দিল্লি, 25 মে : রাষ্ট্রসংঘ আগেই সতর্ক করেছিল । চিন্তায় ছিল কৃষিমন্ত্রক। কোরোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার শুরু পঙ্গপালের উৎপাত । ইতিমধ্যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের দিকে ধেয়ে এসেছে এই পঙ্গপালের দল। মধ্যপ্রদেশে ও রাজস্থানের বেশ কয়েকটি জেলার ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত । এর জেরে খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কাও প্রবল । এবার এই নতুন সমস্যার সঙ্গে লড়ছে দেশ ।
পঙ্গপালের অনুপ্রবেশ
গতবছর ইরান থেকে পাকিস্তানে ঢুকেছিল । এবছর এপ্রিল মাসে পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢোকে পঙ্গপাল । সীমান্ত অতিক্রম করে প্রথমে রাজস্থানে, তারপর এক এক করে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে । পাকিস্তানে পঙ্গপালের উপদ্রবের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।
পঙ্গপালের গতিপথ
এই মুহূর্তে পাঁচটি রাজ্যের ফসল, শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক গত সপ্তাহেই সতর্কবার্তা দিয়েছিল । কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে পঙ্গপাল হানার সম্ভবনা রয়েছে । বর্তমানে রাজস্থান সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত । উত্তরপ্রদেশেও পঙ্গপাল হানার আশঙ্কা রয়েছে । উত্তরপ্রদেশের কৃষি বিভাগের মতে, পঙ্গপালের এই বড় দল একঘণ্টার মধ্যে এক একর ফসল খেয়ে নিতে পারে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে উত্তরপ্রদেশের কৃষি বিভাগ কৃষকদের আলাদা করে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে । আগ্রায় পঙ্গপাল মোকাবিলার জন্য রাসায়নিক স্প্রে সহ 204 টি ট্রাক্টর প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই পঙ্গপালের দল আগ্রা, আলিগড়, মথুরা, বুলন্দশহর,ফারুক্কাবাদ, অউরিয়া, জালাউন, কানপুর, ঝাঁসি, হামিরপুর ও ললিতপুর সহ নানা জেলায় এই পঙ্গপাল আক্রমণ চালাবে ।
দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের জন্যও সতর্কবার্তা রয়েছে । আজ জয়পুরে উড়তে দেখা গেছে পঙ্গপাল বাহিনীকে । রাজস্থানের কৃষিদপ্তর জানাচ্ছে, এরা নাগপুর থেকে এসেছে । রাজস্থানের অধিকাংশ জেলা এদের উৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত । গতকাল মধ্য়প্রদেশের মান্দসৌর জেলায় দেখা যায় পঙ্গপাল বাহিনীকে ।
পঙ্গপাল কী
পঙ্গপাল এক প্রকার পতঙ্গ। FAO-র মতে ছোট শিংয়ের বিশেষ প্রজাতির এই পতঙ্গ বিশ্বের অন্যতম পুরোনো পরিযায়ী প্রাণী । এরা ঝাঁকে ঝাঁকে এক জায়গা থেকে অন্যত্র জায়গায় উড়ে যায় । আচরণগত পরিবর্তনের ভিত্তিতে এরা ঘাস ফড়িংয়ের থেকে আলাদা । এদের মধ্য়ে সবচেয়ে ক্ষতিকর ডিসার্ট লোকাস্ট । পঙ্গপাল দিনে 150 কিমি পর্যন্ত উড়তে পারে । এক বর্গ কিমিজুড়ে থাকা পঙ্গপালের দল যে পরিমাণ খেতে পারে, তা একদিনে 35,000 মানুষ তাদের ওজন অনুযায়ী খেতে পারেন ।
-
#WATCH राजस्थान में टिड्डियों का प्रकोप अभी भी जारी। कल देर रात जयपुर के ग्रामीण इलाके में टिड्डियों ने दस्तक दी और आज सुबह जयपुर शहर के कई इलाकों से गुजरती हुई दौसा की तरफ निकल गई। pic.twitter.com/PgDrKGtKmJ
— ANI_HindiNews (@AHindinews) May 25, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">#WATCH राजस्थान में टिड्डियों का प्रकोप अभी भी जारी। कल देर रात जयपुर के ग्रामीण इलाके में टिड्डियों ने दस्तक दी और आज सुबह जयपुर शहर के कई इलाकों से गुजरती हुई दौसा की तरफ निकल गई। pic.twitter.com/PgDrKGtKmJ
— ANI_HindiNews (@AHindinews) May 25, 2020#WATCH राजस्थान में टिड्डियों का प्रकोप अभी भी जारी। कल देर रात जयपुर के ग्रामीण इलाके में टिड्डियों ने दस्तक दी और आज सुबह जयपुर शहर के कई इलाकों से गुजरती हुई दौसा की तरफ निकल गई। pic.twitter.com/PgDrKGtKmJ
— ANI_HindiNews (@AHindinews) May 25, 2020
কেন পঙ্গপালের হানা ?
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই পঙ্গপাল হানা দিয়েছে বলে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত মহাসাগরে বারবার ঘূর্ণিঝড় ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে এদের উৎপাত বেড়েছে । FAO-র পঙ্গপাল পূর্বাভাস বিষয়ক আধিকারিক কেইথ ক্রিসম্যান বলেন, "এই পরিমাণে পঙ্গপাল হানা ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ায় 25 বছরে সর্বোচ্চ । ভারতে এই মাত্রায় পঙ্গপাল আক্রমণ 26 বছরে সর্বাধিক ।" IITM-র এক গবেষক রক্সি ম্যাথিউ কল বলেন, "পূর্ব আফ্রিকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরেই পঙ্গপালের এই বাড়বাড়ন্ত ।" তাছাড়া গত দু'বছরে আরব সাগরে একের পর ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাও পঙ্গপালের বংশবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এরকম আবহাওয়া পঙ্গপালের প্রজননের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয় ।
-
#WATCH Madhya Pradesh: Swarms of locusts seen at a village in Chhatarpur district. pic.twitter.com/jcfnlGTuR2
— ANI (@ANI) May 25, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">#WATCH Madhya Pradesh: Swarms of locusts seen at a village in Chhatarpur district. pic.twitter.com/jcfnlGTuR2
— ANI (@ANI) May 25, 2020#WATCH Madhya Pradesh: Swarms of locusts seen at a village in Chhatarpur district. pic.twitter.com/jcfnlGTuR2
— ANI (@ANI) May 25, 2020
সরকারের পদক্ষেপ
ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করেছে ভারত সরকার । ড্রোনের মাধ্যমে পঙ্গপালের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে । পঙ্গপাল দমনে ব্রিটেন থেকে নানা যন্ত্রপাতির আমদানিও করা হচ্ছে । পাশাপাশি যে এলাকাগুলিতে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে ড্রোন, বিশেষ স্প্রে ও নানা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একযোগে লড়াউ করছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির কৃষিদপ্তরও ।