ETV Bharat / bharat

চিঠি লিখে পাঠালে না কি রাজস্থানের এই গণপতি ইচ্ছাপূরণ করেন - রাজস্থান

রাজস্থানের ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির ৷ জয়ুপুর থেকে 150 কিলোমিটার দূরে সওয়াইমাধোপুরের রণথম্বোর ব্যাঘ্র জাতীয় উদ্যানে মধ্যে অবস্থিত ৷ মনে করা হয় এটিই ভারতের প্রথম গণেশ মূর্তি ৷ কথিত আছে যদি কেউ গণপতিকে চিঠি লিখে এই মন্দিরে পাঠান তাহলে তার ইচ্ছা পূরণ হবে ৷

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Aug 26, 2020, 4:18 PM IST

Updated : Aug 26, 2020, 9:05 PM IST

অনেক দিন ধরে কিছু পেতে চাইছেন, অথচ ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না ? একবার মনের ইচ্ছাগুলো চিঠি লিখে জানান সিদ্ধিদাতাকে ৷ কে বলতে পারে , হয়ত আপনি যা চাইছেন তা পেয়েও যেতে পারেন ! সেই চিঠি পাঠানোর ঠিকানা রাজস্থানের ত্রিনেত্র মন্দির ৷ কথিত আছে সেখানে গণপতিকে চিঠি পাঠালেই না কি ইচ্ছে মনের ইচ্ছে পূরণ হয় ৷ একবার পড়ে নেওয়া এর ইতিহাস ৷

ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির ৷ এটি রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরের রণথম্বোর ব্যাঘ্র জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত ৷ জয়পুর থেকে যার দূরত্ব 150 কিলোমিটার ৷ আরাবল্লি ও বিন্ধাচল পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এই মন্দিরটি মাটি থেকে 1580 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত । মনে করা হয় এটিই ভারতের প্রথম গণেশ মূর্তি ৷ দেশের অন্যতম প্রাচীন মন্দির এটি । মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায় রামায়ণে এবং দ্বাপর যুগেও । তবে মন্দিরটি বরাবরই ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু । এই মন্দিরকে ঘিরে বিভিন্ন বিশ্বাস প্রচলিত থাকলেও , এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভক্তরা মনে করেন তাঁদের সমস্যা যদি বিঘ্নহর্তাকে চিঠি লিখে জানান তাহলে তিনি তাঁদের সেই সমস্যার সমাধান করবেন ৷ 150 কিলোমিটার দূরে ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির ।

বৈশিষ্ট্য

গণপতির এই মূর্তিটির তিনটি চোখ রয়েছে ৷ এখানে গণেশ বসে রয়েছেন তাঁর দুই স্ত্রী সিদ্ধি ও রিদ্ধি এবং দুই পুত্র শুভ ও লাভকে নিয়ে ৷ ভারতের একমাত্র এই মন্দিরে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে গণেশের পুরো পরিবারকে ৷

সমস্যার সামধানে গণপতি

এই মন্দিরের অন্যতম বিশেষত্ব হল এখানে ভক্তরা চিঠি লিখে গণপতিকে পাঠান ৷ তাঁদের বিশ্বাস তিনি ইচ্ছা পূরণ করবে ৷ আজও ডাককর্মীরা পিন কোড- 322021, রণথম্বর, সওয়াই মাধোপুরের এই ঠিকানায় ভক্তদের চিঠি পৌঁছে দেন ৷

ইতিহাস বলছে

রাজস্থানের ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির ৷

আনুমানিক দশম শতাব্দীতে রণথম্বোরের রাজা হামিরদেব এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন ৷ কথিত আছে রাজা হামিরদেবের সঙ্গে একবার আলাউদ্দিন খিলজির প্রচন্ড যুদ্ধ চলছিল ৷ সেই সময় একদিন তিনি গণেশের স্বপ্নাদেশ পান ৷ বলা হয় বাপ্পা বা কি তাঁকে বিজয় বর দান করেছিলেন ৷ যার কারণেই তিনি যুদ্ধ যেতেন ৷ যুদ্ধ জয়ের পরে রাজা হামির তাঁর দুর্গে ভগবান গণেশের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।

আরও বলা হয়

দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণ রুক্মণীর সঙ্গে বিবাহ করেছিলেন ৷ কিন্তু ভুলবসত তিনি গণেশকে আমন্ত্রণ জানাতে ভুলে যান ৷ যার কারণে গণপতি অপমানবোধ করেন । এরপর ভগবান কৃষ্ণকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ৷ যার ফলস্বরূপ তিনি গণেশের উপাসনা করেছিলেন ।

বলা হত, ত্রেতা যুগে না কি লঙ্কায় পৌঁছনর আগে এই গণেশকেই পুজো করেছিলেন রাম ৷ আরও বলা হয় বিক্রমাদিত্য এখানে প্রতি বুধবার পূজা করতে আসতেন ।

photo
মন্দির প্রবেশের পথ

কীভাবে পৌঁছবেন ত্রিনেত্র মন্দিরে ?

ত্রিনিত্র গণেশ মন্দির সওয়াই মাধোপুর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । এখানে যাওয়ার জন্য রেল পরিষেবা হল উল্লেখযোগ্য উপায় । বাসেও পৌঁছানো যায় এখানে । বিমান পরিষেবা দিয়ে আসতে গেলে প্রথমে জয়পুর যেতে হবে । এরপরে বাসে করে সওয়াই মাধোপুর যেতে হবে । মন্দিরটি সর্বদা দেখার জন্য এখান থেকে যানবাহন পাওয়া যায় ।

অনেক দিন ধরে কিছু পেতে চাইছেন, অথচ ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না ? একবার মনের ইচ্ছাগুলো চিঠি লিখে জানান সিদ্ধিদাতাকে ৷ কে বলতে পারে , হয়ত আপনি যা চাইছেন তা পেয়েও যেতে পারেন ! সেই চিঠি পাঠানোর ঠিকানা রাজস্থানের ত্রিনেত্র মন্দির ৷ কথিত আছে সেখানে গণপতিকে চিঠি পাঠালেই না কি ইচ্ছে মনের ইচ্ছে পূরণ হয় ৷ একবার পড়ে নেওয়া এর ইতিহাস ৷

ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির ৷ এটি রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরের রণথম্বোর ব্যাঘ্র জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত ৷ জয়পুর থেকে যার দূরত্ব 150 কিলোমিটার ৷ আরাবল্লি ও বিন্ধাচল পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এই মন্দিরটি মাটি থেকে 1580 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত । মনে করা হয় এটিই ভারতের প্রথম গণেশ মূর্তি ৷ দেশের অন্যতম প্রাচীন মন্দির এটি । মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায় রামায়ণে এবং দ্বাপর যুগেও । তবে মন্দিরটি বরাবরই ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু । এই মন্দিরকে ঘিরে বিভিন্ন বিশ্বাস প্রচলিত থাকলেও , এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ভক্তরা মনে করেন তাঁদের সমস্যা যদি বিঘ্নহর্তাকে চিঠি লিখে জানান তাহলে তিনি তাঁদের সেই সমস্যার সমাধান করবেন ৷ 150 কিলোমিটার দূরে ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির ।

বৈশিষ্ট্য

গণপতির এই মূর্তিটির তিনটি চোখ রয়েছে ৷ এখানে গণেশ বসে রয়েছেন তাঁর দুই স্ত্রী সিদ্ধি ও রিদ্ধি এবং দুই পুত্র শুভ ও লাভকে নিয়ে ৷ ভারতের একমাত্র এই মন্দিরে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে গণেশের পুরো পরিবারকে ৷

সমস্যার সামধানে গণপতি

এই মন্দিরের অন্যতম বিশেষত্ব হল এখানে ভক্তরা চিঠি লিখে গণপতিকে পাঠান ৷ তাঁদের বিশ্বাস তিনি ইচ্ছা পূরণ করবে ৷ আজও ডাককর্মীরা পিন কোড- 322021, রণথম্বর, সওয়াই মাধোপুরের এই ঠিকানায় ভক্তদের চিঠি পৌঁছে দেন ৷

ইতিহাস বলছে

রাজস্থানের ত্রিনেত্র গণেশ মন্দির ৷

আনুমানিক দশম শতাব্দীতে রণথম্বোরের রাজা হামিরদেব এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন ৷ কথিত আছে রাজা হামিরদেবের সঙ্গে একবার আলাউদ্দিন খিলজির প্রচন্ড যুদ্ধ চলছিল ৷ সেই সময় একদিন তিনি গণেশের স্বপ্নাদেশ পান ৷ বলা হয় বাপ্পা বা কি তাঁকে বিজয় বর দান করেছিলেন ৷ যার কারণেই তিনি যুদ্ধ যেতেন ৷ যুদ্ধ জয়ের পরে রাজা হামির তাঁর দুর্গে ভগবান গণেশের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ।

আরও বলা হয়

দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণ রুক্মণীর সঙ্গে বিবাহ করেছিলেন ৷ কিন্তু ভুলবসত তিনি গণেশকে আমন্ত্রণ জানাতে ভুলে যান ৷ যার কারণে গণপতি অপমানবোধ করেন । এরপর ভগবান কৃষ্ণকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ৷ যার ফলস্বরূপ তিনি গণেশের উপাসনা করেছিলেন ।

বলা হত, ত্রেতা যুগে না কি লঙ্কায় পৌঁছনর আগে এই গণেশকেই পুজো করেছিলেন রাম ৷ আরও বলা হয় বিক্রমাদিত্য এখানে প্রতি বুধবার পূজা করতে আসতেন ।

photo
মন্দির প্রবেশের পথ

কীভাবে পৌঁছবেন ত্রিনেত্র মন্দিরে ?

ত্রিনিত্র গণেশ মন্দির সওয়াই মাধোপুর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । এখানে যাওয়ার জন্য রেল পরিষেবা হল উল্লেখযোগ্য উপায় । বাসেও পৌঁছানো যায় এখানে । বিমান পরিষেবা দিয়ে আসতে গেলে প্রথমে জয়পুর যেতে হবে । এরপরে বাসে করে সওয়াই মাধোপুর যেতে হবে । মন্দিরটি সর্বদা দেখার জন্য এখান থেকে যানবাহন পাওয়া যায় ।

Last Updated : Aug 26, 2020, 9:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.