সুপৌল, 30 অগাস্ট : কাশ্মীরেই শ্রমিকের কাজ করতেন দুই ভাই ৷ সেই সূত্রে আলাপ কাশ্মীরের দুই বোনের সঙ্গে ৷ 370 ধারা প্রত্যাহারের পর নিজ মর্জিতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা ৷ বুধবার তাঁদের বিহারের সুপৌলে বাড়ি থেকে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷
মহম্মদ তারবেজ় (26) এবং মহম্মদ পারবেজ় (24)-এর বাড়ি বিহারের সুপৌল জেলায় রাঘোপুর পুলিশ স্টেশনের রামবিশানপুর জেলায়৷ বিয়ের পর সেখানেই ছিলেন দম্পতি ৷ মেয়ের বাবার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ কাশ্মীরের দুই বোনের বাবা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, মহম্মদ তারবেজ় এবং মহম্মদ পারবেজ় তাঁর মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে এসেছে ৷
সুপৌল পুলিশের সাহায্যে কাশ্মীরের পুলিশ বাহিনী বুধবার সকালে সুপৌল পৌঁছায় ৷ এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন, সাব ইন্সপেক্টর সমীর ৷ সে রামবিশানপুরের বাড়ি থেকে প্রথমে দুইজন মেয়েকে 'উদ্ধার' করে ৷ তারপর গ্রেপ্তার করে দুই ভাইকে ৷
পরবর্তী সময়ে সুপৌল আদালতে তোলা হয় তাঁদের চারজনকে ৷ বিচারকের সামনে দুই বোন বয়ান দেন, তাঁদের নিজ সম্মতিতে তাঁরা বিবাহ করেছেন ৷ কোনওরকম বল প্রয়োগ করে তাঁদের বিয়ে করা হয়নি ৷ তাঁরা বিচারককে তাঁদের স্বামীর সঙ্গে থাকতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ৷
দুই ভাইয়ের পরিবার সূত্রে খবর, তাঁরা দুজন কাশ্মীরের রামবাণ জেলার বনিহাল গ্রামে রাজমিস্ত্রী হিসেবে প্রায় চার বছর কাজ করেছেন ৷ তখনই তাঁদের আলাপ ৷
তাবরেজ় আহমেদ বলেন, "370 ধারা প্রত্যাহারের পর আমাদের সম্পর্ক একটা পরিণতি পেয়েছিল ৷ আমরা জেনেছিলাম এখন যে কেউ কাশ্মীরের মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে ৷ থাকতেও পারবে সেখানে ৷ আমরা মুসলমান ধর্মের বিবাহের নিয়ম অনুযায়ী কাশ্মীরেই নিকাহ করি ৷ "
দুই দম্পতি কাশ্মীর ছেড়ে আসার পর 16 অগাস্ট সুপৌল পৌঁছায় ৷ তাঁদের বাবা ঘটনাটি জানার পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ দুই বোন জানান, স্বামীর সঙ্গে থাকতে চায় তাঁরা ৷ কাশ্মীরের পুলিশ আধিকারিক জানান , এই বিষয়ে এখন আদালত সিদ্ধান্ত নেবে ৷