ETV Bharat / bharat

ভাইজ়্য়াগ গ্যাস লিক, আশঙ্কা জল দূষণের

author img

By

Published : May 11, 2020, 8:32 PM IST

ইতিমধ্যেই এলাকার জলাধারগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । স্টাইরিন জলে মিশে ক্ষতি করতে পারে, বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের ।

ছবি
ছবি

বিশাখাপটনম, 11 মে : দিন কয়েক আগে বিশাখাপটনমের LG পলিমার্স থেকে স্টাইরিন লিক করার ঘটনায় শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন । এক শিশুসহ মৃত্যু হয় 12 জনের । অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন । ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে । প্রশাসনের তরফে প্ল্যান্ট সংলগ্ন এলাকাগুলিতে আবার বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কিন্তু এলাকার জল সরবরাহ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা । কোথাও এই বিষাক্ত স্টাইরিন জলে মিশে যায়নি তো ? তাহলে কিন্তু বড়সড় বিপদ হতে পারে । ইতিমধ্যেই জলাধারগুলির কয়েকটি থেকে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে । স্থানীয় প্রশাসন জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু করেছে ।

গ্যাস লিকের জেরে প্ল্যান্ট সংলগ্ন আশপাশের পাঁচটি গ্রামের জলাশয় দূষিত হয়েছে বলে জানা গেছে । স্থানীয়দের দাবি, এই রাসায়নিক গ্যাস লিকের জেরে এলাকার জলাধারগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত । কারণ জলস্তরে রাসায়নিক কণাগুলি ভাসতে দেখা গেছে । এর জেরে অনেক মাছের মৃত্যুও হয়েছে । ইতিমধ্য়েই CSIR ও ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়রিং ইনস্টিটিউটের একটি বিশেষজ্ঞ দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে । তাদের পরামর্শ, ওই রাসায়নিক প্ল্যান্টের আশপাশের জলের ট্যাঙ্কগুলি খালি করে পুরোপুরি পরিষ্কার করা উচিত ।

প্রশাসনিক আধিকারিকরা পাঁচটি গ্রামকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করেছেন । জানিয়েছেন, যে যার নিজের এলাকায় ফিরে আসতে পারেন তাঁরা । তবে গ্রামবাসীরা যাঁরা বাড়ি ফিরবেন, তাঁদের খোলা জায়গায় রাখা জিনিসপত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে । কিন্তু এই গ্যাস কী পরিমাণে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় । বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মৃত গবাদি পশু এবং অন্যান্য প্রাণীদের দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে । যদি এই মুহূর্তে বাসিন্দারা এলাকায় ফিরে আসেন । তাহলে তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ।

এই রাসায়নিক পদার্থের জেরে ভূগর্ভস্থ জলও দূষিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা । প্ল্যান্টের যে ট্য়াঙ্কটি থেকে গ্যাস লিক করেছে তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত পাঁচ দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে জল ব্যবহার করা হয়েছে । বাতাসে গ্যাসের ঘনত্ব কমাতে গ্রামগুলিতে জল স্প্রে করা হয়েছে । স্থানীয়দের অনুমান, এই জল ভূগর্ভস্থ জলকে দূষিত করতে পারে । পাশাপাশি গ্রামের জলাশয়গুলিতে গিয়েও মিশতে পারে ।

গ্রেটার বিশাখাপটনম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (GVMC)- এর তরফে জানানো হয়েছে, সতর্কতা হিসেবে দ্রুত মেঘাদ্রিগেডডা জলাধার থেকে জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল । গতকাল GVMC-র কমিশনার জি শ্রীজানা ও স্থানীয় জল পরীক্ষার ল্যাবরেটরি থেকে কয়েকজন জলাধার পরিদর্শনে যান । কমিশনার বলেন, "যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রমাণিত হয় পানীয় হিসেবে এই জল নিরাপদ । ততক্ষণ জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে ।"

কর্পোরেশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মুদাসার্লোভা, ইয়েলেরু এবং থাটিপুডির জলাধারগুলি এলাকার জলের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করছে । যেহেতু মেঘাদ্রিগেডডা জলাধার শুধুমাত্র কয়েকটি অঞ্চলের জলের চাহিদা পূরণ করে । তাই জল সরবরাহের উপর কোনও বড় প্রভাব পড়বে না ।

এদিকে, কৃষিমন্ত্রী কে কান্নাবাবু জানিয়েছেন, জনগণের স্বাস্থ্যের উপর গ্যাস লিকের প্রভাব খতিয়ে দেখার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার ।

বিশাখাপটনম, 11 মে : দিন কয়েক আগে বিশাখাপটনমের LG পলিমার্স থেকে স্টাইরিন লিক করার ঘটনায় শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন । এক শিশুসহ মৃত্যু হয় 12 জনের । অনেকেই সুস্থ হচ্ছেন । ধীরে ধীরে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে । প্রশাসনের তরফে প্ল্যান্ট সংলগ্ন এলাকাগুলিতে আবার বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কিন্তু এলাকার জল সরবরাহ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বাসিন্দারা । কোথাও এই বিষাক্ত স্টাইরিন জলে মিশে যায়নি তো ? তাহলে কিন্তু বড়সড় বিপদ হতে পারে । ইতিমধ্যেই জলাধারগুলির কয়েকটি থেকে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে । স্থানীয় প্রশাসন জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু করেছে ।

গ্যাস লিকের জেরে প্ল্যান্ট সংলগ্ন আশপাশের পাঁচটি গ্রামের জলাশয় দূষিত হয়েছে বলে জানা গেছে । স্থানীয়দের দাবি, এই রাসায়নিক গ্যাস লিকের জেরে এলাকার জলাধারগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত । কারণ জলস্তরে রাসায়নিক কণাগুলি ভাসতে দেখা গেছে । এর জেরে অনেক মাছের মৃত্যুও হয়েছে । ইতিমধ্য়েই CSIR ও ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়রিং ইনস্টিটিউটের একটি বিশেষজ্ঞ দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে । তাদের পরামর্শ, ওই রাসায়নিক প্ল্যান্টের আশপাশের জলের ট্যাঙ্কগুলি খালি করে পুরোপুরি পরিষ্কার করা উচিত ।

প্রশাসনিক আধিকারিকরা পাঁচটি গ্রামকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করেছেন । জানিয়েছেন, যে যার নিজের এলাকায় ফিরে আসতে পারেন তাঁরা । তবে গ্রামবাসীরা যাঁরা বাড়ি ফিরবেন, তাঁদের খোলা জায়গায় রাখা জিনিসপত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে । কিন্তু এই গ্যাস কী পরিমাণে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় । বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মৃত গবাদি পশু এবং অন্যান্য প্রাণীদের দেহ থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে । যদি এই মুহূর্তে বাসিন্দারা এলাকায় ফিরে আসেন । তাহলে তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ।

এই রাসায়নিক পদার্থের জেরে ভূগর্ভস্থ জলও দূষিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা । প্ল্যান্টের যে ট্য়াঙ্কটি থেকে গ্যাস লিক করেছে তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত পাঁচ দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে জল ব্যবহার করা হয়েছে । বাতাসে গ্যাসের ঘনত্ব কমাতে গ্রামগুলিতে জল স্প্রে করা হয়েছে । স্থানীয়দের অনুমান, এই জল ভূগর্ভস্থ জলকে দূষিত করতে পারে । পাশাপাশি গ্রামের জলাশয়গুলিতে গিয়েও মিশতে পারে ।

গ্রেটার বিশাখাপটনম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (GVMC)- এর তরফে জানানো হয়েছে, সতর্কতা হিসেবে দ্রুত মেঘাদ্রিগেডডা জলাধার থেকে জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল । গতকাল GVMC-র কমিশনার জি শ্রীজানা ও স্থানীয় জল পরীক্ষার ল্যাবরেটরি থেকে কয়েকজন জলাধার পরিদর্শনে যান । কমিশনার বলেন, "যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রমাণিত হয় পানীয় হিসেবে এই জল নিরাপদ । ততক্ষণ জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে ।"

কর্পোরেশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মুদাসার্লোভা, ইয়েলেরু এবং থাটিপুডির জলাধারগুলি এলাকার জলের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করছে । যেহেতু মেঘাদ্রিগেডডা জলাধার শুধুমাত্র কয়েকটি অঞ্চলের জলের চাহিদা পূরণ করে । তাই জল সরবরাহের উপর কোনও বড় প্রভাব পড়বে না ।

এদিকে, কৃষিমন্ত্রী কে কান্নাবাবু জানিয়েছেন, জনগণের স্বাস্থ্যের উপর গ্যাস লিকের প্রভাব খতিয়ে দেখার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.