ETV Bharat / bharat

মহারাষ্ট্রের কোন্দল সুপ্রিম কোর্টের দরজায়, অস্তিত্ব সংকটে সেনা-জোট - maharastra government formation

নাটক অব্যাহত। একদিকে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা, NCP ও কংগ্রেস । অন্যদিকে NCP নেতা অজিত পাওয়ারকে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শরদ পাওয়ার । তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে শরদ ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত পাটিলকে ।

ছবি
author img

By

Published : Nov 23, 2019, 9:37 PM IST

Updated : Nov 24, 2019, 6:57 AM IST

মুম্বই ও দিল্লি, 23 নভেম্বর : নাটক শুরু হয়েছিল শুক্রবার মাঝরাতেই । দিন যত এগিয়েছে নাটক ততই জমে উঠতে শুরু করেছে । আর এবার 'মহারাষ্ট্র কোন্দল' সুপ্রিম কোর্টের দরজায় । যেভাবে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং NCP -র 'চোখে ধুলো' দিয়ে সরকার গড়েছে BJP , তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা, NCP ও কংগ্রেস । একদিকে তাঁরা ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়ে আদালতের দরজার কড়া নাড়ছে, অন্যদিকে 'বিশ্বাসঘাতক'-এর তকমা দিয়ে NCP নেতা অজিত পাওয়ারকে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শরদ পাওয়ার । তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে শরদ ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত পাটিলকে ।

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের এক নাটকের যবনিকা পতন হয়েছিল গতকাল মাঝরাতে । আর তারপরেই শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় নাটক । শরদ পাওয়ারদের সিদ্ধান্তকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোররাতে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের পর যেভাবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসলেন, তাকে গণতন্ত্রের 'সর্বনাশ' হিসেবে দেখছেন বিরোধীরা ।

image
নতুন নাটকের সূচনা । রাজ্যপালের সঙ্গে শপথ নেওয়ার পর ফড়নবিস ও অজিত পাওয়ার

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক বাতাবরণ আজ ভোর থেকেই উত্তপ্ত । যেভাবে BJP সরকার গড়েছে, তাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের অভিযোগ, "মানুষকে ঠকিয়ে BJP সরকার গড়েছে । এই সরকার বেআইনি । 23 নভেম্বর মহরাষ্ট্রের কালো দিন ।" জোটবার্তা বজায় রাখতে এক কদম এগিয়ে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেছে দল । সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে । কিন্তু যে সমীকরণে BJP সরকার গড়ল, তাতে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার কথা শিবসেনার । কারণ NCP -সূত্রে খবর তাদের কয়েকজন নেতা না কি অজিত পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছেন । শিবসেনার কিছু বিধায়কও গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন বলে খবর । জনা 15 নির্দল বিধায়ককে পাশে পেয়েছেন ফড়নবিস । পরিস্থিতি যা তাতে 145-র ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছেন ফড়নবিস, দাবি এমনটাই । তিরিশ নভেম্বরের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে সংখ্যা গরিষ্ঠতার ।

যদিও ক্ষমতা হাতছাড়ার মতো পরিস্থিতি হলেও শেষ দেখে ছাড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শিবসেনা নেতৃত্ব । প্রায় 20 বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল শিবসেনা । কিন্তু আপাতত স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে । বাবাকে দেওয়া কথা না রাখতে পারার বেদনা এখন উদ্ধব ঠাকরের বুকে । সেই সঙ্গে মারাঠা রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে এসেছে শিবসেনা । যদি মহারাষ্ট্রের কুর্সি হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে অনেককিছুই হারাতে হতে পারে প্রথমবার ভোটে জেতা ঠাকরে পরিবারের তরুণ সদস্য আদিত্যকে ।

image
মহারাষ্ট্রের মহাহিসেব

শিবসেনা যেখানে অনেকটা অস্তিত্বের সংকটে, সেখানে শরদ পাওয়ারের অবস্থাও কিন্তু অনেকটা কোণঠাসা । দিল্লি রাজনীতির অলিন্দে একটি খবর বেশ কিছুদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছিল । তা হল শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হতে পারে । কিন্তু যেভাবে দলের প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারকে তোয়াক্কা না করে NCP-র 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড' অজিত পাওয়ার গেরুয়া শিবিরে হাত মিলিয়েছেন, তাতে দলের বিভাজন স্পষ্ট । এই পরিস্থিতিতে মরণ কামড় দিতে মরিয়া শরদ পাওয়ারও ।

গতকাল রাত থেকে পরিস্থিতি যে নাটকীয় মোড় নিয়েছে তার পেছনে BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর মস্তিষ্ক রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে । একসময় কংগ্রেস বিপদে পড়লে ত্রাতা হিসেবে 'চাণক্যে'র ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে । আর এখন BJP শিবিরের কোনও সমস্যায় চাণক্যের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অমিত শাহকে । কর্নাটকের পর মহারাষ্ট্রেও শাহর মস্তিষ্ক যে কাজ করছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের । আপাতত মহারাষ্ট্র তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে । রবিবার সাড়ে 11টা নাগাদ শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে । শিবসেনার অভিযোগের পর সুপ্রিম কোর্ট যদি কোনও পদক্ষেপ করে, তাহলে ফের একবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন মোড় আসতে পারে ।

মুম্বই ও দিল্লি, 23 নভেম্বর : নাটক শুরু হয়েছিল শুক্রবার মাঝরাতেই । দিন যত এগিয়েছে নাটক ততই জমে উঠতে শুরু করেছে । আর এবার 'মহারাষ্ট্র কোন্দল' সুপ্রিম কোর্টের দরজায় । যেভাবে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং NCP -র 'চোখে ধুলো' দিয়ে সরকার গড়েছে BJP , তার বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা, NCP ও কংগ্রেস । একদিকে তাঁরা ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়ে আদালতের দরজার কড়া নাড়ছে, অন্যদিকে 'বিশ্বাসঘাতক'-এর তকমা দিয়ে NCP নেতা অজিত পাওয়ারকে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শরদ পাওয়ার । তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে শরদ ঘনিষ্ঠ জয়ন্ত পাটিলকে ।

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের এক নাটকের যবনিকা পতন হয়েছিল গতকাল মাঝরাতে । আর তারপরেই শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় নাটক । শরদ পাওয়ারদের সিদ্ধান্তকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোররাতে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের পর যেভাবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসলেন, তাকে গণতন্ত্রের 'সর্বনাশ' হিসেবে দেখছেন বিরোধীরা ।

image
নতুন নাটকের সূচনা । রাজ্যপালের সঙ্গে শপথ নেওয়ার পর ফড়নবিস ও অজিত পাওয়ার

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক বাতাবরণ আজ ভোর থেকেই উত্তপ্ত । যেভাবে BJP সরকার গড়েছে, তাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের অভিযোগ, "মানুষকে ঠকিয়ে BJP সরকার গড়েছে । এই সরকার বেআইনি । 23 নভেম্বর মহরাষ্ট্রের কালো দিন ।" জোটবার্তা বজায় রাখতে এক কদম এগিয়ে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেছে দল । সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে । কিন্তু যে সমীকরণে BJP সরকার গড়ল, তাতে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার কথা শিবসেনার । কারণ NCP -সূত্রে খবর তাদের কয়েকজন নেতা না কি অজিত পাওয়ারের সঙ্গে রয়েছেন । শিবসেনার কিছু বিধায়কও গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন বলে খবর । জনা 15 নির্দল বিধায়ককে পাশে পেয়েছেন ফড়নবিস । পরিস্থিতি যা তাতে 145-র ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছেন ফড়নবিস, দাবি এমনটাই । তিরিশ নভেম্বরের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে সংখ্যা গরিষ্ঠতার ।

যদিও ক্ষমতা হাতছাড়ার মতো পরিস্থিতি হলেও শেষ দেখে ছাড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শিবসেনা নেতৃত্ব । প্রায় 20 বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল শিবসেনা । কিন্তু আপাতত স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে । বাবাকে দেওয়া কথা না রাখতে পারার বেদনা এখন উদ্ধব ঠাকরের বুকে । সেই সঙ্গে মারাঠা রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে । ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে এসেছে শিবসেনা । যদি মহারাষ্ট্রের কুর্সি হাতছাড়া হয়ে যায়, তাহলে অনেককিছুই হারাতে হতে পারে প্রথমবার ভোটে জেতা ঠাকরে পরিবারের তরুণ সদস্য আদিত্যকে ।

image
মহারাষ্ট্রের মহাহিসেব

শিবসেনা যেখানে অনেকটা অস্তিত্বের সংকটে, সেখানে শরদ পাওয়ারের অবস্থাও কিন্তু অনেকটা কোণঠাসা । দিল্লি রাজনীতির অলিন্দে একটি খবর বেশ কিছুদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছিল । তা হল শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হতে পারে । কিন্তু যেভাবে দলের প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারকে তোয়াক্কা না করে NCP-র 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড' অজিত পাওয়ার গেরুয়া শিবিরে হাত মিলিয়েছেন, তাতে দলের বিভাজন স্পষ্ট । এই পরিস্থিতিতে মরণ কামড় দিতে মরিয়া শরদ পাওয়ারও ।

গতকাল রাত থেকে পরিস্থিতি যে নাটকীয় মোড় নিয়েছে তার পেছনে BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর মস্তিষ্ক রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে । একসময় কংগ্রেস বিপদে পড়লে ত্রাতা হিসেবে 'চাণক্যে'র ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে । আর এখন BJP শিবিরের কোনও সমস্যায় চাণক্যের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অমিত শাহকে । কর্নাটকের পর মহারাষ্ট্রেও শাহর মস্তিষ্ক যে কাজ করছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের । আপাতত মহারাষ্ট্র তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে । রবিবার সাড়ে 11টা নাগাদ শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে । শিবসেনার অভিযোগের পর সুপ্রিম কোর্ট যদি কোনও পদক্ষেপ করে, তাহলে ফের একবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন মোড় আসতে পারে ।

Mumbai, Nov 23 (ANI): A joint press conference held by NCP-Shiv Sena after Devendra Fadnavis took oath as Maharashtra Chief Minister and NCP's Ajit Pawar took oath as Deputy CM on November 23. Speaking at press conference NCP Chief Sharad Pawar said, "Congress, Shiv Sena and NCP leaders came together to form Government. We had the numbers. We had our official numbers- 44, 56 and 54 MLAs with us who had supported the govt. Several independent were also with us and we had numbers around 170. Ajit Pawar's decision is against the party line and is indiscipline. No NCP leader or worker is in favour of an NCP-BJP government".
Last Updated : Nov 24, 2019, 6:57 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.