ভারতবাসীরা স্বাধীন দেশে নিশ্বাস নেওয়া শুরু করে 72 বছর আগে । অনেক বলিদানের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছিল ভারতকে । এ জন্য নিজের সব কিছু ত্যাগ করেছেন অনেকেই । যাঁদের মধ্যে পড়েন স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে থাকা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি । দেশের হয়ে কারাগারে গেছেন । সংগ্রামের জন্য অর্থ জোগার করতে নিলামে তুলেছেন নিজের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ।
দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামের মনোভাব জনে জনে ছড়িয়ে দিতে গান্ধি 1920-র দশকের শেষ ভাগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে শুরু করেন । সেরকমই এক সফরে একবার আলমোরায় গেছিলেন গান্ধি । সেই সময় নৈনিতালে অনেক মহিলা দেশের স্বাধীনতার স্বার্থে অর্থ জোগান দিতে নিজেদের গয়না দান করেছিলেন গান্ধিকে । পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য অর্থের প্রয়োজনে গান্ধি নিজের ব্যক্তিগত কয়েকটি সামগ্রী সেখানে নিলামে তুলেছিলেন ।
আলমোরার জওহর শাহ সেই সময় রুপোর তৈরি একটি পাত্র কিনেছিলেন গান্ধির থেকে । আজ জওহর শাহ বেঁচে নেই । বেঁচে আছেন তাঁর ছেলে সভল শাহ । স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "সেই সময় মহাত্মা গান্ধি স্বাধীনতা সংগ্রামের বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন । পাশাপাশি সংগ্রামের জন্য অর্থের যোগান দিতে নিজের জিনিস নিলামে তুলছেন । সেইরকম একটি নিলাম থেকে বাবা রুপোর পাত্রটি কিনেছিলেন ।"
সভল জানান, তাঁর বাবার কেনা পাত্রটি এখনও সযত্নে রাখা আছে তাঁদের বাড়িতে । 11 টাকা দিয়ে পাত্রটি কিনেছিলেন জওহর শাহ । যা পাত্রটির সেই সময়কার দামের তুলনায় অনেক বেশি ছিল । তবে বেশি দাম দিয়ে পাত্রটি কেনার পিছনে ছিল এক মহৎ উদ্দেশ্য । 90 বছর পর আজও সেই পাত্র শাহ পরিবারের কাছে রয়েছে । যা নিয়ে তাঁরা গর্বিত । সেই পাত্রটি এখন তাঁদের পরিবারের মন্দিরে স্থান পেয়েছে ।