দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি : দু'মাসের বেশি সময় ধরে CAA ও NRC বিরোধী আন্দোলন চলছে শাহিনবাগে । কিন্তু, বারবারই প্রতিবাদাকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় সেই মর্মে আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনের শুনানি রয়েছে আজ।
ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজ়াদ, প্রাক্তন আমলা ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ এবং বাহাদুর আব্বাস নকভি গতকাল শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে শীর্ষ আদালতের মধ্যস্থতার আবেদন করেছিলেন । আবেদনপত্রে ২৪ তারিখে হিংসার ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, শাসকদল নিজেদের ক্যাডারদের ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
শুধু তাই নয়, আবেদনপত্রে BJP নেতা কপিল মিশ্রর কথাও তুলে ধরা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি জাফরাবাদের প্রতিবাদস্থল থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে মৌজপুর-বাবরপুর মেট্রো স্টেশনের কাছে CAA-র সমর্থনে মিছিল বের হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হিংসা ও ভাঙচুরে কপিল মিশ্র প্ররোচিত করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় একাধিকজন জখম হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু, তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শাহিনবাগ আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত । আজ বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল-এর বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে ।
আরও পড়ুন : শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের
এদিকে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের সরানোর জন্য কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন জনৈক নন্দ কিশোর গর্গ ও অমিত সাহনি । আইনজীবী শশাঙ্ক দেও সুধী-র মাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন নন্দ কিশোর ও অমিত । আবেদনে তাঁরা জানান, সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে শাহিনবাগ থেকে অবস্থান যাতে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । এই আবেদনের ভিত্তিতে গত সপ্তাহেই প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রন ও প্রাক্তন আমলা ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাকে শাহিনবাগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট । আন্দোলকারীদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজে তাঁদের মধ্যস্থতা করতে বলে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানিও হবে আজ ।
গতকাল CAA-র বিরোধিতায় বিক্ষোভ ঘিরে রাজধানীর বুকে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে, ১৩ জনের মৃত্যু হয় । জখম হন ২০০ জন। এখনও অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক এলাকা।