ETV Bharat / bharat

তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইনের সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট - সুপ্রিম কোর্ট

বিলটি পাশ হয়ে গেলে টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি লেখেন, এত দিনে তিন তালাকের মতো একটি প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় প্রথাকে আবর্জনার স্তূপে ছুড়ে ফেলে দেওয়া গেল ।

ছবি
author img

By

Published : Aug 23, 2019, 12:44 PM IST

দিল্লি, 23 অগাস্ট : বিল পাশ হয়ে গেছে সংসদের উভয় কক্ষতেই ৷ রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর তা রূপ নিয়েছে আইনেও ৷ এ বার সেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইন পরীক্ষা করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিশও পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ এ বার আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করতে চায় তারা ৷

গত মাসেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ হয়েছিল রাজ্যসভায় ৷ বিলটি পাশ হয়ে গেলে টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি লেখেন, ‘এত দিনে তিন তালাকের মতো একটি প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় প্রথাকে আবর্জনার স্তূপে ছুড়ে ফেলে দেওয়া গেল । মুসলিম মহিলাদের প্রতি এতদিন ধরে চলে আসা একটি ঐতিহাসিক ভুল শোধরানো সম্ভব হল সংসদে । এটা লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জয় । এর ফলে সমাজে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পথ আরও প্রশস্ত হল । আজ ভারতের খুশির দিন ।’ সংসদে বিল পাশের পর সেটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সইয়ের পর সেই বিল আইনে পরিণত হয় ৷

কিন্তু, বিল তথা আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করছেন, তখনই আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দায়ের করা হয় ৷ জামিয়াত-উলেমা-ই-হিন্দের পক্ষ থেকে প্রথম পিটিশন দায়ের করা হয় ৷ বিল তথা আইনটিতে মুসলিম পুরুষদের তিন বছরের জেলের যে নিদান দেওয়া হয়েছিল, অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধেই ৷ তিন বছরের জেলের বিষয়টিকে 'অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত' দাবি করা হয়েছিল ৷

আবার এর একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে দুই বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেলের নিদান রয়েছে ৷ সেখানে তিন তালাকের ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা অতিরিক্ত বলেই দাবি করা হয় ৷ অন্যদিকে আবার বিলটি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কংগ্রেস-তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৷ তাদেরও আপত্তির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল তিন বছরের জেলের নিদান ৷ বিষয়টি নিয়ে এ বার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চলেছে শীর্ষ আদালত ৷

2014-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিন তালাক প্রথার অবসান চেয়ে সরব হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার । 2017-য় তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক তকমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও । তার পরেই তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছরের জেলের নিদান দিয়েও বিল আনে মোদি সরকার । কিন্তু প্রথম দফায় সেই বিল পাশ করাতে ব্যর্থ হয় তারা । দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই তাই অসমাপ্ত কাজ সেরে ফেলতে উদ্যোগী হন মোদি-শাহরা । সংসদে পাশ হয়ে বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরও ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের খাঁড়া তৈরি হল ৷

দিল্লি, 23 অগাস্ট : বিল পাশ হয়ে গেছে সংসদের উভয় কক্ষতেই ৷ রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর তা রূপ নিয়েছে আইনেও ৷ এ বার সেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইন পরীক্ষা করতে চায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিশও পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ এ বার আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করতে চায় তারা ৷

গত মাসেই তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ হয়েছিল রাজ্যসভায় ৷ বিলটি পাশ হয়ে গেলে টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি লেখেন, ‘এত দিনে তিন তালাকের মতো একটি প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় প্রথাকে আবর্জনার স্তূপে ছুড়ে ফেলে দেওয়া গেল । মুসলিম মহিলাদের প্রতি এতদিন ধরে চলে আসা একটি ঐতিহাসিক ভুল শোধরানো সম্ভব হল সংসদে । এটা লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জয় । এর ফলে সমাজে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পথ আরও প্রশস্ত হল । আজ ভারতের খুশির দিন ।’ সংসদে বিল পাশের পর সেটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সইয়ের পর সেই বিল আইনে পরিণত হয় ৷

কিন্তু, বিল তথা আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করছেন, তখনই আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন দায়ের করা হয় ৷ জামিয়াত-উলেমা-ই-হিন্দের পক্ষ থেকে প্রথম পিটিশন দায়ের করা হয় ৷ বিল তথা আইনটিতে মুসলিম পুরুষদের তিন বছরের জেলের যে নিদান দেওয়া হয়েছিল, অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধেই ৷ তিন বছরের জেলের বিষয়টিকে 'অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত' দাবি করা হয়েছিল ৷

আবার এর একটি পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে দুই বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেলের নিদান রয়েছে ৷ সেখানে তিন তালাকের ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা অতিরিক্ত বলেই দাবি করা হয় ৷ অন্যদিকে আবার বিলটি নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কংগ্রেস-তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৷ তাদেরও আপত্তির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল তিন বছরের জেলের নিদান ৷ বিষয়টি নিয়ে এ বার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চলেছে শীর্ষ আদালত ৷

2014-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিন তালাক প্রথার অবসান চেয়ে সরব হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার । 2017-য় তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক তকমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও । তার পরেই তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছরের জেলের নিদান দিয়েও বিল আনে মোদি সরকার । কিন্তু প্রথম দফায় সেই বিল পাশ করাতে ব্যর্থ হয় তারা । দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই তাই অসমাপ্ত কাজ সেরে ফেলতে উদ্যোগী হন মোদি-শাহরা । সংসদে পাশ হয়ে বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরও ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের খাঁড়া তৈরি হল ৷

Bihar, Aug 23 (ANI): Independent MLA from Mokama, Anant Singh, who has been absconding after police seized an AK-47 rifle and hand grenade from his residence on August 16 said that he will surrender himself before the Court not police. "I will not surrender before the police, I will surrender the court. I trust the judiciary."
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.