ETV Bharat / bharat

চিনা অনুপ্রবেশের সময়কালই সবচেয়ে ভয়ের

author img

By

Published : May 31, 2020, 3:03 PM IST

উহান এবং মহাবলিপুরমের যে ঘরোয়া বৈঠক হয়েছিল, সেখানে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করার বিষয়টি কী হল ? এখন কেন ? অতীতের কিছু ঘটনা পরপর সাজানো হল ৷

চিনা অনুপ্রবেশের সময়কালই সবচেয়ে ভয়ের
চিনা অনুপ্রবেশের সময়কালই সবচেয়ে ভয়ের

ভারত ও চিনের LAC (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা) বরাবর সীমান্ত উত্তেজনা চতুর্থ সপ্তাহে পড়ল ৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চিন ইতিমধ্যে চার হাজার ট্রুপ সেনা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম এনে হাজির করেছে ৷ অস্বাভাবিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার জেরে ভারত ও চিনের একাধিক সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন ৷ বেজিংয়ের শীর্ষস্তর থেকে ছাড়পত্র না এলে এই ধরনের পরিকল্পিত অনুপ্রবেশ ঘটা সম্ভব নয় ৷ উহান এবং মহাবলিপুরমের যে ঘরোয়া বৈঠক হয়েছিল, সেখানে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করার বিষয়টি কী হল ? এখন কেন ? অতীতের কিছু ঘটনা পরপর সাজানো হল ৷

বিশ্বজুড়ে চিনকে যেভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা তারা একেবারেই সহ্য করতে পারছে না ৷ তারা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ৷ 1918-20 সালের স্প্যানিশ ফ্লু-এর পর মানবতার জন্য সবচেয়ে মারাত্মক মহামারীর জন্মস্থান হিসেবেই চিনকে ধরে নেওয়া হয়েছে ৷ বিদেশি বিনিয়োগ ও শিল্প ক্রমশ সেখান থেকে সরে যাচ্ছে ৷ UN-এর নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়ে চিন কোরোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে বিপুল ক্ষতি নিয়ে আলোচনা আটকাতে পেরেছে ৷ কিন্তু EU-এর তরফে ওয়ার্লড হেল্থ অ্যাসেম্বলি (মে 18-19)-তে যে খসড়া প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে, তা তাদের নাড়িয়ে দিয়েছে ৷ ওই খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন করেছে আরও 120টি দেশ ৷ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হাতে কোনও বিকল্প ছিল না ৷ তাই তিনি ব্যাপক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে বাধ্য হন ৷ তিনি সেটাই করেছেন, যেটা চিন করতে জানে ৷ সমস্যার উপর টাকা ছুঁড়ে দিয়েছেন ৷ আফ্রিকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ার কাজে সাহায্য করার জন্য দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷

বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায় ৷ অ্যামেরিকার নিজস্ব উচ্চ-প্রযুক্তি গতি পেয়েছে এবং বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতাও শুরু হয়েছে ৷ মানুষের মনোভাব একেবারে চিনের বিরুদ্ধে ৷ চিনের নেতৃত্ব খুব চাপের মধ্যে রয়েছে এবং অ্যামেরিকা কংগ্রেস চিনের কাছ থেকে দুই বা তার বেশি ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ আদায়ে খসড়া প্রস্তাব আনতে চলেছে ৷ গোটা বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী ওয়্যাং ই জানিয়েছেন যে অ্যামেরিকা রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়াচ্ছে ৷ এর মাধ্যমে তারা "চিনকে আক্রমণ ও কোণঠাসা করার সমস্ত সুযোগ ব্যবহার করছে ।"

এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে কোনও দেশই নিজেদের নীরব রাখতে চাইবে এবং চাইবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে থাকতে ৷ চিনের সঙ্গে নয় ৷ তারা দক্ষিণ চিন সাগরে নতুন করে আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে ৷ তাইওয়ানের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ স্থাপন করছে ৷ বিদ্রোহীদের দমন করে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন বন্ধ করতে নতুন নিরাপত্তা আইন এনেছে ৷ মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও 'ঘটনাস্থানের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে' ঘোষণা করেছেন হংকং আর স্বশাসিত থাকবে না৷ তাদের উপর নিষেধাজ্ঞার পথ প্রশস্ত হচ্ছে ৷

এবার এই আকস্মিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে তাকাই ৷ এটা ঘটনা যে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা-নির্দেশ করা নেই ৷ সারা বছরে 400-500 বার অনুপ্রবেশ ঘটে ৷ কিন্তু তা দ্রুত সমাধানও হয়ে যায় ৷ কিন্তু পরের দিকে তারা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করতেই চাইছে ৷ শেষবার 2017 সালে ডোকলামে যা হয়েছিল ৷ 72 দিন লেগেছিল পরিস্থিতি শান্ত হতে ৷ তবে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল সময়, মাত্রা, সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং অনুপ্রেরণা ৷ এই মুহূর্তে চারটি জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে ৷ তিনটি হয়ে আছে গালওয়ান উপত্যকায় ৷ আর চতুর্থটি লাদাখের প্যাংগং শো (অথবা হ্রদ)-তে ৷

ভারতের উপর সামরিক আগ্রাসনের জন্য চিনের কাছে একাধিক কারণ রয়েছে ৷ প্রথমত, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোরোনা সংকটের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভাবমূর্তি এখনও শক্তিশালী রয়েছে বলে জাহির করতে চাইছেন ৷ দ্বিতীয়ত, বেজিং চিন-কেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ৷ সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারত ৷ তৃতীয়ত, চিন দেখে নিয়েছে যে ভারত এখন কোরোনা সংকট মোকাবিলা করতে ব্যস্ত ৷ চতুর্থত, তারা দেখাতে চাইছে যে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার পরও তারা একই জায়গায় রয়েছে ৷ পঞ্চমত, তারা বোঝাতে চাইছে যে চিনের বিপরীত অবস্থান নিলে ফল কী হতে পারে ৷ ষষ্ঠত, চিন শুধু ভারতের ক্ষমতা পরখ করে দেখতে চায় না ৷ আন্তর্জাতিক শক্তি কী করে, সেটাও দেখতে চায় ৷

এর কারণেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই ধরনের একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন ৷ চিনের সংবাদমাধ্যম সরকারি তরফকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, ভারত আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে ৷ 26 মে PLA (পিপল’স লিবারেশন আর্মি)-র প্লেনারিতে কোনও দেশের নাম না করেই শি জিনপিং 'যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার' নির্দেশ দেন ৷ এসব করে তারা তাদের অবস্থান আরও সংকীর্ণ করে তুলছে ৷ সৌভাগ্যজনকভাবে দ্বিপাক্ষিক সেনাবাহিনী, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক আলোচনার পদ্ধতি দুই পক্ষের কাছে রয়েছে ৷ আর তা ইতিমধ্যেই কার্যকর করে তোলা হয়েছে ৷ আশা করা হচ্ছে যে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলা যাবে ৷ তবে এই সত্যিটা লুকানোর কোনও জায়গা নেই যে ভারত অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ৷

বিষ্ণু প্রকাশ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত

ভারত ও চিনের LAC (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা) বরাবর সীমান্ত উত্তেজনা চতুর্থ সপ্তাহে পড়ল ৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চিন ইতিমধ্যে চার হাজার ট্রুপ সেনা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম এনে হাজির করেছে ৷ অস্বাভাবিকভাবে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার জেরে ভারত ও চিনের একাধিক সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন ৷ বেজিংয়ের শীর্ষস্তর থেকে ছাড়পত্র না এলে এই ধরনের পরিকল্পিত অনুপ্রবেশ ঘটা সম্ভব নয় ৷ উহান এবং মহাবলিপুরমের যে ঘরোয়া বৈঠক হয়েছিল, সেখানে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করার বিষয়টি কী হল ? এখন কেন ? অতীতের কিছু ঘটনা পরপর সাজানো হল ৷

বিশ্বজুড়ে চিনকে যেভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা তারা একেবারেই সহ্য করতে পারছে না ৷ তারা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় দাঁড়িয়ে ৷ 1918-20 সালের স্প্যানিশ ফ্লু-এর পর মানবতার জন্য সবচেয়ে মারাত্মক মহামারীর জন্মস্থান হিসেবেই চিনকে ধরে নেওয়া হয়েছে ৷ বিদেশি বিনিয়োগ ও শিল্প ক্রমশ সেখান থেকে সরে যাচ্ছে ৷ UN-এর নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়ে চিন কোরোনা ভাইরাস মহামারীর জেরে বিপুল ক্ষতি নিয়ে আলোচনা আটকাতে পেরেছে ৷ কিন্তু EU-এর তরফে ওয়ার্লড হেল্থ অ্যাসেম্বলি (মে 18-19)-তে যে খসড়া প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে, তা তাদের নাড়িয়ে দিয়েছে ৷ ওই খসড়া প্রস্তাবে সমর্থন করেছে আরও 120টি দেশ ৷ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের হাতে কোনও বিকল্প ছিল না ৷ তাই তিনি ব্যাপক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে বাধ্য হন ৷ তিনি সেটাই করেছেন, যেটা চিন করতে জানে ৷ সমস্যার উপর টাকা ছুঁড়ে দিয়েছেন ৷ আফ্রিকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ার কাজে সাহায্য করার জন্য দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৷

বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায় ৷ অ্যামেরিকার নিজস্ব উচ্চ-প্রযুক্তি গতি পেয়েছে এবং বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতাও শুরু হয়েছে ৷ মানুষের মনোভাব একেবারে চিনের বিরুদ্ধে ৷ চিনের নেতৃত্ব খুব চাপের মধ্যে রয়েছে এবং অ্যামেরিকা কংগ্রেস চিনের কাছ থেকে দুই বা তার বেশি ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ আদায়ে খসড়া প্রস্তাব আনতে চলেছে ৷ গোটা বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী ওয়্যাং ই জানিয়েছেন যে অ্যামেরিকা রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়াচ্ছে ৷ এর মাধ্যমে তারা "চিনকে আক্রমণ ও কোণঠাসা করার সমস্ত সুযোগ ব্যবহার করছে ।"

এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে কোনও দেশই নিজেদের নীরব রাখতে চাইবে এবং চাইবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে থাকতে ৷ চিনের সঙ্গে নয় ৷ তারা দক্ষিণ চিন সাগরে নতুন করে আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে ৷ তাইওয়ানের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ স্থাপন করছে ৷ বিদ্রোহীদের দমন করে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন বন্ধ করতে নতুন নিরাপত্তা আইন এনেছে ৷ মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও 'ঘটনাস্থানের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে' ঘোষণা করেছেন হংকং আর স্বশাসিত থাকবে না৷ তাদের উপর নিষেধাজ্ঞার পথ প্রশস্ত হচ্ছে ৷

এবার এই আকস্মিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে তাকাই ৷ এটা ঘটনা যে, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা-নির্দেশ করা নেই ৷ সারা বছরে 400-500 বার অনুপ্রবেশ ঘটে ৷ কিন্তু তা দ্রুত সমাধানও হয়ে যায় ৷ কিন্তু পরের দিকে তারা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করতেই চাইছে ৷ শেষবার 2017 সালে ডোকলামে যা হয়েছিল ৷ 72 দিন লেগেছিল পরিস্থিতি শান্ত হতে ৷ তবে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল সময়, মাত্রা, সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং অনুপ্রেরণা ৷ এই মুহূর্তে চারটি জায়গায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে ৷ তিনটি হয়ে আছে গালওয়ান উপত্যকায় ৷ আর চতুর্থটি লাদাখের প্যাংগং শো (অথবা হ্রদ)-তে ৷

ভারতের উপর সামরিক আগ্রাসনের জন্য চিনের কাছে একাধিক কারণ রয়েছে ৷ প্রথমত, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোরোনা সংকটের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভাবমূর্তি এখনও শক্তিশালী রয়েছে বলে জাহির করতে চাইছেন ৷ দ্বিতীয়ত, বেজিং চিন-কেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ৷ সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারত ৷ তৃতীয়ত, চিন দেখে নিয়েছে যে ভারত এখন কোরোনা সংকট মোকাবিলা করতে ব্যস্ত ৷ চতুর্থত, তারা দেখাতে চাইছে যে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার পরও তারা একই জায়গায় রয়েছে ৷ পঞ্চমত, তারা বোঝাতে চাইছে যে চিনের বিপরীত অবস্থান নিলে ফল কী হতে পারে ৷ ষষ্ঠত, চিন শুধু ভারতের ক্ষমতা পরখ করে দেখতে চায় না ৷ আন্তর্জাতিক শক্তি কী করে, সেটাও দেখতে চায় ৷

এর কারণেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই ধরনের একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন ৷ চিনের সংবাদমাধ্যম সরকারি তরফকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, ভারত আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে ৷ 26 মে PLA (পিপল’স লিবারেশন আর্মি)-র প্লেনারিতে কোনও দেশের নাম না করেই শি জিনপিং 'যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার' নির্দেশ দেন ৷ এসব করে তারা তাদের অবস্থান আরও সংকীর্ণ করে তুলছে ৷ সৌভাগ্যজনকভাবে দ্বিপাক্ষিক সেনাবাহিনী, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক আলোচনার পদ্ধতি দুই পক্ষের কাছে রয়েছে ৷ আর তা ইতিমধ্যেই কার্যকর করে তোলা হয়েছে ৷ আশা করা হচ্ছে যে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলা যাবে ৷ তবে এই সত্যিটা লুকানোর কোনও জায়গা নেই যে ভারত অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ৷

বিষ্ণু প্রকাশ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.