বেঙ্গালুরু, 25 জুলাই : মাঝরাতে কম্পিউটারে গেম খেলছিলেন ব্যক্তি ৷ কম্পিউটারের আওয়াজ কমাতে বলেছিল 15 বছর বয়সি মেয়ে ৷ কিন্তু, মত্ত ব্যক্তি ছুরি নিয়ে মেয়ের উপর চড়াও হয় ৷ নিজেকে বাঁচাতে বাবাকে ধাক্কা মারে কিশোরী ৷ আর তখনই নিজের হাতে থাকা ছুরি বুকে ঢুকে যায় ওই ব্যক্তির ৷ মৃত্যু হয় তাঁর ৷ নাম সপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়(46) ৷ কলকাতার বাসিন্দা ৷ কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকতেন ৷ এই ঘটনায় ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ তবে, ওই কিশোরীর পাশে দাঁড়িয়েছেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ৷ তিনি বলেন, "এই ঘটনাটি ভুলবশত হয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নয় ৷"
সপ্তিক বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি কম্পানিতে সফটওয়্যাক ইঞ্জিনিয়র হিসেবে কাজ করতেন ৷ সেই সূত্রেই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন ৷ 2012 সালে তাঁর স্ত্রী মারা যান ৷ 2015 সালে সপ্তিক চাকরি ছেড়ে দেন ৷ এক প্রতিবেশী জানান, চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই ওই ব্যক্তি প্রতিদিন মদ খেতে শুরু করেন ৷
বৃহস্পতিবারও মদ খেয়েছিলেন সপ্তিক ৷ রাত দেড়টার সময় কম্পিউটারে কী-বোর্ডে প্রচণ্ড আওয়াজ করছিলেন ৷ তাতে বিরক্ত হয় সপ্তিকের মেয়ে ৷ সে বাবাকে আওয়াজ কমাতে বলে ৷ কিন্তু, মেয়ের কথায় কর্ণপাত করেননি তিনি ৷ উলটে মেয়েকে মারধর করতে শুরু করেন ৷ দু'জনের মধ্যে অশান্তিও শুরু হয় ৷ এরইমধ্যে তিনি ছুরি নিয়ে মেয়ের উপর চড়াও হন ৷ তখন নিজেকে বাঁচাতে বাবার হাত চেপে ধরে কিশোরী ও পিছনের দিকে ঠেলে দেয় ৷ আর তখনই সপ্তিকের হাতে থাকা ছুরি তাঁর নিজের বুকে ঢুকে যায় ৷ সোফায় লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ বাবাকে ওই অবস্থায় দেখে ভয়ে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দেয় কিশোরী ৷
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে ৷ গ্রেপ্তার করে ওই কিশোরীকে ৷ কিন্তু, এই ঘটনায় ওই কিশোরীর পাশে দাঁড়িয়েছেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী সুনীল কুমার ৷ তিনি বলেন, "মেয়েটি নাবালিকা ৷ তাঁর বাবা অত্যাচার করায় খুন করেছে সে ৷ কিন্তু ঘটনাটি ভুলবশত হয়েছে ৷ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নয় ৷"