ETV Bharat / bharat

সবজির দাম বাড়ছে ! - Soaring vegetable prices in India

পরিবহণের সুবিধা না থাকা এবং কোরোনার ভয়ে শ্রমিকদের না আসায় সবজি সরবরাহে সমস্যা দেখা দিচ্ছে ৷ যার ফলে সবজির দাম বাড়ছে ৷ দৈনন্দিন প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় গ্রাহকরা চড়া দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির উচিত দেশের বিভিন্ন অংশের ফসল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলি থেকে তথ্য নেওয়া এবং ফসল উৎপাদনের জন্য একটা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা ।

Soaring vgetable price
Soaring vgetable price
author img

By

Published : Sep 20, 2020, 3:40 PM IST

সবজির দাম , যা গ্রীষ্মে সূর্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ক্রমশ বাড়তে থাকে , সাধারণভাবে বর্ষায় তা কমে যায় । তবে কোভিড সংকটের সময় যথেষ্ট বৃষ্টি সত্ত্বেও সবজির দাম দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে । গত পনেরো দিনে উত্তর ভারতজুড়ে ফুলকপি , কড়াইশুঁটি , টমেটো , আলু ও পেঁয়াজের দাম রকেটের গতিতে উপরে উঠেছে । পুনে থেকে কলকাতা , দিল্লি থেকে চেন্নাই সর্বত্র সরবরাহে সমস্যার কারণে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ।

তেলেগুভাষী রাজ্যগুলিতে সাধারণ গ্রাহক উদ্বিগ্ন ৷ কারণ এক কিলো বিনসের দাম প্রায় 80 টাকা এবং কড়াইশুঁটি 70 টাকা । প্রচুর বৃষ্টির কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন সবজি , যেমন ঝিঙে, শসা, করলা ইত্যাদির চাষে ধাক্কা খেয়েছে এবং কম সরবরাহের কারণে সাধারণ মানুষ খুবই বিড়ম্বনায় পড়েছেন । বিভিন্ন কারণে সবজি চাষের এলাকা কমে গেছে এবং হায়দরাবাদ শহর , যা অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীল, পরিবহণ ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে জোরালো ধাক্কা খেয়েছে । অন্যদিকে , কর্নাটকের মতো রাজ্যে অতিরিক্ত উৎপাদন এবং চাহিদার অভাবের কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদন ফেলে দিচ্ছেন বা বিলিয়ে দিচ্ছেন । এই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে গুজরাতের বাদামচাষি , হিমাচলের টমেটো উৎপাদক , পঞ্জাব ও হরিয়ানার আলুচাষি এবং তেলেগু রাজ্যের পেঁয়াজ ও শসা উৎপাদকদেরও । এখনও পরিবহণের সুবিধা না থাকা এবং কোরোনার ভয়ে শ্রমিকদের না আসায় বিভিন্ন অংশের কৃষকরা এই ভেবে শোক করছেন যে , তাঁদের পুরো পরিশ্রম নষ্ট হল । আর দৈনন্দিন প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় গ্রাহকরা চড়া দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন ।

কিছুদিন আগেও ছ’কিলো পেঁয়াজ একশো টাকায় বিক্রি হয়েছে ৷ কিন্তু এখন তা প্রতি কেজি 80 টাকা । কেন্দ্র সম্প্রতি দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে । রিপোর্ট বলছে যে , ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকার 50 হাজার টন বাফার স্টক তৈরির কথা ভাবছে । শুধু পেঁয়াজই নয় , প্রতিটা সবজি যাতে সারাবছর ধরে সঠিক দামে মেলে , তার জন্য দ্রুত একটা শক্তিশালী অ্যাকশন প্ল্যানের প্রয়োজন রয়েছে । হিসেব অনুযায়ী, দেশের 18 শতাংশ সবজি ও ফল নষ্ট হয়ে যায় যথাযথ সংরক্ষণের সুবিধা না থাকার ফলে । পচনশীল উৎপাদন সংরক্ষণ করতে নির্দিষ্ট জায়গায় কোল্ড স্টোরেজ না থাকার ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় 92 হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় । যদিও নেতারা বলে থাকেন যে , দেশজুড়ে তিন কোটি টনেরও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা রয়েছে ৷ তা 75-80 শতাংশই আলু রাখার জন্য । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে , অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপ করার প্রয়োজন । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির উচিত দেশের বিভিন্ন অংশের ফসল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলি থেকে তথ্য নেওয়া এবং ফসল উৎপাদনের জন্য একটা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা । দেশের জন্য পর্যাপ্ত মজুত রেখে বাকিটা চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি করা উচিত । দেখা উচিত যাতে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উৎপাদন বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা নেয় । পুনরুজ্জীবিত কৃষিভিত্তিক ভারতের লক্ষ্যে এটাই প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত ৷

সবজির দাম , যা গ্রীষ্মে সূর্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ক্রমশ বাড়তে থাকে , সাধারণভাবে বর্ষায় তা কমে যায় । তবে কোভিড সংকটের সময় যথেষ্ট বৃষ্টি সত্ত্বেও সবজির দাম দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে । গত পনেরো দিনে উত্তর ভারতজুড়ে ফুলকপি , কড়াইশুঁটি , টমেটো , আলু ও পেঁয়াজের দাম রকেটের গতিতে উপরে উঠেছে । পুনে থেকে কলকাতা , দিল্লি থেকে চেন্নাই সর্বত্র সরবরাহে সমস্যার কারণে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ।

তেলেগুভাষী রাজ্যগুলিতে সাধারণ গ্রাহক উদ্বিগ্ন ৷ কারণ এক কিলো বিনসের দাম প্রায় 80 টাকা এবং কড়াইশুঁটি 70 টাকা । প্রচুর বৃষ্টির কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন সবজি , যেমন ঝিঙে, শসা, করলা ইত্যাদির চাষে ধাক্কা খেয়েছে এবং কম সরবরাহের কারণে সাধারণ মানুষ খুবই বিড়ম্বনায় পড়েছেন । বিভিন্ন কারণে সবজি চাষের এলাকা কমে গেছে এবং হায়দরাবাদ শহর , যা অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীল, পরিবহণ ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে জোরালো ধাক্কা খেয়েছে । অন্যদিকে , কর্নাটকের মতো রাজ্যে অতিরিক্ত উৎপাদন এবং চাহিদার অভাবের কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদন ফেলে দিচ্ছেন বা বিলিয়ে দিচ্ছেন । এই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে গুজরাতের বাদামচাষি , হিমাচলের টমেটো উৎপাদক , পঞ্জাব ও হরিয়ানার আলুচাষি এবং তেলেগু রাজ্যের পেঁয়াজ ও শসা উৎপাদকদেরও । এখনও পরিবহণের সুবিধা না থাকা এবং কোরোনার ভয়ে শ্রমিকদের না আসায় বিভিন্ন অংশের কৃষকরা এই ভেবে শোক করছেন যে , তাঁদের পুরো পরিশ্রম নষ্ট হল । আর দৈনন্দিন প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় গ্রাহকরা চড়া দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন ।

কিছুদিন আগেও ছ’কিলো পেঁয়াজ একশো টাকায় বিক্রি হয়েছে ৷ কিন্তু এখন তা প্রতি কেজি 80 টাকা । কেন্দ্র সম্প্রতি দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে । রিপোর্ট বলছে যে , ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকার 50 হাজার টন বাফার স্টক তৈরির কথা ভাবছে । শুধু পেঁয়াজই নয় , প্রতিটা সবজি যাতে সারাবছর ধরে সঠিক দামে মেলে , তার জন্য দ্রুত একটা শক্তিশালী অ্যাকশন প্ল্যানের প্রয়োজন রয়েছে । হিসেব অনুযায়ী, দেশের 18 শতাংশ সবজি ও ফল নষ্ট হয়ে যায় যথাযথ সংরক্ষণের সুবিধা না থাকার ফলে । পচনশীল উৎপাদন সংরক্ষণ করতে নির্দিষ্ট জায়গায় কোল্ড স্টোরেজ না থাকার ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় 92 হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয় । যদিও নেতারা বলে থাকেন যে , দেশজুড়ে তিন কোটি টনেরও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজের সুবিধা রয়েছে ৷ তা 75-80 শতাংশই আলু রাখার জন্য । এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে , অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপ করার প্রয়োজন । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির উচিত দেশের বিভিন্ন অংশের ফসল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলি থেকে তথ্য নেওয়া এবং ফসল উৎপাদনের জন্য একটা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা । দেশের জন্য পর্যাপ্ত মজুত রেখে বাকিটা চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি করা উচিত । দেখা উচিত যাতে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উৎপাদন বাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা নেয় । পুনরুজ্জীবিত কৃষিভিত্তিক ভারতের লক্ষ্যে এটাই প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.