ETV Bharat / bharat

দলিত মহিলাদের নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত কেন এত দীর্ঘ, উঠছে প্রশ্ন - India rape case

বিভিন্ন সমাজকর্মীরা দাবি, এই ধরনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হয় । সেক্ষেত্রে উপর মহলের চাপের কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা । এমনকী আদালতেও এই মামলাগুলো ঝুলে থাকে।

Rape
Rape
author img

By

Published : Oct 4, 2020, 7:48 PM IST

দিল্লি, 4 অক্টোবর : দলিতদের উপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিচার পেতে এত দেরি হয় কেন ? কেনই বা তাঁদের ওপর হওয়া নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিচারের রাস্তা এতটা কঠিন ? বিগত কয়েক বছরের ঘটনায় এমনই নানা প্রশ্ন উঠছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না । অনেক ক্ষেত্রে আবার চাপ দেওয়া হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য । এবিষয়ে বিভিন্ন সমাজকর্মী ও দলিতদের উন্নয়নে কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন মত দিচ্ছেন । কারও মতে উপর মহলের চাপের ফলে অসুবিধায় পড়ছেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা । আবার কারও মতে পুলিশ অভিযোগ নিতে চাইছেন না ।

জানুয়ারিতে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ভয়ংকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । এক 14 বছরের নাবালিকাকে প্রায় 1 বছর ধরে ধর্ষণ করে বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি । যার ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে । কিন্তু, সেক্ষেত্রে তাকে সেভাবে নিরাপত্তাও দেওয়া হয়নি । দলিত সম্প্রদায়ের স্বাভিমান সোসাইটি নামে এক সংগঠনের সদস্য মনীষা মাশাল বলেন, "গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে আর সেই গ্রামে রাখা যায়নি । গ্রামে থাকাটা তার কাছে খুব একটা সুরক্ষিত নয় ।" পাশাপাশি তাঁর দাবি, "নির্যাতিতাকে হাসপাতালের একটি ছোট্ট ঘরে রাখা হয়। ঘরটির আকার একটি বাথরুমের থেকেও ছোটো । এমনকী তাঁকে কোনও নিরাপত্তাও দেওয়া হয়নি ।" এই ঘটনার এখনও কোনও বিচার হয়নি । বর্তমানে ঘটনাটি আদালতে বিচারাধীন ।

বিগত প্রায় 15 বছর ধরে দলিত মহিলাদের হয়ে লড়ছেন মাশাল । প্রায় 300টির উপর কেস দেখেছেন তিনি । তাঁর দাবি, এর মধ্যে মাত্র 10 মামলার মীমাংসা হয়েছে ।

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে । উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি । যোগী সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো । এরই মাঝে প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিয়ো । সেখানে এক আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, "সংবাদমাধ্যম দুদিন থেকে চলে যাবে । আমরাই কিন্তু কাছে থাকব সব সময় ।" এরপরেই সরব হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে নেটিজ়েনরা । ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা ।

সমাজকর্মী রিয়া সিং এ বিষয়ে বলেন, NCRB-র রিপোর্ট অনুযায়ী 2019 সালে 3 হাজার 336টি ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বিভিন্ন ভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয় । কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্যাতিতার পরিবার বিচার ব্যবস্থায় কোনও না কোনও ভাবে বাধা পাচ্ছেন । এবিষয়ে বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছেন সমাজকর্মীরা । মনীষা মাশাল এ বিষয়ের জন্য ' খাপ পঞ্চায়েত 'কে দায়ি করছেন । তাঁর মতে, " খাপ পঞ্চায়েতগুলো এক্ষেত্রে স্থানীয় সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা গ্রহণ করে । যখন কেউ থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে চান ঠিক সেই সময় থানাতে অনেকেই পৌঁছে যান । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের কম্প্রোমাইজ় করে নেওয়ার কথা বলা হয় ।" এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি 2012 সালের একটি ঘটনার বিবরণ করেন । 15 বছরের এক নাবালিকাকে 12 জন মিলে ধর্ষণ করে । পুরো ঘটনার ভিডিয়ো তাঁর বাবাকে দেখানো হয় । এরপরেই আত্মহত্যা করেন ওই নাবালিকার বাবা। কিন্তু, অভিযুক্তরা এখনও শাস্তি পায়নি ।

এছাড়াও বিভিন্ন সমাজকর্মীরা দাবি, এই ধরনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হয় । সেক্ষেত্রে উপর মহলের চাপের কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা । এমনকী আদালতেও এই মামলাগুলো ঝুলে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মামলাগুলোর নিষ্পত্তিতে অনেকটাই সময় লাগে । যার ফলে ভুক্তভোগী হয় নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ।

দিল্লি, 4 অক্টোবর : দলিতদের উপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিচার পেতে এত দেরি হয় কেন ? কেনই বা তাঁদের ওপর হওয়া নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিচারের রাস্তা এতটা কঠিন ? বিগত কয়েক বছরের ঘটনায় এমনই নানা প্রশ্ন উঠছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না । অনেক ক্ষেত্রে আবার চাপ দেওয়া হচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য । এবিষয়ে বিভিন্ন সমাজকর্মী ও দলিতদের উন্নয়নে কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন মত দিচ্ছেন । কারও মতে উপর মহলের চাপের ফলে অসুবিধায় পড়ছেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা । আবার কারও মতে পুলিশ অভিযোগ নিতে চাইছেন না ।

জানুয়ারিতে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ভয়ংকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । এক 14 বছরের নাবালিকাকে প্রায় 1 বছর ধরে ধর্ষণ করে বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি । যার ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে । কিন্তু, সেক্ষেত্রে তাকে সেভাবে নিরাপত্তাও দেওয়া হয়নি । দলিত সম্প্রদায়ের স্বাভিমান সোসাইটি নামে এক সংগঠনের সদস্য মনীষা মাশাল বলেন, "গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে আর সেই গ্রামে রাখা যায়নি । গ্রামে থাকাটা তার কাছে খুব একটা সুরক্ষিত নয় ।" পাশাপাশি তাঁর দাবি, "নির্যাতিতাকে হাসপাতালের একটি ছোট্ট ঘরে রাখা হয়। ঘরটির আকার একটি বাথরুমের থেকেও ছোটো । এমনকী তাঁকে কোনও নিরাপত্তাও দেওয়া হয়নি ।" এই ঘটনার এখনও কোনও বিচার হয়নি । বর্তমানে ঘটনাটি আদালতে বিচারাধীন ।

বিগত প্রায় 15 বছর ধরে দলিত মহিলাদের হয়ে লড়ছেন মাশাল । প্রায় 300টির উপর কেস দেখেছেন তিনি । তাঁর দাবি, এর মধ্যে মাত্র 10 মামলার মীমাংসা হয়েছে ।

বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে । উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি । যোগী সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো । এরই মাঝে প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিয়ো । সেখানে এক আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, "সংবাদমাধ্যম দুদিন থেকে চলে যাবে । আমরাই কিন্তু কাছে থাকব সব সময় ।" এরপরেই সরব হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে নেটিজ়েনরা । ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা ।

সমাজকর্মী রিয়া সিং এ বিষয়ে বলেন, NCRB-র রিপোর্ট অনুযায়ী 2019 সালে 3 হাজার 336টি ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বিভিন্ন ভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয় । কিন্তু, প্রতিটি ক্ষেত্রেই নির্যাতিতার পরিবার বিচার ব্যবস্থায় কোনও না কোনও ভাবে বাধা পাচ্ছেন । এবিষয়ে বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছেন সমাজকর্মীরা । মনীষা মাশাল এ বিষয়ের জন্য ' খাপ পঞ্চায়েত 'কে দায়ি করছেন । তাঁর মতে, " খাপ পঞ্চায়েতগুলো এক্ষেত্রে স্থানীয় সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা গ্রহণ করে । যখন কেউ থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে চান ঠিক সেই সময় থানাতে অনেকেই পৌঁছে যান । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের কম্প্রোমাইজ় করে নেওয়ার কথা বলা হয় ।" এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি 2012 সালের একটি ঘটনার বিবরণ করেন । 15 বছরের এক নাবালিকাকে 12 জন মিলে ধর্ষণ করে । পুরো ঘটনার ভিডিয়ো তাঁর বাবাকে দেখানো হয় । এরপরেই আত্মহত্যা করেন ওই নাবালিকার বাবা। কিন্তু, অভিযুক্তরা এখনও শাস্তি পায়নি ।

এছাড়াও বিভিন্ন সমাজকর্মীরা দাবি, এই ধরনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হয় । সেক্ষেত্রে উপর মহলের চাপের কথাও উল্লেখ করেন তাঁরা । এমনকী আদালতেও এই মামলাগুলো ঝুলে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মামলাগুলোর নিষ্পত্তিতে অনেকটাই সময় লাগে । যার ফলে ভুক্তভোগী হয় নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.