দিল্লি, 27 মার্চ : কোরোনার থাবায় দেশের অর্থনীতির অবস্থা সংকটজনক । ইতিমধ্যেই ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে । দেশ কার্যত স্তব্ধ । এর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাগুলিও । এই পরিস্থিতিতে আজ লকডাউনের তৃতীয় দিনে সাংবাদিক বৈঠক করে আমানতকারীদের ভরসা দিলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস । আমানতকারীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা "ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই । আপনাদের অর্থ সুরক্ষিত ।"
আজকের সাংবাদিক বৈঠেক সমস্ত ঋণে তিনমাসের স্থগিতাদেশ,রেপো রেট ও CRR (ক্যাশ রিজার্ভ রেসিও )-তে যথাক্রমে 75 BPS ও 100 BPS কমানোসহ একাধিক বিষয়ের কথা বলেন তিনি । শক্তিকান্ত দাস বলেন....
- দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে 24-27 মার্চ পর্যন্ত একাধিক বিষয়ে বৈঠক করেছে মনিটারি পলিসি কমিটি ।
- এখনই সময় যখন সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একটি প্যাকেজ চালু করতে হবে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ককে । যেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ১) নগদ টাকা বাড়াতে পদক্ষেপ করতে হবে ২) ঋণ পরিশোধের প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করতে হবে । ৩) বাজার স্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে হবে ।
- মনিটারি পলিসি কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর রেপো রেট 5.15 শতাংশ থেকে কমিয়ে 4.4 শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ।
- রিভার্স রেপো রেটে 90 বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ শতাংশে এনেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ।
- সমস্ত ব্যাঙ্কের ক্যাশ রিজার্ভ রেশিওর উপর 100 বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে।
- নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রে LAF(লিকুইডিটি অ্যাডজাস্টমেন্ট ফেসিলিটি) 90 BPS কমিয়ে ৪ শতাংশে এনেছে ।
- কোরোনা ভাইরাসের তীব্রতা, সংক্রমণ ও সংক্রমণের সময়কাল অনেকটাই বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতির নির্ণায়ক হয়ে উঠেছে। যা ভবিষ্যতের পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ।
- শক্তিকান্ত দাস বলেন, কোরোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফে ভালো পদক্ষেপ করা হয়েছে । আমরা আমাদের সাধ্যমতো লড়াই করে যুদ্ধে জ সুনিশ্চিত করব ।
- এই পরিস্থিতিতে যে নগদ টাকা তোলা যেতে পারে তার পরিমাণ প্রায় 3,74,000 কোটি টাকা ।
- গত ফেব্রুয়ারি মাসের বৈঠকে গৃহীত নিয়ম অনুযায়ী এপর্যন্ত 2.2 লাখ কোটি টাকা দিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ।
- সর্বদা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কঠিন সময় কখনই চিরস্থায়ী হয় না । কেবলমাত্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানুষ ও অনুশাসিত প্রতিষ্ঠানই থেকে যায় এবং লড়াই করে যায় ।
- এই মুহূর্তে আমাদের আমাদের কর্তব্য, আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে ভূমিকা নেওয়া ।
- বর্তমান পরিস্থিতি যে ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে বিশ্ব অর্থনীতি একটি বড়সড় অর্থনীতির সম্মুখীন হতে পারে ।
- এক লাখ কোটি টাকার উপর তিনমাস পর্যন্ত একটি দীর্ঘমেয়াদি রেপো রেট সংক্রান্ত পরিকল্পনা করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক । সূচনা হিসেবে আজই 25,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে ।
- এই সংকটে আর্থিক স্থিতিশীলতা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
- সমস্ত ঋণের উপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিতে পারে সমস্ত ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান ।
- INR ও NDF-র বাজার দ্রুত বাড়ছে । এই মুহূর্তে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে এই বাজার অর্থনীতিতে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না ।
- আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত NSFR স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
- ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি নিরাপদে রয়েছে এবং আতঙ্কিত হয়ে অযথা টাকা তুলে নেওয়ার কোনও কারণ নেই ।