ETV Bharat / bharat

ওজন মাত্র সাড়ে পাঁচ কেজি, 20 মিনিটের মধ্যে অ্যান্টিবডি নির্ণয় করবে এই নতুন মেশিন - পোর্টেবল মেশিনের সাহায্যে কোরোনা টেস্ট

জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তোকেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় ভাইরাস নির্ধারণে যে পোর্টেবল অ্যানালাইজ়ার তৈরি করা হয়েছে তার সাহায্যে অ্যান্টিবডি দ্রুত, সহজ এবং নির্ভুল নির্ণয় করা সম্ভব ।

new technology
new technology
author img

By

Published : May 23, 2020, 5:14 PM IST

টোকিয়ো, 23 মে: গবেষকদের চেষ্টায় মাত্র 20 মিনিটেই রক্ত বা সেরামের নমুনা থেকে অ্যান্টি-অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে । একটি পোর্টেবল অ্যানালাইজারের মাধ্যমে বাইরে গিয়ে এই র‍্যাপিড টেস্ট সম্ভব হয়েছে । নতুন এই প্রযুক্তি COVID-19-এর কার্যকারক ভাইরাস SARS-CoV-2-এর বিরদ্ধে অ্যান্টিবডি চেনার কাজে লাগবে বলে মনে করছেন গবেষকরা । এই মাইক্রোফ্লুয়েডিক ডিভাইসে 2 μL সেরাম যুক্ত ∼20 μL নমুনাগুলি প্রয়োগ করা যাবে । এই নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ও পড়ুয়ারা ।

এখনও পর্যন্ত কোরোনা পরীক্ষার যে পদ্ধতি চালু তাকে বলা হয় PCR বা polymerase chain reaction বলা হয় । এটি রোগীর গলা বা নাক থেকে নেওয়া সোয়াবের মধ্যে থাকা Sars-CoV-2 ভাইরাসকে চিনতে পারে । সাধারণত পলিমার্স চেইন রিয়েকশন বা PCR পদ্ধতি ভাইরাসের জিন নির্ণয় করতে কাজে লাগে । এই পদ্ধতি বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ । PCR পদ্ধতিতে টেস্টের জন্য সময় লাগত পারে 5 ঘণ্টা বা তারও বেশি । আরও একটি পদ্ধতি হল অ্যান্টিবডি টেস্ট । এই পদ্ধতিতে ভাইরাস ইনফেকশনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকে চেনা যায় । কিন্তু এই বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবডি নির্ণয় করার পদ্ধতি সবসময় ঠিক নাও হতে পারে । কারণ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব সাধারণত দৃষ্টিশক্তি দিয়ে নির্ধারিত হয় ।

জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় ভাইরাস নির্ধারণে যে পোর্টেবল অ্যানালাইজ়ার তৈরি করা হয়েছে তার সাহায্যে অ্যান্টিবডি দ্রুত, সহজ এবং নির্ভুল নির্ণয় করা সম্ভব । এই পদ্ধতিটি ফ্লুরোসেন্স পোলারাইজেশন ইমিউনোঅ্যাসে বা FPIA পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হলেও মেশিনটি আকারে খুবই ছোট এবং বহনযোগ্য । এটির ওজন মাত্র 5.5 কেজি । এই মাইক্রোফ্লুয়েডিক ডিভাইস একটি অপটিক্যাল সিস্টেম, একটি তরল স্ফটিক, একটি ইমেজ সেন্সর যুক্ত । যার সাহায্যে একাধিক নমুনার দ্রুত ফলাফল নির্ধারণ করা সম্ভব । এই মেশিনটি তৈরির পিছনে রয়েছে হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়াংরিংয়ের পড়ুয়াদের একটি দল । ওই দলের মধ্যে কেইনি নিশিয়ামা নামে এক ডাক্তারি পড়ুয়াও রয়েছেন । এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিংয়ারিংয়ের ফ্যাকাল্টি প্রফেসর মানাবু তোকেশিও এই আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ।

টোকিয়ো, 23 মে: গবেষকদের চেষ্টায় মাত্র 20 মিনিটেই রক্ত বা সেরামের নমুনা থেকে অ্যান্টি-অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে । একটি পোর্টেবল অ্যানালাইজারের মাধ্যমে বাইরে গিয়ে এই র‍্যাপিড টেস্ট সম্ভব হয়েছে । নতুন এই প্রযুক্তি COVID-19-এর কার্যকারক ভাইরাস SARS-CoV-2-এর বিরদ্ধে অ্যান্টিবডি চেনার কাজে লাগবে বলে মনে করছেন গবেষকরা । এই মাইক্রোফ্লুয়েডিক ডিভাইসে 2 μL সেরাম যুক্ত ∼20 μL নমুনাগুলি প্রয়োগ করা যাবে । এই নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ও পড়ুয়ারা ।

এখনও পর্যন্ত কোরোনা পরীক্ষার যে পদ্ধতি চালু তাকে বলা হয় PCR বা polymerase chain reaction বলা হয় । এটি রোগীর গলা বা নাক থেকে নেওয়া সোয়াবের মধ্যে থাকা Sars-CoV-2 ভাইরাসকে চিনতে পারে । সাধারণত পলিমার্স চেইন রিয়েকশন বা PCR পদ্ধতি ভাইরাসের জিন নির্ণয় করতে কাজে লাগে । এই পদ্ধতি বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ । PCR পদ্ধতিতে টেস্টের জন্য সময় লাগত পারে 5 ঘণ্টা বা তারও বেশি । আরও একটি পদ্ধতি হল অ্যান্টিবডি টেস্ট । এই পদ্ধতিতে ভাইরাস ইনফেকশনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকে চেনা যায় । কিন্তু এই বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবডি নির্ণয় করার পদ্ধতি সবসময় ঠিক নাও হতে পারে । কারণ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব সাধারণত দৃষ্টিশক্তি দিয়ে নির্ধারিত হয় ।

জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় ভাইরাস নির্ধারণে যে পোর্টেবল অ্যানালাইজ়ার তৈরি করা হয়েছে তার সাহায্যে অ্যান্টিবডি দ্রুত, সহজ এবং নির্ভুল নির্ণয় করা সম্ভব । এই পদ্ধতিটি ফ্লুরোসেন্স পোলারাইজেশন ইমিউনোঅ্যাসে বা FPIA পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হলেও মেশিনটি আকারে খুবই ছোট এবং বহনযোগ্য । এটির ওজন মাত্র 5.5 কেজি । এই মাইক্রোফ্লুয়েডিক ডিভাইস একটি অপটিক্যাল সিস্টেম, একটি তরল স্ফটিক, একটি ইমেজ সেন্সর যুক্ত । যার সাহায্যে একাধিক নমুনার দ্রুত ফলাফল নির্ধারণ করা সম্ভব । এই মেশিনটি তৈরির পিছনে রয়েছে হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়াংরিংয়ের পড়ুয়াদের একটি দল । ওই দলের মধ্যে কেইনি নিশিয়ামা নামে এক ডাক্তারি পড়ুয়াও রয়েছেন । এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিংয়ারিংয়ের ফ্যাকাল্টি প্রফেসর মানাবু তোকেশিও এই আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.