গর্বের জাতীয় পতাকার 'জন্ম' দেশের এই অখ্যাত গ্রামে

আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে দেশজুড়ে তেরঙা পতাকা উত্তোলন চলছে ৷ কুড়ি কোটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়বে, লক্ষ্য মোদি সরকারের ৷ এই পতাকা কার হাতে তৈরি ? শিল্পীকে নিয়ে রইল কিছু অজানা তথ্য (National Flag Architect) ৷

Pingali Venkaiah designed the national flag
ভারতের জাতীয় পতাকা
author img

By

Published : Aug 7, 2022, 12:46 PM IST

ভাটলাপেমুমাররু (অন্ধ্রপ্রদেশ), 7 অগস্ট: দেশ স্বাধীন হয়েছে, 75 বছর হতে চলল ৷ মোদি সরকারের উদ্যোগে চলছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' ৷ ঘরে ঘরে তেরঙা পতাকা উত্তোলনের প্রস্তুতি তুঙ্গে ৷ 1947 সালের 15 অগস্টে যে তেরঙা পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল, তার পুরোহিত কে (Bhatlapenumarru son Pingali Venkaiah designed the national flag in Andhra Pradesh) ?

ইতিহাস বই থেকে ভাতলাপেনুমাররু গ্রাম সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানা যায় না ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার সবুজ ঘেরা ছোট্ট গ্রাম ৷ এখানে জন্মগ্রহণ করেন পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া । আজকের জাতীয় পতাকার নকশাটি তাঁরই করা ৷ গ্রামের মধ্যিখানে মহাত্মা গান্ধির পাশে তাঁরও একটি মূর্তি আছে ৷ আর গ্রামবাসীরা নিজেরাই টাকা তুলে কয়েক বছর আগে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন ৷ সেটি প্রধানত কমিউনিটি হল হিসেবে ব্যবহার হয় ৷ পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়াকে মনে রাখতে বাড়িটির নাম তাঁরই নামে করা হয়েছে ৷

পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া মহাত্মা গান্ধীর অনুগামী ছিলেন ৷ জাতীয় পতাকাটি চূড়ান্ত ছাড়পত্র পায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের 1921-এর বিজয়ওয়াড়া অধিবেশনে ৷ বেঙ্কাইয়ার পরিবার, আত্মীয়রা কয়েক দশক আগে এই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন ৷ ভাতলাপেনুমাররুর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক এখন শুধুই নস্টালজিয়া ৷ 2022-এ গ্রামবাসীর কাছেও তিনি কয়েক প্রজন্ম আগের এক মানুষ মাত্র ৷ তবু তিনি গ্রামের গর্ব ৷

আরও পড়ুন: ইন্দো-চিন সীমান্তে দেশের শেষ গ্রাম, মানায় উড়বে তেরঙা

2 অগস্ট বেঙ্কাইয়ার 146তম জন্মবার্ষিকী ছিল ৷ কিংবদন্তির জন্মদিন খুব ধুমধাম করে পালন করা হয় গ্রামে ৷ 300 ফুট দীর্ঘ একটি তেরঙা পতাকা নিয়ে গ্রামের চারদিক প্রদক্ষিণ করে গ্রামবাসীরা ৷ জেলা প্রশাসন পতাকা উত্তোলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ৷

স্থানীয় কোটেশ্বর রাও বলেন, "ভাতলাপেনুমাররু অন্য গ্রামগুলোর মতোই ৷ শুধু পার্থক্য এটাই যে এ গ্রাম তার কিংবদন্তির নামে পরিচিত ৷ প্রায় 3 হাজার 500 জন বাস করেন এই গ্রামে ৷" ক'বছর আগে বিজয়ওয়াড়ার তৎকালীন সাংসদ লাগাদাপাটি রাজাগোপাল পিঙ্গালির স্মরণে একটি দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন ৷ দেশের ম্যাপে, গ্রামটিকে আলোয় আনতে ওটাই হয়তো একমাত্র চেষ্টা ছিল, আক্ষেপ কোটেশ্বরের গলায় ৷ ভাতলাপেনুমাররুর কয়েক মাইল দূরেই কুচিপুরি ৷ ভারতের ধ্রুপদী নৃত্যের জন্য আন্তর্জাতিক মানচিত্রে এই গ্রামটিরও সন্ধান মেলে ৷

31 জুলাই কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ভাতলাপেনুমাররু গ্রামে আসেন ৷ তিনি জাতীয় পতাকার কারিগর পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ৷ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, "আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে আমরা একটি মেগা ফ্ল্যাগ স্থাপন করব এখানে ৷" ইতিমধ্যে কৃষ্ণা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়ার গ্রামে পা রাখলেন ৷ তিনি আরও কথা দিয়েছেন, যদি রাজ্য সরকার জমি দেয়, তাহলে সেই জমিতে পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া মেমোরিয়াল তৈরি করা হবে ৷

আরও পড়ুন: "আরএসএস জাতীয় পতাকার রংকে অশুভ বলেছিল", বিস্ফোরক দাবি আসাদউদ্দিনের

ভাটলাপেমুমাররু (অন্ধ্রপ্রদেশ), 7 অগস্ট: দেশ স্বাধীন হয়েছে, 75 বছর হতে চলল ৷ মোদি সরকারের উদ্যোগে চলছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' ৷ ঘরে ঘরে তেরঙা পতাকা উত্তোলনের প্রস্তুতি তুঙ্গে ৷ 1947 সালের 15 অগস্টে যে তেরঙা পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল, তার পুরোহিত কে (Bhatlapenumarru son Pingali Venkaiah designed the national flag in Andhra Pradesh) ?

ইতিহাস বই থেকে ভাতলাপেনুমাররু গ্রাম সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানা যায় না ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার সবুজ ঘেরা ছোট্ট গ্রাম ৷ এখানে জন্মগ্রহণ করেন পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া । আজকের জাতীয় পতাকার নকশাটি তাঁরই করা ৷ গ্রামের মধ্যিখানে মহাত্মা গান্ধির পাশে তাঁরও একটি মূর্তি আছে ৷ আর গ্রামবাসীরা নিজেরাই টাকা তুলে কয়েক বছর আগে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন ৷ সেটি প্রধানত কমিউনিটি হল হিসেবে ব্যবহার হয় ৷ পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়াকে মনে রাখতে বাড়িটির নাম তাঁরই নামে করা হয়েছে ৷

পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া মহাত্মা গান্ধীর অনুগামী ছিলেন ৷ জাতীয় পতাকাটি চূড়ান্ত ছাড়পত্র পায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের 1921-এর বিজয়ওয়াড়া অধিবেশনে ৷ বেঙ্কাইয়ার পরিবার, আত্মীয়রা কয়েক দশক আগে এই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছেন ৷ ভাতলাপেনুমাররুর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক এখন শুধুই নস্টালজিয়া ৷ 2022-এ গ্রামবাসীর কাছেও তিনি কয়েক প্রজন্ম আগের এক মানুষ মাত্র ৷ তবু তিনি গ্রামের গর্ব ৷

আরও পড়ুন: ইন্দো-চিন সীমান্তে দেশের শেষ গ্রাম, মানায় উড়বে তেরঙা

2 অগস্ট বেঙ্কাইয়ার 146তম জন্মবার্ষিকী ছিল ৷ কিংবদন্তির জন্মদিন খুব ধুমধাম করে পালন করা হয় গ্রামে ৷ 300 ফুট দীর্ঘ একটি তেরঙা পতাকা নিয়ে গ্রামের চারদিক প্রদক্ষিণ করে গ্রামবাসীরা ৷ জেলা প্রশাসন পতাকা উত্তোলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ৷

স্থানীয় কোটেশ্বর রাও বলেন, "ভাতলাপেনুমাররু অন্য গ্রামগুলোর মতোই ৷ শুধু পার্থক্য এটাই যে এ গ্রাম তার কিংবদন্তির নামে পরিচিত ৷ প্রায় 3 হাজার 500 জন বাস করেন এই গ্রামে ৷" ক'বছর আগে বিজয়ওয়াড়ার তৎকালীন সাংসদ লাগাদাপাটি রাজাগোপাল পিঙ্গালির স্মরণে একটি দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন ৷ দেশের ম্যাপে, গ্রামটিকে আলোয় আনতে ওটাই হয়তো একমাত্র চেষ্টা ছিল, আক্ষেপ কোটেশ্বরের গলায় ৷ ভাতলাপেনুমাররুর কয়েক মাইল দূরেই কুচিপুরি ৷ ভারতের ধ্রুপদী নৃত্যের জন্য আন্তর্জাতিক মানচিত্রে এই গ্রামটিরও সন্ধান মেলে ৷

31 জুলাই কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ভাতলাপেনুমাররু গ্রামে আসেন ৷ তিনি জাতীয় পতাকার কারিগর পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ৷ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, "আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে আমরা একটি মেগা ফ্ল্যাগ স্থাপন করব এখানে ৷" ইতিমধ্যে কৃষ্ণা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়ার গ্রামে পা রাখলেন ৷ তিনি আরও কথা দিয়েছেন, যদি রাজ্য সরকার জমি দেয়, তাহলে সেই জমিতে পিঙ্গালি বেঙ্কাইয়া মেমোরিয়াল তৈরি করা হবে ৷

আরও পড়ুন: "আরএসএস জাতীয় পতাকার রংকে অশুভ বলেছিল", বিস্ফোরক দাবি আসাদউদ্দিনের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.